সারাদেশ

নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির জন্য কাজ করছি: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: সারাদেশে এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে মোবাইলে ফোরজি ইন্টারনেট সংযোগও মিলবে। এমনটাই বলছে সরকার। বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে এমনটাই আভাস দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে ফেসবুক কবে চালু হবে সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো আভাস মেলেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছিল তখন বাংলামোটর এলাকায় ফেসবুক সচল পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের তরফ থেকে ফেসবুক চালু হওয়া নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তার নিজস্ব বক্তব্য শেষ হলে মোবাইল ইন্টারনেট বা ফোরজি চালু করা নিয়ে প্রশ্ন আসে সাংবাদিকদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, আগামী শুক্র বা শনিবার অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইলফোন অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে বসবেন। এরপর তিনি রোববার থেকে ফোরজি চালু করার বিষয়টি স্পষ্ট করেন।

প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরপরই ফেসবুক চালু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন আসলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ফেসবুক এদেশে ব্যবসা করে, এখান থেকে অর্থ উপার্জন করে। কিন্ত এদেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়গুলো কখনোই আমলে নেয় না। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের আইন-কানুন মেনে, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে সেইসব দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামাজিক যোগাযোগের এ ধরনের মাধ্যমে বিনিয়োগের আহবান জানান।

জুনাইদ আহমেদ পলক এসময় বাংলালিংকের টফি, রবির বিঞ্জ ও গ্রামীণফোনের বায়োস্কোপের প্রশংসা করে বলেন, এদেশীয় যেসব অ্যাপ বাংলাদেশে রয়েছে, আগামীতেও এ ধরনের বিনিয়োগ আসলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। তবে ফেসবুকের বিষয়ে তিনি এসময় বলেন, ফেসবুক যদি এই সহিংসতার সময় খোলা থাকতো, তাহলে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সহিংসতা আরও তীব্র আকার ধারণ করতো।

প্রতিমন্ত্রী ফেসবুককে চিঠি দেওয়া হবে উল্লেখ করে বলেন, তাদেরকে আমরা অফিসিয়ালি চিঠি দিবো। সহিংসতা প্রতিরোধে তাদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাইবো। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারার ভিডিও যদি ফেসবুকে আপলোড করা হতো, তাহলে এ নিয়ে সহিংসতা আরও তীব্রতর হতে পারতো। ফেসবুককে এসব বিষয় বুঝতে হবে।

গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ফেসবুক বন্ধের বিষয়টি আলোচনা হয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে কয়েকজন সচিব এই দাবি তুলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ হয়নি। তবে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির সময় বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ও অ্যানালিটিক্সি প্ল্যাটফর্ম নোপোলিয়নক্যাটের এক তথ্য বলছে, গত বছর জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুকের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *