আন্তর্জাতিক

বঙ্গবন্ধুর পরিবার একটি বিজ্ঞানমনস্ক পরিবার: হাছান মাহমুদ

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবার একটি বিজ্ঞানমনস্ক পরিবার’ এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিজ্ঞানমনস্কতা।

ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞানী হওয়ার কারণে শেখ হাসিনাও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠেছেন। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী সব সময় গবেষণার ওপরে গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবার একটি বিজ্ঞানমনস্ক পরিবার। শেখ হাসিনার বিজ্ঞানমনস্ক এবং এই পরিবার বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পেছনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভূমিকা ছিল। সে কারণেই সজীব ওয়াজেদ জয় আজকে আইসিটি বিশেষজ্ঞ। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণাতেই বাংলাদেশ আজকে আইসিটিতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি ও সাপ্তাহিক গণবাংলা।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত! ’৭৫ এর পরে শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনাকে আগলে রাখার ক্ষেত্রে তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই বিধ্বস্ত অবস্থায় অসীম সাহস এবং ধৈর্য না থাকলে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে আগলে রাখা এত সহজ হতো না!

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে, তারা তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া যখন পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন, তার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। এরপর সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মনোবিজ্ঞানের ওপর পিএইচডি করেছেন। ওয়াজেদ মিয়া এবং শেখ হাসিনা তাদের সন্তানেরদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কারণেই এতকিছু অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

আলোচনা সভায় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন খুব মেধাবী। বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কমিশনের বীজ বপন করেছেন ওয়াজেদ মিয়া। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা! তাঁর চিন্তা-চেতনা সারাদেশকে নাড়া দিয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্মসম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *