শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছাড়লেও ছাড়েনি যানজট

ডেস্ক রিপোর্ট: মোবাইল ফোনে কল ড্রপ নিয়ে গ্রামীণফোনের পর এবার কারণ দর্শাও নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে রবি আজিয়াটা ও বাংলালিংককে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এই চিঠি দিয়েছে ।

গত ১ জুলাই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিটিআরসিতে মোবাইল অপারেটরদের মান্নোয়ন সংক্রান্ত এক বৈঠকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে কল ড্রপের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়ে আনতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি কল ড্রপের বিষয়ে গ্রাহক অসন্তোষের কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে কোনো মোবাইল অপারেটরকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি জরিমানা আদায়ের ঘোষণা দেন পলক।

এরই মধ্যে প্রতিমন্ত্রী ৪ জুলাই কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিজে উপস্থিত থেকে ড্রাইভ টেস্ট মনিটরিং করেন। জানাগেছে, প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে দেশব্যাপী টেস্ট ড্রাইভ শুরু হয়ে গিয়েছে। ড্রাইভ টেস্টের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অপারেটরদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিনিউকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) স্বীকৃত কল ড্রপের হার ৩ শতাংশ বা এর নিচে। সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি তথ্য মতে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক সবারই কল ড্রপ ওই সীমার নিচে রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী কল ড্রপের জন্য ক্ষতি পূরণ দিতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন, মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করা হবে। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কল ড্রপ রেট কাগজে কলমে যাই থাকুক, আমরা গ্রাহক সন্তোষ্টির ওপর জোর দেব।

সাধারণত মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কেও কারণে কল ড্রপ হয়ে থাকে। মূলত প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতা, স্প্রেকট্রাম স্বল্পতা, এন্টেনা ও রেডিওতে কেবলের কানেকশন দূর্বলতার কারণে কল ড্রপ হয়ে থাকে।

তবে শুধুমাত্র এসব কারণই অনেক সময় কল ড্রপের জন্য এককভাবে দায়ী থাকে না। হ্যান্ডসেট সমস্যা, ভূগর্ভস্থ কেবল কাটা পড়া বা এর মানের অবনতি এবং টাওয়ার কোম্পানির সেবার মানের কমতি থাকলেও এই সমস্যা তৈরি হতে পারে।

ঢাকা শহরে উঁচু ভবন, টাওয়ার রেডিয়েশন নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপনে বাধা, অবৈধ জ্যামার, রিপিটার, বুস্টারের কারণেই নেটওয়ার্ক বাধাগ্রস্থ হয়।

২০২২ সালে জাতীয় সংসদে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কল ড্রপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে কল ড্রপ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।