সারাদেশ

কোটা আন্দোলন নিয়ে নিজের স্ট্যাটাস মুছে ফেলার কারণ জানালেন ফারুকী

ডেস্ক রিপোর্ট: কোটা আন্দোলন নিয়ে নিজের স্ট্যাটাস মুছে ফেলার কারণ জানালেন ফারুকী

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

কোটা আন্দোলন নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তা আবার মুছে ফেলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এমনিতেই দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শিল্পী সমাজ সেভাবে ভূমিকা রাখছেন না। তারমধ্যে ফারুকীর স্ট্যাটাস মুছে ফেলাটা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

+অবশেষে কেন তিনি সেই স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেছেন সে কথা জানালেন আরেকটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। গতকাল ফারুকী লিখেছেণ, ‘আমি কিছুদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সরিয়ে ফেলেছি কারণ, একটা স্ট্যাটাস দিলে আমার মাথার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়! পরবর্তীতে আরেকটা কথা লিখতে ইচ্ছা হয়। লিখতে থাকলে যত বেশি এংগেজড হই সেটা আমার শারীরিক অবস্থার জন্য ভালো না। আমার শরীর সুস্থ করার জন্য যে লড়াইটা সেটা এক দীর্ঘ লড়াই। সেই লড়াইটা করার অনুমতি নিশ্চয়ই পেতে পারি?’

তিনি আরও লেখেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, আমার স্ট্যাটাসটা সরিয়ে ফেলার পর থেকে আজকে পর্যন্ত বিভিন্ন অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লিখেছেন যে, আমি দালাল হয়ে গেছি এই কারণে চুপ হয়ে আছি। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বিপদ হচ্ছে আপনাকে প্রতিদিন প্রমাণ করতে হবে আপনি কে! আজকে রাষ্ট্র যে অবস্থায় এসেছে এ অবস্থায় আসার শুরু যখন হয়েছিল তখন থেকে তারা যদি আমার ফেসবুকের লেখাগুলো একটু গবেষণা করে দেখতো। তাহলে বুঝতে পারত আমি কে, আমি কি বলেছি এবং কি বলার কারণে আমি বারবার বিপদে পড়ি! কোন রিসার্চ নাই, জাস্ট ঢালাওভাবে দালাল বলে দাও।’

সবশেষে ফারুকী লিখেছেন, ‘‘আজকে যে বাইনারি চলছে, হয় তুমি আমার পক্ষে না হয় তুমি আমার বিপক্ষে। এই বাইনারির বিপক্ষে আমি ২০১৪ সালে লিখেছিলাম ‘কিন্তু এবং যদির খোঁজে’, লেখাটি বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাপা হয়েছিল। মনে রাখতে হবে ওই সময় ছিল শাহবাগের সময়। ২০১৩ তে যখন শাহবাগে আন্দোলন শুরু হলো তখন বাইনারি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যে বলতে শুরু হল ‘কিন্তু এবং যদি’ যে বলবে সেই রাজাকার, সেই ছাগু। সেই ছাগু ট্যাগটাকে আমি গলার মালা হিসেবে নিয়ে আমি লিখেছিলাম ‘কিন্তু এবং যদির খোঁজে’। কিছুদিন আগেও আমি বলেছি, স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারাটাই স্বাধীনতা!’

শুধু ব্যক্তিগত কৈফিয়ত দিয়েই ক্ষান্ত হননি ফারুকী। তিনি চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন, ‘আপনারা যারা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরীর জন্য, তারা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা শ্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সম মর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আছেন তাদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তারা না। আসল মালিক জনগন। সেই জনগনকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা। রাষ্ট্র জনগণকে কেনো পাত্তা দেয়না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও শ্লোগান আকারে শুনেছি। এই আন্দোলন মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অল পাওয়ার টু দ্য পিপল। অল পাওয়ার টু দ্য ইয়ুথ। প্রেয়ারস ফর মাই ফেলো সিটিজেনস। শহীদের রক্ত কখনো বিফলে যায় না।’

সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়, পারলে যেতাম : কবির সুমন

কবীর সুমন

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতীয় বাঙালি গায়ক-অভিনেতা ও সংসদ সদস্য কবীর সুমন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না।’

আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয় আসলে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালবাসা আমি পেয়েছি তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই বা কেন। তিনি বলেন, ‘ছবি দেখছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। একটু আগেই দেখলাম। মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। নেপথ্যে শোনা যাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের ‌‘কারার ঐ লৌহকপাট/ ভেঙে ফেল কর রে লোপাট’! মনে হচ্ছে গানটি এডিট করে বসানো হয়েছে ভিডিওর সঙ্গে। ঠিক কাজই করা হয়েছে। কত সময়ে দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আমার গানের লাইন লিখে দিয়েছেন দেয়ালে। পশ্চিমবঙ্গে সে তুলনায় কিছুই দেখিনি। বলতে দ্বিধা নেই মনে মনে আমি বাংলাদেশেরও নাগরিক।’

কবীর সুমন তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলা ভাষা আর বাংলা খেয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি বাঁধা-ভালবাসার বন্ধনে। গতবার ঢাকায় গানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যে সম্মান ও ভালবাসা পেয়েছি তা ভারতে পেয়েছি কবার? এ হেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তাও তো ঠিকমতো জানি না। তাও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাংলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্র-বাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন।’

কবীর সুমন লিখেছেন, ‘আর কী বলি। আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তিরক্ষার জন্য আহবান করতাম। হানাহানি বন্ধ হোক। বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ। বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।’

;

কোটা সংস্কারের পক্ষে যুক্তি দেখালেন তারকারা

সায়ান(বামে), শাওন(মাঝে), সোহেল রানা(ডানে) / ছবি : সংগৃহীত

দেশের সবচেয়ে গুরুতর চলমান সমস্যা কোটা আন্দোলন। মূলত ছাত্র আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও, বর্তমানে গুরুতর জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেশে ও বিদেশে সংবাদের শিরোনামে এসেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। দেশের নাগরিক হিসেবে তারকারাও তাদের মতামত প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।  

এর আগে আন্দোলনের প্রথম দিকেই সালমান মুক্তাদির ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। এছাড়া পরিচালক আশফাক নিপুণ, ওপার বাংলার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি, সুপার স্টার শাকিব খান, অভিনেত্রী পরিমণি, অভিনেতা সুমন আনোয়ার, ছোটপর্দার অভিনেতা নিলয় আলমগীরসহ অনেকেই ছাত্রদের পক্ষে সমর্থন জানান। সকলেরই বক্তব্য যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা। 

সম্প্রতি ভিডিওসাক্ষাৎকারে সঙ্গীতশিল্পী সায়ান এবং প্রবীণ অভিনেতা সোহেল রানাও ব্যক্তিগতভাবে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছে আলোচনায় এসেছেন। কোটা সংস্কারের পক্ষে দুজন যেমন মন্তব্য করেছেন, তেমন শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণের জন্যও তারা দুঃখ প্রকাশ করেন। সায়ান বলেন,‘জয়ের বাংলা ভয়ের বাংলা কেন হবে? একটা বাচ্চা ছেলে বুক উচিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। নিরস্ত্র ছেলেকে যে গুলি করে মারা হলো, এটার জবাব কে দেবে? আমি ছাত্রদের পক্ষে, আমার পেইজে গেলেই দেখতে পাবেন। কেউ রাজাকার তকমা চায়না। আমি তো চাই না। আমার দেশ অনেক কষ্ট করে অর্জন করা।’         

এছাড়া একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পার হয়ে গেছে। যদি একজন ১২ বছর বয়সেও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকে, তাহলে তার বয়স এখন ষাটোর্ধ্ব। তিনি অবশ্যই সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে যাবেন না। যদি তার সন্তানের কথা চিন্তা করি, ২০ বছর বয়েসি কোনো যোদ্ধারও যদি ছেলে হয়, তার বয়স এখন ৪০-৪৫ বছর হবে। তিনিও অবশ্যই চাকরির পরীক্ষা দিতে যাবেন না। এই কোটা তাহলে আসলে কাদের জন্য?’

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ফেইসবুকে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন,   ‘বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো এই নিরস্ত্র মানুষটাকে সরাসরি গুলি করা পুলিশ ভাই কি কাল রাতে ঘুমাতে পেরেছেন? উনার কি কোনো সন্তান আছে? সেই সন্তানের চোখের দিকে তাকাতে উনার কি একটুও লজ্জা লাগবে না!’ এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে জানান, তিনি ছাত্রদের পক্ষে। এছাড়া এরপর তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘দয়া করে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাদের পরিবার নিয়ে কোনো প্রকার বাজে মন্তব্য করবেন না।’

এছাড়া সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন,‘মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতেই এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা তুলে নেওয়া উচিত।’  

;

এবার বাংলাদেশের ছাত্রদের দুঃখে ব্যথিত ইমরান হাশমি

ইমরান হাশমি / ছবি : সংগৃহীত

দেশে বর্তমানে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। শিক্ষার্থীদের একদফা দাবির ফলাফল স্বরূপ আজ আবার এতবছর পর রাজপথ রক্তে ভিজে উঠেছে। নিহত এবং আহত শিক্ষার্থীদের সমর্থন করছেন অনেক তারকারাও।

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন কেবল দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এখন আন্দোলনের এই খবর শিরোনামে রয়েছে। প্রথম দিকে দেশীয় অধিকাংশ শিল্পী এবং তারকারা চুপ থাকলেও এখন একে একে সকলেই শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।

অভিনেতার পোস্ট ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেতা ইমরান হাশমি তার নিজস্ব একাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন, ‘আমি আর কোনো মায়ের কোল খালি দেখতে চাইনা। আর কোনো বুকে রক্ত দেখতে চাইনা। আমি আর কারো কান্না শুনতে চাই না। তাই অনুগ্রহ করে আলোচনায় বসুন এবং একটি যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। ছেলেমেয়ে গুলোকে অক্ষতভাবে ঘরে ফিরে যেতে দিন, বিশ্ববিদ্যালয় হোক নিরাপদ।’ এরপর তিনি ‘সেইভ বাংলাদেশী স্টুডেন্টস’ হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেন।

এছাড়া এর আগে ওপার বাংলার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি ছাত্রদের পক্ষে সমর্থন জানান। তার পোস্টে বাংলাদেশের প্রতি তার এবং তার পরিবারের ভালোবাসা ফুটে ওঠে। ঢাবি ঘোরার অভিজ্ঞতা এবং জাবিতে আসার ইচ্ছার কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।  

;

কোটা আন্দোলন নিয়ে স্বস্তিকার আবেগঘন স্ট্যাটাস

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে সারাদেশে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এক দফা দাবিতে উত্তাল রাজপথ। কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরতদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন করেছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ইউটিউবাররা। তবে এবার সেই ইস্যুতে একাত্মতা পোষণ করেছেন দেশের বাইরের তারকরাও। সম্প্রতি কোটা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী।

নিজের ফেসবুক একাউন্টে এক আবেগঘন পোস্টে ভারতীয় এ নায়িকা লিখেছেন, ‘প্রায় এক মাস হলো আমি নিজের দেশে নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খবরের চ্যানেলে তৃতীয় বিশ্বের কোনো খবরই তেমন একটা চলেনা। আর আমি খুব একটা ফোনের পোকা নই তাই এত খারাপ একটা খবর কানে আসতে দেরি হলো।
এই তো কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ গেলাম, খুব ইচ্ছে ছিলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার। চারুকলা যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, জীবনের একটা স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। প্রতিবার আসি, ব্যস্ততায় যাওয়া হয়না, মা’ও খুব যেতে চাইতেন বাংলাদেশ, নিয়ে যাওয়া হয়নি, কিন্তু আজ একটা ভিডিও দেখলাম, গুলির ধোঁয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আক্রান্ত। ছাত্র বয়স গেছে সেই কবে, তবে জাহাঙ্গীরনগর আর আমার যাদবপুর খুব কাছাকাছি। কাঠগোলাপের গাছ গুলোও কেমন এক রকম। এক রকম আকাশের মেঘগুলোও। কেবল আজ ওখানে বারুদের গন্ধ।’ 

‘ময়দান ভারী হয়ে নামে কুয়াশায়
দিগন্তের দিকে মিলিয়ে যায় রুটমার্চ
তার মাঝখানে পথে পড়ে আছে ও কি কৃষ্ণচূড়া ?
নিচু হয়ে বসে হাতে তুলে নিই
তোমার ছিন্ন শির, তিমির। ‘

‘এমন এক আপ্যায়নপ্রিয় জাতি দেখিনি, খাবারের নিমন্ত্রণ যেন শেষ হতেই চায় না, অমন সুন্দর করে সারা রাস্তা জুড়ে ভাষার আল্পনা আর কোথায় দেখবো ? নয়নজুড়ানো দেওয়াল লেখা? এ বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের শপথ নেওয়া একটা জাতির পক্ষেই সম্ভব।

আজ, অস্থির লাগছে। আমিও তো সন্তানের জননী। আশা করবো বাংলাদেশ শান্ত হবে। অনেকটা দূরে আছি, এই প্রার্থনাটুকুই করতে পারি।
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো – সেই আমাদের আলো… আলো হোক…ভাল হোক সকলের ।’ 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *