সারাদেশ

বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট: কাজাখস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী কুয়ানদিক বিশিমবায়েভ তার স্ত্রীকে টানা আট ঘণ্টা ঘুষি, লাথি দিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এ ঘটনার একটি সিসিটিভির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।

এ ঘটনায় বেকায়দায় পড়েছেন দেশে সাম্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সকলকে সুবিচার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রেসিডেন্টও।

সাবেক ওই মন্ত্রী কুয়ানদিক বিশিমবায়েভের (৪৪) বিরুদ্ধে স্ত্রী সালতানাত নুকেনোভাকে (৩১) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। নভেম্বরে কুয়ানদিক বিশিমবায়েভের এক আত্মীয়ের একটি রেস্তোরাঁয় মৃতদেহ পাওয়া যায় সালতানাত নুকেনোভার। সেখানে এই দম্পতি আগের রাত এবং পরের পুরো একটি দিন অতিবাহিত করেন।

কুয়ানদিক বিশিমবায়েভের স্ত্রীকে নির্যাতন করার ৮ ঘন্টার একটি ভিডিও ফুটেজ আদালতে দেখানো হয়েছে। তাতে দেখা যায়, তিনি স্ত্রী নুকেনোভাকে ঘুষি, লাথি দিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছেন।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কুয়ানদিক বিশিমবায়েভ তার স্ত্রীকে লাথি ও ঘুষি মারছেন। তারপর তার চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান অন্য একটি রুমে। সেই রুমে কি হয়েছে, তা ক্যামেরা ধারণ করতে পারেনি। এক পর্যায়ে টয়লেটের ভিতরে লুকিয়ে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন নুকোনোভা। কিন্তু বিশিমবায়েভ টয়লেটের দরজা ভেঙে ফেলেন। তাকে টেনে বের করেন এবং অব্যাহতভাবে মারতে থাকেন। প্রসিকিউটররা বলেছেন, এরপর তিনি তাকে টেনেহিঁচড়ে টয়লেট থেকে বের করেন। গলা ধরে টেনে নেন। এর ফলে অচেতন হয়ে পড়েন নুকোনোভা। তিনি মেঝেতে নেতিয়ে পড়েন। রক্তে ভিজে যায় মেঝে। এ পর্যায়ে বিশিমবায়েভ কাউকে ফোন করেন। তিনি তাকে আশ্বস্ত করেন। বলেন, তার স্ত্রী ঠিক হয়ে যাবেন। কিন্তু ১২ ঘন্টা পরে সেখানে এম্বুলেন্স উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলেই মেডিকেল স্টাফরা নুকোনোভাকে মৃত ঘোষণা করেন।

করোনারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রেনে রক্তক্ষরণের ফলে মারা গেছেন সালতানাত নুকোনোভা। তার নাকের একপাশের হাড় ভেঙে যায়। তারমুখে, মাথায়, বাহুতে এবং হাতে অসংখ্য থেঁতলানোর দাগ পাওয়া যায়। নির্যাতন এবং ভয়াবহ সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে বিশিমবায়েভের বিরুদ্ধে।

আদালতে এইরই মধ্যে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন কুয়ানদিক বিশিমবায়েভ। তাঁর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ভয়াবহ সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর। এই নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড শুধু কাজাখস্তানেই নয়, সারা বিশ্বেই আলোড়ন তুলেছে।

এই বিচার প্রক্রিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ফলে বিষয়টি জনগণের আগ্রহের কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। দেশটির সম্পদশালী অভিজাতদের মধ্যে বিশিমবায়েভ অন্যতম। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যদি তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয তাহলে কোনো না কোনো উপায়ে তিনি তা থেকে বেরিয়ে যাবেন। এর আগের এক মামলায়ও তাই ঘটেছে।

উল্লেখ্য, ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২০১৭ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দেয়া হয়েছিল ১০ বছরের জেল। কিন্তু তিন বছরের কম সময়ের মধ্যেই তিনি বেরিয়ে আসেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *