বাড়ছে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধের আশঙ্কা
ডেস্ক রিপোর্ট: বাড়ছে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধের আশঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি এই জরিপে দেখা যায় ইসরায়েলের ৫২ শতাংশ মানুষ অবিলম্বে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পক্ষে।
নভেম্বরের শেষ দিকে পরিচালিত জনমত জরিপটিতে দেখা যায়, ইসরায়েলের ৫২ শতাংশ মানুষ অবিলম্বে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পক্ষে। অন্যদিকে মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ এই যুদ্ধ শুরুর বিপক্ষে।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কারণ সংঘাত আঞ্চলিক রূপ নিলে ইরানও জড়িয়ে পড়তে পারে। তবে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের নতুন একটি যুদ্ধ অনিবার্য— এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ইসরায়েলি রাজনীতিক, জেনারেল ও সাধারণ জনগণ।
গত ৭ অক্টোবর সকালে হামাসের হামলার খবর যখন প্রথমবারের মতো প্রকাশ পায়, ইতাই রুভেনি ও অন্য আপৎকালীন প্যারাট্রুপাররা তাদের ব্যাগ গুছিয়ে নেন। সেনাবাহিনী থেকে ডাক পড়ার আগেই জমায়েত হওয়ার স্থানে তারা চলে যান। কিন্তু দক্ষিণে গাজা সীমান্তে না গিয়ে উত্তর দিকের সীমান্তে যান। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, সেখানে হামাসের চেয়ে বড় হুমকি হিসেবে রয়েছে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তেহরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
৪০ বছর বয়সী মাস্টার সার্জেন্ট ইতাই রুভেনি বেসামরিক জীবনে সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন উত্তরে না ঘটতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতেই তারা সেখানে এসেছেন। ইতাই রুভেনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক। এই সীমান্তে কেবল তিন হাজার নন, আরও বেশি যোদ্ধা আসতে পারে। তা ছাড়া এই সমীকরণে ইরানও থাকবে। তাদের মোকাবিলা করতেই আমরা এখানে এসেছি।’
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের জন্য হিজবুল্লাহকে বড় বিপদ হিসেবে শুধু রুভেনিই দেখছেন না। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য কট্টরপন্থী সদস্য লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিজেরাই আগে আক্রমণ চালানোর পক্ষে ছিলেন।
গত ২০০৬ সালে ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর থেকে গত ১৭ বছর সীমান্তবর্তী এলাকাটি তুলনামূলক শান্ত ছিল। কিন্তু সে বছরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তির গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি।
গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিসের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যারা ভাবছে যুদ্ধ থেমে যাবে, বাস্তবতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা হামাসকে নির্মূল করব। সব জিম্মিকে ছাড়িয়ে আনব এবং গাজা থেকে হুমকিকে নিশ্চিহ্ন করব।’
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা গাজী হামাদ এর আগে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির যে আলোচনা চলছে; সেটির লক্ষ্য হলো যুদ্ধ থামানো।
তিনি আরও জানান, হামাস অস্থায়ী বা কয়েকদিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না। এরবদলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চান তারা। তার দাবি, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিয়ে আবারও গাজায় গণহত্যা চালানো শুরু করবে ইসরায়েল।
নেতানিয়াহু যখন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন, তখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছিল। আজ বুধবার এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
প্রস্তাবটির ওপর গত সোমবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তাবের ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি থাকায় সেটি দুইদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
;
ভারতের তামিলনাড়ুতে বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু
তামিলনাড়ুর বন্যার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের তামিলনাড়ুর দক্ষিণের জেলাগুলোতে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক বন্যা শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর সেখানে ফের এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিল।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বন্যার পানিতে তামিলনাড়ু রাজ্যের অনেক রাস্তা ডুবে গেছে এবং এতে বিভিন্ন স্থানে শত শত লোক আটকা পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আটকে পড়া মানুষের জন্য ১০ টন খাদ্য সামগ্রী জরুরিভাবে সরবরাহ করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার ভিডিও ফুটেজে আশেপাশের পুরো এলাকা পানির নিচে এবং উদ্ধারকর্মীদের লোকজনকে সরিয়ে নিতে নৌকা ব্যবহার করতে দেখা গেঝে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ুর মুখ্য সচিব শিব দাস মীনা বলেছেন, ‘এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২,৬০০ মানুষ বাধ্য হয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে।’
সামাজিক গণমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় রাজ্যের গভর্নর বলেছেন, ‘থুথুকুড়ি এবং তিরুয়েলভেলিসহ আরও অনেক জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।’
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্ট্যালিন বলেন, ‘রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাতের কারণে মানুষের চলাচলের ও জীবন-জীবিকার ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় মিচাংয়ের আঘাতে কমপক্ষে আট জন নিহত হওয়ার ঠিক দুই সপ্তাহ পর এ ভারী বৃষ্টিপাত হয়। ঝড়টি গত ৬ ডিসেম্বর তামিলনাড়– এবং অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে আঘাত হেনেছিল।
;
ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার যুদ্ধে ইউক্রেনের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বক্তৃতাকালে জেলেনস্কি বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ঢোকা রাশিয়া বাহিনীকে ফেরত পাঠানোর জন্য দেশটির প্রচেষ্টায় আর্থিক সহায়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, জেলেনস্কি তার বক্তৃতায় লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য আরও ৫ লাখ ইউক্রেনীয়কে একত্রিত হওয়ারও আহ্বান জানান।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এটির জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করছি এবং আমি নিশ্চিত যে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। যে বিষয়ে আমরা ও যুক্তরাষ্ট্রে একমত হয়েছি, তা সম্পূর্ণরূপে পূরণ হবে।’
জেলেনস্কি এমন সময় বক্তৃতাটি দিলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটিভরা ক্রমাগত সহায়তার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং ইউক্রেনের জন্য একটি মার্কিন সহায়তা প্যাকেজ আটকে গেছে।
এদিকে মার্কিন সিনেটের নেতারা মঙ্গলবার বলেছেন যে, প্যাকেজটি নতুন বছরের আগে বরাদ্দের কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, রাশিয়ার আক্রমণ ইউক্রেনীয় শহরগুলিকে ধ্বংস করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
;
জোহরবারুতে ভুয়া ওয়ার্কপারমিট চক্রের ২ বাংলাদেশি আটক
ভুয়া ওয়ার্কপারমিট চক্রের ২ বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ায় ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট তৈরি করে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) জোহরবারু ইমিগ্রেশনের এক অভিযানে চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়। যার মধ্যে রয়েছেন দুই জন বাংলাদেশি ও একজন মিয়ানমারের নাগরিক।
মালয়েশিয়ায় সব শ্রমিককে নিবন্ধনের আওতায় আনতে চলছে ওয়ার্কফোর্স রিকালিব্রেসন প্রোগ্রাম (আরটিকে) ২.০। এই আরটিকে২.০ তে নিবন্ধন এবং ফ্লাইং পাসপোর্টের কথা বলে অভিবাসীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে এই চক্র।
প্রাদেশিক ইমিগ্রেশন পরিচালক বাহারুদ্দিন তাহির বুধবার (২০ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জোহরবারু ইমিগ্রেশন বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আটককৃত ২ বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকের বয়স ২০ বছর। জোহরবারুর তাপোই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
তিনি বলেন, এই চক্রটি গত বছর থেকেই এভাবে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতিটি আবেদনের জন্য তারা অভিবাসীদের কাছ থেকে ৬ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত বা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নিতো।
অভিযানে একটি কালো লেক্সাস আরএক্স গাড়ি, তিনজন বাংলাদেশি ও ১ জন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকের পাসপোর্ট, একটি ল্যাপটপ, আরটিকে ২.০ এর ডাটা সম্বলিত একটি এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক, একটি মোবাইল এবং ২ হাজার ৫৮ রিঙ্গিত বা প্রায় ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এর ধারা ১২ (১)(এফ) এবং ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১), ৫৫ই এবং ৫৬ (১এ)(সি) এর অধীনে অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান বাহারুদ্দিন।
তিনি আরও জানান, গত এক মাস ধরেই এই চক্রটিকে ধরতে অনুসন্ধান চালাচ্ছিল ইমিগ্রেশন বিভাগ। আরটিকে২.০ প্রোগ্রামে নিবন্ধনের জন্য সরকার কোন তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেয়নি। প্রবাসীরা যেন এসব প্রতারণার ফাঁদে না পড়েন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।