যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরাকে বেসামরিকসহ নিহত ১৬
ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকে সরকার বলেছে, দেশটিতে নতুন মার্কিন আগ্রাসনে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরাকের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এই নতুন আগ্রাসনের নিন্দা করে এই অঞ্চলে ভয়াবহ পরিণতির জন্য ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে বাগদাদ।
ইরাকের এক সরকারি মুখপাত্র শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, মার্কিন বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে এবং ২৫ জন আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের মধ্যে জর্ডানে মার্কিন সেনাদের হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরাক এবং সিরিয়ায় ইরান-সংযুক্ত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর বিষয়ে প্রতিশোধমূলক হামলার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইরাক সরকার বলেছে, এই হামলা ইরাক এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে ফেলবে।
বাগদাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওই বিমান হামলার চালানো হয়েছে বলে ওয়াশিংটনের দাবিকে মিথ্যা এবং আন্তর্জাতিক জনমতকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস বলে দাবি করেছে ইরাক।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের উপস্থিতি ইরাকের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘাতে ইরাককে জড়িত করার ন্যায্যতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে বাগদাদে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনের নিন্দা করেছ সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও।
মন্ত্রণালয়টি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে সিরিয়ার আরব সেনাবাহিনী এবং তার মিত্রদের সক্ষমতা দুর্বল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’
দেশটির মরুভূমি অঞ্চল এবং ইরাকের সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলার পর বেশ কয়েকজনের হতাহতের কথা জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার মার্কিন হামলায় অন্তত ২৩ ইরান-সমর্থক যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।