সারাদেশ

ছাগল পিকআপভ্যানে তুলে পালানোর সময় আটক চোর

ডেস্ক রিপোর্ট: ঐতিহ্যবাহী গদখালী রেলস্টেশনটি পুনরায় চালুসহ ছয় দফা দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে গদখালী রেল স্টেশন চত্বরে এ যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বেলা দেড়টার দিকে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি তিন মিনিট গতিরোধ করে অবরোধ করে রাখা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গদখালী রেল স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পরবর্তীতে ভারত, পাকিস্থান ও বাংলাদেশে যখন এক রাষ্ট্র ছিল তখনও এ ষ্টেশনটি চালুছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই রেল লাইন চালু ছিল এবং ষ্টেশনও চালু ছিল, কিছুদিন যশোর বেনাপোল রেল লাইনটি বন্ধছিল, পরবর্তীতে আবারও এই রেল লাইন চালু হলেও গদখালী রেল ষ্টেশনটি চালু হয়নি। এ অঞ্চলের মানুষ গদখালী রেল ষ্টেশন থেকে বনগাঁও হয়ে কোলকাতায় বাজার করতে যেত। এখন ট্রেন ভারত যাচ্ছে কিন্তু অনেক পুরাতন গদখালী রেল স্টেশন চালু হয়নি। গদখালী রেল ষ্টেশনটি চালুর জন্য আমরা এই অঞ্চল থেকে মন্ত্রণালয়সহ রেল কোম্পানীকে আবেদনের মাধ্যমে লিখিত জানিয়েছি কিন্তু সফলতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া এই ষ্টেশনটি চালু না হওয়ার পিছনে স্থানীয় কিছু কুচক্রীমহল চালু না করার পক্ষে কাজ করেছে।

ফুল উৎপাদন সমিতির নেতৃবৃন্দরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী গদখালী রেল স্টেশনটি চালু নিয়ে এলাকার জনগন তাদের প্রাণের দাবী। কারণ, ফুলের রাজ্যে হিসাবে খ্যাত, এখানকার নানাজাতের ফুল ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যায়। দেশের চাহিদার ৭০ শতাংশ ফুল এই অঞ্চল থেকে সরবরাহ হয়। শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত রেলবগি (ভ্যান্ডার) ফুল ও সবজি পরিবহনের জন্য বরাদ্দ দিলে, গদখালী কে স্টেশন থেকে ফুল ও সবজি সরবরাহ করা যাবে। ফুলের রাজ্যে ফুল পরিদর্শনে হাজার হাজার দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত বিশেষ করে খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ থেকে তারা ট্রেনে যশোর বেনাপোলে নেমে তারপর অন্যান্য পরিবহন ব্যবহার করে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরত্ব যাতায়াত করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এলাকার প্রান্তীক জনগোষ্ঠির একাংশ স্বল্প ভাড়ায় খুলনা, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করার সুযোগ পাবে। হাজার হাজার জনগনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সমাবেশে ৬ দফা দাবী জানিয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

দাবীগুলো হলো- গদখালী রেল ষ্টেশনটি পূণঃচালু করতে হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে যশোর-বেনাপোল, দর্শনা-যশোর রুটে দুইটি এবং উত্তরবঙ্গে একটি নিয়মিত রেল চালু করতে হবে। ফুল ও সবজি পরিবহনে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত একটি রেলবগি (ভ্যান্ডার) চালু করতে হবে। অবশ্যই ট্রেন ভাড়া বাস ভাড়া থেকে কম রাখতে হবে এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা টিকিট প্রাপ্তির বিকল্প ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিম্ন আয়ের জনগনের জন্য আলাদা ট্রেনবগি ব্যবস্থা করতে হবে। দর্শনা থেকে খুলনা পর্যন্ত ডবল রেল লইন।

দাবী সমাবেশে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু, ঝিকরগাছা উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদুর রহমান রশীদ, গদখালী বাজার কমিটির পক্ষ থেকে ডাক্তার কামাল হোসেন, গদখালী স্বজন চক্রের নির্বাহী পরিচালক সুভাস ভক্ত বাবু, যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য সেলিম রেজা। পরিচালনা করেন যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক হোসেন। দাবী সমাবেশে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *