সারাদেশ

ড্রাইভিং লাইসেন্সকে ‘কারফিউ পাস’ হিসেবে দেখতে ডিসির নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: ড্রাইভিং লাইসেন্সকে ‘কারফিউ পাস’ হিসেবে দেখতে ডিসির নির্দেশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

কারফিউ চলার সময়ে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা যাতে নির্বিঘ্ন থাকে সেজন্য চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সকে কারফিউ পাস হিসেবে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি এ সময় জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক পণ্য পরিবহণের জন্য নিরাপদ বলেও চালকদের আশ্বাস দেন।

বুধবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভিন্ন পণ্য পরিবহণ সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘দেশের স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে জেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। ৩০ হাজার শ্রমিক নিয়ে কোরিয়ার ইপিজেড, আড়াই লাখ শ্রমিক নিয়ে কর্ণফুলী ও চট্টগ্রাম ইপিজেড ইতোমধ্যে চালু হয়ে গেছে। এ জেলায় ৫০০ গার্মেন্টেসের প্রায় সবগুলোই উৎপাদনে চলে গেছে।’

সভায় বিভিন্ন পণ্য পরিবহণ সমিতির প্রতিনিধিরা ড্রাইভারসহ পণ্য পরিবহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা কারফিউ চলাকালীন সময়ে চলাচলের ব্যাপারটি উল্লেখ করলে জেলা প্রশাসক তাদের পরিচয় পত্র কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সকে কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচনা করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে যানবাহনের প্রাথমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শ্রমিক ও ড্রাইভারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শও দেন ডিসি।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মহাসড়কে অধিকতর নিরনাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বয় সেল গঠন করা হবে। পণ্য পরিবহণের ড্রাইভারদের জন্য মহাসড়কে সীমিত আকাওে খাবার হোটেল চালু রাখার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেবেন বলে জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান নিরাপত্তা নিশ্চিতে একাধিক ট্রাক একসঙ্গে কনভয় আকারে চলাচল করার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে যে কোন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে (০২-৪১৩৬০৬০৪) যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় পরিবহন সমিতির নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে

ছবি: সংগৃহীত

মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক সম্পর্কে বলা হয়েছে, আজ দেশের দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বান্দরবানে ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

;

সহিংসতার ২০১ মামলায় ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ২২০৯

ডিএমপি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০১টি। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ২০৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সহিংসতা, নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) ৭৩ মামলায় ১৭৫৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আর আজ ১২৮ মামলায় ৪৫১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরমধ্যে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২০১ জনকে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

;

কোনো বিবেকমান মানুষ ধ্বংসাত্মক সহ্য করতে পারেনা: নৌ প্রধান

নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান

সরকারের নির্দেশে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুরক্ষা দিতে শসস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে-চলমান পরিস্থিতি থেকে দেশের মানুষ খুব শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য এবং যে কোনো নাশকতামূলক ও দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখতে সশস্ত্র বাহিনী কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টায় মোংলা সমুদ্র বন্দরে পরিদর্শন ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, গত ২০ জুলাই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের পরই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এবং খুব শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারবো আমরা। দেশের স্বার্থ বিরোধী ও অপতৎপরতা রোধে সশস্ত্রবাহিনী অন্যান্য বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে। 

তিনি বলেন, সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েনের ফলে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমাদের এই কর্মকাণ্ডে আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে আপামর জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দায়িত্বশীল মিডিয়ার কোনো বিকল্প নেই। তাই আপনারা উন্নয়ন-অগ্রগতিসহ সার্বিকভাবে আমাদের কর্মকাণ্ডে সহায়তা করবেন।

নৌ বাহিনী প্রধান বলেন, সকলের গর্ব পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশের আমদানি-রপ্তানিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে মোংলা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই বন্দরকে ঘিরে গড়ে ওঠা শিল্প এলাকা, ইপিজেডসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।

সকলের সহযোগিতা পেলে দেশের চলমান পরিস্থিতি থেকে খুব শিগগিরই উত্তরোন করতে সক্ষম হবেন এবং দেশকে পুনরায় উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।তিনি দাবি করেন, সন্ত্রাসীরা যেভাবে ধ্বংসাত্মক কাজ চালিয়েছে তা কোন বিবেকমান মানুষ সহ্য করতে পারেনা । তারা দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছে । এটা মেনে নেওয়া যায়না।

এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন-মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান ও খুলনা নৌ অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা। #

;

চট্টগ্রামে মামলার সংখ্যা বেড়ে ২৮, গ্রেফতার ৭৩৮

ছবি: বার্তা২৪, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স, চট্টগ্রাম

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় এ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতার ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় আরো ১১টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৮টি মামলা দায়ের হলো।

পুলিশ জানিয়েছে, নগরী ও জেলায় দায়ের হওয়া মোট ২৮টি মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ৭শ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই সরকারবিরোধী নাশকতার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের দাবি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নগরীতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ঘটনায় এ নিয়ে ১৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনসহ মোট ৪শ ৮ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সর্বশেষ বুধবার হালিশহর থানায় একটি নাশকতার মামলা দায়ের হয়েছে৷ এ মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১শ থেকে ১শ ৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

নগরীতে দায়ের হওয়া ১৭টি মামলার মধ্যে পাঁচলাইশ থানায় ছয়টি, কোতোয়ালি থানায় চারটি, বাকলিয়া থানায় একটি, চান্দগাঁও থানায় চারটি, খুলশী থানায় একটি এবং হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় হাটহাজারীতে বিআরটিএ’র ডিপোতে বাসে অগ্নিসংযোগসহ আরো কয়েকটি উপজেলায় ছোটখাটো নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেগুলো প্রতিরোধ করেছি। এসব ঘটনায় মোট ১১টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত পাঁচদিনে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩শ ৩০ জনকে। এদের মধ্যে অনেকেই সরকারবিরোধী নাশকতার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলন ১৬ জুলাই থেকে চট্টগ্রামে সহিংসতায় রূপ নেয়। এরপর থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত লাগাতার সংঘাতের ঘটনা ঘটে নগরীতে। সংঘাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *