সারাদেশ

দূষণের তালিকায় শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থা কেমন

ডেস্ক রিপোর্ট: দূষণের তালিকায় শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থা কেমন

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বড় ও ছোট শহরগুলোর বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে দূষণ কিছুটা কমেছে। টানা বৃষ্টির পর গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ৯টা ৩৪ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ৬৮ স্কোর নিয়ে ২৯ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২১০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। আবার ১৭২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা, ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। আবারও ১৬০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো এবং পঞ্চম অবস্থানে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, যার স্কোর ১৫৪।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন — বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

কটিয়াদীতে পুকুর থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

কটিয়াদীতে পুকুর থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর এক স্কুল ছাত্রের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি পেয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ।

নিহত শিশু মো. ইমন (১০) জালালপুর ইউনিয়নের উত্তর চর-ঝাকালিয়া গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের ছেলে। সে কটিয়াদী ১নং সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ৪ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়ার জন্য কটিয়াদী পশ্চিম পাড়ায় শিক্ষকের বাসায় রওনা হয় ৷ নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হবার পরেও বাড়িতে ফিরে না আসায় দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। পরে বিষয়টি কটিয়াদী মডেল থানায় অবহিত করে পরিবার। মঙ্গলবার ভোরে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের ভিতরের পুকুরে স্থানীয় ব্যাক্তিরা একটি মরদেহ ভাসতে দেখে। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্বজনরা এসে দেখে মরদেহটি ইমনের বলে শনাক্ত করে।

১নং সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সুজিত কুমার বলেন, প্রতিদিন পড়তে আসলেও গতকাল সে আসেনি। গতকাল থেকে তার পরিবার ও আমরা তার সন্ধান করছিলাম।

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সকালে উপজেলা পরিষদের পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেতে পেয়ে স্থানীয়রা আমাকে জানায়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।

কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে।

;

কোটা ইস্যু: আজ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও কোটা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৯টা ৩৫মিনিটে দোয়েল চত্বরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।

সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বহিরাগত এনে হামলা করে আমাদের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। সরকার ও প্রশাসন চাচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন বানচাল করতে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এই ঘটনা।

তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে এসে কোটা আন্দোলনের পক্ষে কথা বলবেন। কিন্তু তিনি তা না করে আমাদের কুটুক্তি করেছেন। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিবে।

ঢাবি শিক্ষার্থীরা আসিফ মাহমুদ বলেন, যে ভিসি ও প্রক্টর আমাদের বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই, আমরা তাদের পদত্যাগ চাই।

;

মানুষের উপকার অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মানুষের উপকার অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মানুষের উপকারে আসবে এমন প্রকল্প গ্রহণ ও হাসপাতাল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘মানুষের উপকারে আসবে এমন প্রকল্প, হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব। একটা দরিদ্র মানুষ রংপুর থেকে ডায়ালাইসিসের জন্য ঢাকা আসবে সেটা তো হয় না। আমি এমন প্রকল্প নিয়েই কাজ করব যেটা আমি শেষ করতে পারব। সেটা এখন থেকেই করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) কর্তৃক আয়োজিত ‘বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য অভিঘাতের ফলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা যদি আমি নিশ্চিত করতে না পারি, ঢাকায় বসে যতই লেকচার দেই কোনো লাভ হবে না। গ্রামাঞ্চলে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করাটাকে আমি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’

এন্টিবায়োটিকের পর্যাপ্ত ব্যবহার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া সামান্য সর্দি জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্ট ভয়ানক একটা জিনিস। এ প্রসঙ্গে আমি বলব ডিজি ড্রাগকে আরও শক্ত হতে হবে। ফার্মেসিতে গিয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে।

প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেম চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক প্রেসক্রিপশন সিস্টেম যদি চালু করা যায় তাহলে যথাযথ মনিটরিং করা সম্ভবপর হবে, ওষুধের যথেচ্ছ এবং মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমি মন্ত্রী হবার মেয়াদ মাত্র ছয় মাস। এই ছয় মাসে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আমি অন্তত সাতটি সভা করেছি। আমি যেভাবেই হোক এটা মহান জাতীয় সংসদে নিয়ে যাব। কারণ রোগী এবং চিকিৎসক উভয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা আমার দ্বায়িত্ব।’

বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষক ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ পারিবারিক আয় ব্যয় জরিপের ২০২২ (এইচআইইএস) ভিত্তিতে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

;

মধ্যরাতে জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের ভবনে আশ্রয় নেওয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের নিয়ে আবারও হামলা করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ২টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলমের বাসভবনের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মাথায় হেলমেটসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকের সামনে। ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ সদস্যরাও। তবে পুলিশকে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে উপাচার্যের ভবনে ঢুকে আমাদের ওপরে হামলা চালানো হয়। তাদের কাছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ছিল। 

এর আগে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এলে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে প্রায় অর্ধশত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহন হন।

এরই প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে পেট্রেোল বোমা, দেশীয় অস্ত্র, রামদা, চাপাতি ও শট গান নিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

সর্বশেষ তথ্যমতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ভিসির বাসভবনের সামনের মাঠে অবস্থান করে ইট-পাটকেল ছুড়ছে। আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকদের অনেকেই উপাচার্যের বাসভবনের অভ্যন্তরে আটকে আছেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *