সারাদেশ

সিলেটজুড়ে সতর্ক অবস্থায় র‍্যাব

ডেস্ক রিপোর্ট: কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বহুল প্রতিক্ষিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। এ উপলক্ষে শনিবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম আসছেন তিনি৷  টানেল উদ্বোধনের পর আনোয়ারায় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগমন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সেজেছে টানেলের দুই প্রান্ত।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোড ও টানেলের অপর প্রান্ত আনোয়ারা থেকে শাহ আমানত সেতু এলাকাসহ নগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে এখন তোরণের ছড়াছড়ি। রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে সেজেছে নগরী। অলি-গলিতেও শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার-ব্যানার। বিশেষ করে পতেঙ্গা সড়ক  শাহ আমানত সড়ক সেজেছে নতুন রূপে।

রংতুলির আঁচড়ে বিবর্ণতা দূর করে নবরূপ পেয়েছে বন্দরনগরী। ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। ফুটপাত, সড়কদ্বীপ, ফ্লাইওভারেও পড়েছে রঙের ছোঁয়া। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে নগরজুড়ে পাঁচ শতাধিক বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন, তোরণ শোভা পাচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারীরাও পাঁচ হাজারের বেশি ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়েছেন। এর বাইরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করেছে। ইতিমধ্যে জনসভার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। বসে নেই দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতাকে বরণ করে নিতে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পৃথক বর্ধিত সভা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ এক লাখ লোক সমাগমের ঘোষণা দিয়েছে। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলেও প্রতি উপজেলা থেকে অন্তত ১০ হাজার করে নেতাকর্মীকে জনসভায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এর বাইরে মূল জমায়েত করবে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।

জনসভায় নেতাকর্মীদের বহন করা বাস রাখার জন্য কেইপিজেডের অব্যবহৃত চারটি মাঠ সংস্কার করে পার্কিং জোন করা হচ্ছে। এ ছাড়া জনসভায় সাউন্ড সিস্টেমে সার্ভিস দেবে ঐতিহাসিক ‘কলরেডি’। জনসভাস্থলসহ মাঠের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকবে কলরেডির ২০০ মাইক।

এদিকে টানেল উদ্বোধন ও জনসভা ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারায়। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), পুলিশ, র‍্যাববসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জনসভাস্থলসহ আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঘিরে রেখেছে। সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ৮ ফুট উচ্চতার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৮ ফুট প্রস্থের মঞ্চটি নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ৫০০ জনের বসার ধারণক্ষমতা থাকলেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পদধারী নেতা ও জনপ্রতিনিধি মিলে ৩০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঢাকার কলরেডি থেকে আসা ২০০ মাইক জনসভাস্থলের আশপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রামে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেলসহ মোট ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাতটি প্রকল্প রয়েছে। অনেকগুলোর কাজই প্রায় শেষ হয়েছে। যেগুলো হয়নি সেগুলো আগামী বছরের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *