সারাদেশ

আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট: আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা

আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা

নাড়ির টানে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাড়ে টোল আদায়ের হার।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৯ জুন) রাত ১২টা থেকে রোববার (১৬ জুন) রাত ১২ টা পর্যন্ত গত আট দিনে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫০টাকা। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ২’শ টাকা। সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম অংশে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬১ টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৭৯ লাখ ২৮ হাজার ৪’শ টাকা।

আরও জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রায় ২৬ বছরে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত। এসময় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫৩ হাজার ৭০৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪’শ টাকা। যা সেতু উদ্বোধনের পর টোল আদায়ে সর্বোচ্চ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মোট ২১টি জেলার প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে।

আইএসএজিও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

আইএসএজিও সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ইউএস-বাংলা, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি এয়ারলাইন্স, সম্প্রতি অসামান্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার জন্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (IATA) থেকে মর্যাদাপূর্ণ সার্টিফিকেট পেয়েছে।

IATA সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশনস (ISAGO) বাংলাদেশে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবাগুলোর উন্নত মান বজায় রাখার পাশাপাশি যাত্রী, বিমান এবং পণ্যগুলির নিরাপত্তা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য ইউএস-বাংলা স্বীকৃত।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে বেসরকারী বিমানসংস্থাগুলোর মধ্যে প্রথম আইএসএজিও সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএস-বাংলা সবসময় নিরাপত্তা এবং উন্নত সেবাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই স্বীকৃতি বিমান শিল্পে ইউএস-বাংলার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেড IATA সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশনস প্রোগ্রাম (ISAGO) এর অধীনে নিবন্ধিত হয়েছে, যা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি কভার করে:
প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনা, লোড কন্ট্রোল, প্যাসেঞ্জার এবং ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, এয়ারক্রাফ্ট হ্যান্ডলিং এবং লোডিং, এয়ারক্রাফ্ট গ্রাউন্ড মুভমেন্ট এবং কার্গো এবং মেইল হ্যান্ডলিং।

নিবন্ধনকৃত সার্টিফিকেটটি ইউএস-বাংলা সম্মানিত যাত্রীদের পূর্বের তুলনায় অধিক আস্থা প্রদান করবে। এই সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে ইউএস-বাংলার উপর যাত্রী নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং মানসম্মত সেবার উপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা আস্থা প্রদান করবে।

ইউএস-বাংলা ২০২৩ সাল থেকে একটি আইওএসএ (আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট) নিবন্ধিত বিমান সংস্থা; এখন এটি ISAGO নিবন্ধিত এয়ারলাইন্স। ইউএস-বাংলা সবসময় সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। ISAGO সার্টিফিকেট প্রাপ্তি ইউএস-বাংলার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এর দক্ষতা প্রমাণ করে।

;

বিক্রি হলো না সাড়ে ২৩ লাখ পশু

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার মোট পশু মজুত ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু। কোরবানি ঈদে সারা দেশে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি এবার ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি পশু অবিক্রীত থেকে গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হ‌য়ে‌ছে, এবার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম পশু বিক্রি হয়েছে। এ বছর ঢাকায় ২৫ লাখ ২০ হাজার, চট্টগ্রামে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার আর রাজশাহীতে ২৩ লাখ পশু বিক্রি হয়। গত বছর কোরবানি ঈদে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতবছর কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানি হয়েছে, অর্থাৎ ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫২১টি পশু অবিক্রীত ছিল। আর ২০২২ সালে সারাদেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু কোরবানি হয়েছিল।

এত পশু অবিক্রীত থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। খামারিদের মধ্যে যারা বড় গরু বাজারে এনেছিলেন, তার অধিকাংশই অবিক্রীত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। চড়া দামের খাবার খাইয়ে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা খামার করেছেন, তাদের অনেকের অবস্থা করুণ। খামার পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটানোই এখন তাদের জন্য কঠিন হবে। ভারত-মিয়ানমার থেকে এবার অবৈধ পথে গরু আসায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন এলাকার খামারি ও মৌসুমি পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। সেই তুলনায় বড় গরুর ক্রেতা ছিলেন খুবই কম।

;

কটিয়াদীতে যুগ যুগ ধরে পঞ্চায়েতে গোশত বণ্টনে সম্প্রীতির বন্ধন

ছবি: বার্তা২৪.কম

সামাজিক রীতি ও সম্প্রীতির বন্ধন এখনো অমলিন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। ঈদুল আজহার নামাজ শেষ করে সমাজের সবাই একসাথে কোরবানি দেন৷ সেখান থেকে সবাই সমাজের নিন্মবিত্ত ও সামর্থ্যহীন মানুষের জন্য একটি অংশ রেখে দেন৷ এগুলো সংগ্রহ করে পাশেই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মাঠে জমা করা হয়৷ একের পর এক আসতে থাকে বিভিন্ন কুরবানির গোসত।

একসময় তা বিশাল স্তুপ হয়৷ সবগুলো সংগ্রহ শেষ হলে মেপে মেপে রাখা হয়৷ পরে একসময় তালিকায় থাকা নাম ধরে ধরে বণ্টন করা হয়৷ কেউ উপস্থিত না হলেও তার বাড়িতে পৌঁছে যায় গোশত। এমনি এক সামজিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতির বন্ধন দেখা গিয়েছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে।

কটিয়াদী পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া মহল্লায় প্রায় আড়াই শতাধিক বছরের পুরনো এই রেওয়াজ চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে৷ বর্তমান প্রজন্মও এই রীতি ধরে রেখেছে৷

আধুনিক সমাজে পঞ্চায়েত সমাজ ব্যবস্থা এখন আর দেখা যায় না। তবে পঞ্চায়েত হলো সামাজিক ব্যবস্থার এক অন্যতম ধারক ও বাহকের সমষ্টি। পঞ্চায়েত বলতে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদকে বোঝায়। বাংলার ইতিহাসের মতোই প্রাচীন প্রথা হলো পঞ্চায়েত। কোরবানি ঈদে এ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কিছু কার্যক্রম দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রামে এখনও পঞ্চায়েতের ধারা কিছুটা চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বপাড়া মহল্লার এই পঞ্চায়েত প্রথা অনেক পুরনো৷ সমাজে বৈষম্য দুর করে ঐক্য সৃষ্টি ও ধনী-গরিব বৈষম্য কমিয়ে আনতে এটির প্রচলন শুরু হয়েছিলো৷ যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। পাঁচশো বাড়ির তালিকা তৈরি করে বণ্টন হয়৷

এলাকার প্রবীণ ব্যাক্তি মেরাজ মিয়া (৭৫) বলেন, আমি ছোট থেকে এই বণ্টন দেখে আসছি৷ আমাদের বাপ দাদারাও এভাবেই পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বণ্টন করেন। বৃটিশ আমলের পর থেকে এটি চলে আসছে।’

বণ্টনের দায়িত্ব পালন করা এলাকার শরিফ, মিজান ও আব্দুল্লাহ বলেন, পাঁচ শতাধিক মানুষের তালিকা করে বণ্টন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার কেজিরও অধিক গোসত জমা হয়েছে। আড়াই কেজি করে দেওয়া হয়েছে৷ কেউ না আসলেও বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি৷ সমাজিক ঐক্য ও ধনী-গরিব বৈষম্য দুর করাই আমাদের লক্ষ্য। এটি চলতেই থাকবে৷ ‘

স্থানীয়রা আরো জানান, বর্তমানে এই পঞ্চায়েতের সদস্য বা ‘ঘর’ সংখ্যা হল প্রায় ৫০০। প্রতি কোরবানির ঈদে এদের মধ্যে গড়ে ৪০/৪৬ টি পরিবার কোরবানি দিয়ে থাকে। আর বাকি বড় অংশ কোনো না কোনো কারণে কোরবানি দিতে পারে না। ঈদের আনন্দে যেন ভাটা না পড়ে তাই তাদেরকেও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সমবণ্টন করে কোরবানির মাংস দেয়া হয়ে থাকে।

ঈদের দিন সকালে তারা তাদের জবাইকৃত পশুর এক-তৃতীয়াংশ পঞ্চায়েতের মাঠে দিয়ে যাবেন। আর বাকি অর্ধেক রাখবেন তাদের নিজেদের জন্য। এছাড়া সে জবাইকৃত পশুর চামড়াও পঞ্চায়েতে জমা দেবেন। মাংস জমা হওয়ার পর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে তা কেটে ভাগ করা হয়।

এ পঞ্চায়েতের বা সমাজের যিনি কোরবানি দিয়েছেন তিনিও মাংস পান এবং যিনি কোরবানি দেননি তিনিও মাংস পান। অর্থাৎ এ পঞ্চায়েতের সব ঘরেই কোরবানির মাংস পৌঁছায়।

;

কুষ্টিয়ায় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আব্দুল জলিলের ইন্তেকাল

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল জলিল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর রাত সাড়ে চারটার সময় কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। আব্দুল জলিল অবিভক্ত কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও ছিলো তার অসংখ্য স্মৃতি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। ২মেয়ে ১ ছেলে নাতী-নাতণীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এই মহান ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী সংগঠনসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এ্যাড. আব্দুল জলিলকে গার্ড অব অনার শেষে জানাযা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের কুটিপাড়াস্থ মডেল মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের উপস্থিতিতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এই বীর যোদ্ধাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক নেতা ডা. আমিনুল হক রতন, চেম্বার নেতা বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা জাসদের সভাপতি হাজী মহসিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের অংশগ্রহণে জানাযা শেষ করে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

গেলো বছর এগারো ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে বার্তা২৪.কমকে কুষ্টিয়া শহরে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল বলেন, ‘দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিসংগ্রামে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন তাদের সমাধি হিসেবে কুমারখালী, বংশীতলা, বিত্তিপাড়াসহ জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক গণকবর রয়েছে। এসব স্থানে নির্বিচারে হাজারো ব্যক্তিকে গণহত্যা করা হয়েছে।’

তবে, ‘যে স্বপ্নধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করতে লাখ প্রাণের বলিদান, সেই স্বপ্নপূরণ এখনও সুদূর পরাহত।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *