সারাদেশ

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

ডেস্ক রিপোর্ট: যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা

ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;

৫ দিন পর চালু হলো বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটের লঞ্চ

ছবি: বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটের লঞ্চ

টানা পাঁচদিন পর সচল হলো বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুট। ‘কারফিউ’ শিথিল থাকায় শুক্রবার (২৬ জুলাই) বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে লঞ্চ। তবে যাত্রীদের চাপ না থাকায় বরিশাল নদী বন্দর থেকে মাত্র একটি লঞ্চ ছেড়ে যায়।

এর আগে ‘কারফিউ’ ঘোষণার পর গত ২০ জুলাই থেকে বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তথ্য নিশ্চিত করে বরিশাল নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন জানান, কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় সারাদেশে সহিংসতা হয়। সহিংসতা থেকে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় গত ১৯ জুলাই রাত থেকে সারাদেশে কারফিউ ঘোষণা করে সরকার।

এদিকে কারফিউ ঘোষণার কারণে গত ২০ জুলাই থেকে বরিশাল-ঢাকা এবং অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে বন্ধ হয়ে যাত্রী যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল।

কারফিউর কারণে নৌ-যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় শ্রমিকদের। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায় দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক এবং কলম্যানদের।

এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ জুলাই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। ফলে ঐদিন থেকেই বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল শুরু হয়। তবে ৬টার পর থেকে কারফিউ থাকায় দূরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে।

বরিশাল নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এ কারণে শুক্রবার রাতে বরিশাল থেকে দুটি লঞ্চ ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার জন্য ঘাটে বার্দিং করা ছিল।

তবে যাত্রীসল্পতার কারণে শুধুমাত্র এমভি সুন্দরবন-১২ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। রাত ৯টায় কারফিউ শুরু হওয়ায় তার আগেই রাত পৌনে ৯টার দিকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে লঞ্চটি ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় নদী বন্দর এলাকায় নৌ-পুলিশ এবং নদীতে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও শনিবারও বরিশাল থেকে ঢাকায় লঞ্চ ছেড়ে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

;

দীর্ঘদিন অনুপস্থিত তিন চিকিৎসক, দুর্ভোগে রোগীরা

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় বরিশালের আগৈলঝাড়ার ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত হাসপাতালের তিন চিকিৎসক। ফলে যথাযথ স্বাথ্যসেবা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে  হচ্ছে রোগীদের।

অভিযোগ রয়েছে, শক্ত তদারকির অভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। তাই নিরুপায় হয়ে অনেক রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডা. আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালের ১ জুলাই আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন। মাত্র পাঁচ মাস তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন। একইভাবে ২০১৪ সালের ৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছেন ডা. সোমা হালদার। এক বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বও থেকে তিনিও অনুপস্থিত রয়েছেন।

সূত্র আরও জানায়, ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে যোগদান করেছিলেন ডা. শাহানা রহমান। গত ৮ মাস ধরে তিনি হাসপাতালে আসছেন না।

দীর্ঘদিন থেকে উল্লেখিত ওই তিনজন চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলেও তাদের জায়গায় কোনো নিয়োগ হচ্ছেনা। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীদের সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিপাকে পড়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলাকারীদের শাস্তি না হওয়ায় উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে শক্ত তদারকির অভাব।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেছেন, আবু বকর সিদ্দিক ও সোমা হালদারকে একাধিকবার কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও কাজে ফেরেননি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান। এছাড়া ডা. শাহানা রহমানকে কাজে যোগদান করতে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসেই চিকিৎসকদের তথ্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই হিসেবে মন্ত্রণালয় বিষয়টি সম্পর্কে জানে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এক চিকিৎসকের চাকরি হয়তো আর নেই। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন বিদেশে, অন্যজন কোথায় জানি না। চিকিৎসক নিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, পদগুলো খালি না হওয়া পর্যন্ত পদায়ন সম্ভব না। ফলে নতুন করে চিকিৎসক পেতে সময় লাগবে।

;

ডিএমপিতে ২০৯ মামলায় গ্রেফতার ২৩৫৭

ছবি: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ২০৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এসব মামলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নাশকতা-সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার(এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২০৯টি। আর এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ডিএমপি গ্রেফতার করেছে ২৩৫৭ জনকে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *