এক ডজন বিয়ের পর স্বামীর মামলায় জেলে সুন্দরী ডালিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট: এক ডজন বিয়ের পর স্বামীর মামলায় জেলে সুন্দরী ডালিয়া
ছবি: সংগৃহীত
নিজের রূপ যৌবন দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করাই যার পেশা ও নেশা। বিয়ে করে ক’দিন পর টাকা পয়সা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে পুনরায় আবার প্রেমের ফাঁদে ফেলে আরেক বিয়ে করা। এভাবে একে একে বারোটি বিয়ে করেছেন এই নারী। এবার ১১ তম স্বামীর দায়ের করা মামলায় জেলে যেতে হল এই সুন্দরী নারী ডালিয়া আক্তার সাথীকে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ১১তম স্বামী নরসিংদী জেলার প্রবাসী এনামুল হকের দায়ের করা মামলায় তাকে জেলে যেতে হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন পলাশ।
ডালিয়া আক্তার সাথীর ফাঁদে পড়েছেন সাবেক সেনা সদস্য, আনসার সদস্য, পুলিশ কনস্টেবল, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ি, বেসরকারি চাকরিজীবী, প্রবাসীসহ এক ডজন মানুষ।
তিনি আদালতের বরাদ দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে নরসিংদী দায়রা জজ আদালতে এনামুল হক নামে এক প্রবাসী তার স্ত্রী ডালিয়া আক্তার সাথীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন। বুধবার এর একটি মামলার দিন ধার্য ছিল। বুধবার আদালতে আসলে জেলা জজ মারুফা আহমেদ (আদালত-৩) ডালিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডালিয়ার প্রথম স্বামীর নাম সোহেল খান। তার বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার কোটালিপাড়ায়। দ্বিতীয় স্বামী হুমায়ুনের বাড়িও কোটালিপাড়ায়। তৃতীয় স্বামী টাঙ্গাইলের সোহাগ, চতুর্থ রিপন মণ্ডল, পঞ্চম স্বামী হবিগঞ্জের আনসার সদস্য সুনির্মল বিশ্বাস, ষষ্ঠ স্বামী খুলনার আমিরুল ইসলাম (র্যাবের সাবেক সার্জেন্ট) সপ্তম স্বামী কনস্টেবল মো. রাজু আহমেদ, অষ্টম স্বামী সিরাজগঞ্জের আব্দুল খালেক (মালয়েশিয়া প্রবাসী), নবম স্বামী বরিশালের রেজাউল শেখ, দশম স্বামী রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শাহ আলম ও বারোতম স্বামী ওমান প্রবাসী সাকিব।
প্রবাসী এনামুল হকের আইনজীবী নরসিংদী আদালতের আইনজীবী মামুনুর রশিদ জানান, ‘ডালিয়া ১২টিরও বেশি বিয়ে করে স্বামীদের বিরুদ্ধে মামলা ও নির্যাতন করে অর্থ আদায় করতো। বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে এনামুলের মামলায় ডালিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
এডভোকেট মামুনুর রশিদ আরও বলেন, এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ থাকবে যে নারী নির্যাতনের বিচার শুধু নয় পুরুষ নির্যাতনেরও বিচার হয় এটাই আজকে প্রমাণিত হলো।
এ ঘটনায় মামলার বাদী এনামুল হক জানান, ডালিয়া তার কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার প্রবাস জীবনের উপার্জন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কোনো উপায় না পেয়ে আদালতে ডালিয়ার নামে দুটি মামলা করেন। বুধবার একটি মামলায় দিন ধার্য ছিল, হাজিরা দিতে এসেই কারাগারে গেছে ডালিয়া। এতে কিছুটা মনে শান্তি পেয়েছেন তিনি। ডালিয়ার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এনামুল।
মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তার মিথ্যা বিয়ে বাণিজ্যের শিকার হয়ে চাকরি হারিয়েছেন আমিনুল। বৃদ্ধ শশুর শাশুড়ি সহ পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরেক স্বামী বরিশালে রেজাউল খান জানায়, যৌতুক মামালার ভয় দেখিয়ে তার মোটরসাইকেল বিআরটিতে গিয়ে মালিকানা পরিবর্তন করে নিয়ে গেছে ডালিয়া। জোর করে বিয়ে করে ১০ লাখ টাকা কাবিন লিখেছে, নগদ টাকাও আদায় করেছেন। তিনিও সুষ্ঠু বিচার আশা করেন।
ডালিয়া আক্তার সাথীর বাড়ি গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া থানার বিরীমেরকান্দী গ্রামে। তার বাবার নাম লেয়াকত আলী শেখ।
বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ৪০ সাঁতারু
ছবি: বার্তা২৪.কম
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটারের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ৪০ জন সাঁতারু টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিলেও ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তারা সেন্টমার্টিনে পৌঁছতে পারেননি। এবারের ১৮ তম ভিসাথিং বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ‘ষড়্জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’।
৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় নিয়ে সবার আগে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন সাইফুল ইসলাম রাসেল। এরপর ৪ ঘণ্টা ৪ মিনিট সময় নিয়ে মোঃ ইলিয়াস হোসেন, ৪ ঘণ্টা ১১ মিনিটে সুমন বালা এবং ৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট সময় নিয়ে মোঃ মনিরুজ্জামান বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন।
এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান সমন্বয়ক ও ষড়্জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম যাতে সাঁতারের প্রতি আগ্রহী হয় এবং নেশার মত খারাপ কাজ থেকে তারা যাতে দূরে থাকে সেজন্য প্রতি বছর এই আয়োজন।
১৩ তম বারের মত বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়া মোঃ মনিরুজ্জামান মনির জানান, বাংলা চ্যানেলকে তুলে ধরা ও সাঁতারের প্রতি ভালবাসা থেকেই প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তিনি।
এবার অংশ নেয়া দুই নারী সাঁতারুর দুজনেই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। প্রথমবারের মত অংশ নিয়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন ভারতীয় নারী সাঁতারু রচনা শর্মা। সাঁতারের প্রতি ভাল লাগা থেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। বাংলাদেশের নারী সাঁতারু সোহাগি আক্তার দ্বিতীয়বারের মত এই চ্যানেল পাড়ি দিলেন। তীব্র ইচ্ছা শক্তি থেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার কথা জানান তিনি।
খাগড়াছড়ির থেকে তৃতীয়বারের মত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া উজ্জ্বল চৌধুরি বলেন, শুধু পুকুর বা নদী নয় তারা যে সাঁতরে সাগরও পাড়ি দিতে পারেন সেটা সবাইকে দেখাতে চান।
বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত অ্যাডভেঞ্চার গুরু কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কক্সবাজার ও বাংলা চ্যানেল গোটা বিশ্বের কাছে আরো পরিচিত ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন আয়োজক ও সাঁতারুরা।
;
মানিকগঞ্জে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার নির্বাচন কেন্দ্রীক বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় মুঠোফোনে স্থানীয় দৈনিক পৃথিবী প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশককে হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সিংগাইর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন মানিকগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক পৃথিবী প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সম্পাদক পরিষদ, মানিকগঞ্জের প্রচার সম্পাদক এফ.এম ফজলুল হক।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুল হক বলেন, বুধবার ভোর রাতে অজ্ঞাত একটি নাম্বার থেকে মুঠোফোনে তাকে কল দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার এর নির্বাচন কেন্দ্রীক ভাইরাল বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের কারণ জানতে চায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি।
এসময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে হুমকিদাতা বলেন, নির্বাচনের পরের দিন তার (সম্পাদকের) পরিবারের একজন সদস্য কমিয়ে ফেলা হবে। এতে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত। যে কারণে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই বিষয়টি নিয়ে সিংগাইর থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্পাদককে দেওয়া হত্যার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে সম্পাদক পরিষদ, মানিকগঞ্জের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ট্রাক প্রতিকের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা উপজেলা আওয়ামীলীগের ওই নেতার নিউজ মানিকগঞ্জের সকলেই করেছে এবং সকল মিডিয়ায় তা প্রচার ও প্রকাশ হয়েছে।
সত্য একটি বিষয়কে নিয়ে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের জের ধরে একজন সাংবাদিককে এমন হুমকি দেওয়ার বিষয়টি খুবই নিন্দাজনক। এই ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে এর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরি’র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির মুঠোফোনে দেওয়া হত্যার হুমকির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অবশ্যই এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
;
স্ত্রীর পরিকল্পনায় পরকিয়া প্রেমিকের হাতে স্বামী খুন
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হওয়া ব্যবসায়ী আলমগীর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। স্ত্রীর পরিকল্পনায় পরকয়িা প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছেন আলমগীর। স্ত্রী রোমানা আক্তার (১৯) নিজেই বিষয়টি পুলিশের কাছে শিকার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন।
তিনি জানান, আমরা এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করলে আলমগীরের স্ত্রীকে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ২৭ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় রোমানা পুলিশের কাছে স্বামী হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দেন।
রোমান পুলিশকে জানান, ৭-৮ মাস আগে সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়, কিন্তু এসএসসিতে ফেল করায় পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বামী আলমগীর তাকে স্মার্টফোন কিনে দিলে সেটি দিয়ে পুরোনো প্রেমিক সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। একসময় পরকিয়া প্রেমিক সাকিব রোমানাকে তার কাছে চলে যেতে বললে রোমানা বলেন, ‘কীভাবে যাবো, আমারতো বিয়ে হয়ে গেছে। সাহস থাকলে আমার স্বামীকে মেরে ফেলো, তারপর না হয় আমি তোমার কাছে চলে আসবো। অন্যথায় আমি কীভাবে আসবো?’
আর এসব কথার আগে সাবেক প্রেমিক রোমানাকে বলেছিলেন, ‘তুমি আমার কাছে আসতে চাইলে আমাকে কী করতে হবে? তোমার স্বামীকে মেরে ফেললে হবে?’ উত্তরে রোমানা হ্যাঁ বলার সঙ্গে সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিক সাকিব রোমানার স্বামী আলমগীরকে হত্যার নেশায় মত্ত হয়ে ওঠেন। আলমগীরকে অনুসরণ করতে শুরু করেন সাকিব। গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের হায়দার আলী জামে মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় আলমগীরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান সাকিব। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুরো উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আলমগীরের পরিবারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, তার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। রাজনীতির সঙ্গেও তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুরুতে ছিনতাইকারীরা তাকে মেরেছে এমন কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও আলমগীরের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা, মোবাইল অক্ষত থাকার খবরে তা দূর হয়ে যায়।
ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আলমগীরকে হত্যার পর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রোমানা আক্তার। আর ঘটনার কিছু আলামতে আমাদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে তাকে আমরা আটক করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে ২৭ ডিসেম্বর রোমানা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।’
এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে হত্যার শিকার হন আলমগীর। এ ঘটনায় পর দিন একটি হত্যা মামলা করে তার পরিবার।
;
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৭০০ ছাড়িয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১১০
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৭০১ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১০ জন রোগী।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মারা যাওয়া দুজনই ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৭০১ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৭৮ জন আর ঢাকার বাইরের ৭২৩ রয়েছেন। অপরদিকে মোট আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২০ হাজার ৯৪৫ জন। এদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৭ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪৩ জন। এদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ৯৬ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৩৭৭ জন। এদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ লাখ ৯ হাজার ৭০৯ জন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।