লোহিত সাগরে হামলার বিষয়ে হুথিদের সতর্ক করলো যুক্তরাজ্য
ডেস্ক রিপোর্ট: ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে তাদের হামলা বন্ধ করতে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস।
শ্যাপস স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘কোন সন্দেহ নেই যে, হুথিদের হামলার সঙ্গে তেহরান জড়িত ছিল এবং তারাই ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অস্ত্র ও বুদ্ধিমত্তা সরবরাহ করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট। আমাদের অবশ্যই হুথিদের সঙ্গে পরিষ্কার হতে হবে যে, এটি বন্ধ করতে হবে। এটি আজ তাদের প্রতি আমার সহজ বার্তা।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, তারা দক্ষিণ লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোঁড়া ১৮টি ড্রোন ও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের পথে চলা জাহাজগুলো লক্ষ্য করে এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত সাত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক শিপিং লেনগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদেরর এটি ছিল ২৬তম হামলা।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, লোহিত সাগরের দক্ষিণে ইয়েমেন নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে ইরান সমর্থিত হুথি গ্রুপ ইরানের তৈরি ড্রোন, জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।
হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংসের এই অভিযানে ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং একটি ব্রিটিশ ও তিনটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার থেকে পরিচালিত এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
হুতিদের আক্রমণ থেকে লোহিত সাগরের জাহাজগুলো রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে একটি বহুজাতিক নৌ টাস্কফোর্স গঠন করে। লোহিত সাগরের যে নৌপথ সুরক্ষিত রাখার জন্য এই টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে, তাতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১২ শতাংশ পর্যন্ত নির্ভর করে।
এর আগে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়ি জানিয়েছিলেন যে, ইহুদিবাদী ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও আরব সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে যাবে। তবে ইসরায়েলি মালিকানাধীন কিংবা ইসরায়েলগামী নয় এমন কোনো জাহাজের ক্ষতি তারা করবে না।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।