সারাদেশ

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার চান রওশন

ডেস্ক রিপোর্ট: মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিগত দিনে ‘শত্রু-মিত্র’ চিনতে ভুল করেছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, দলটিতে আমূল সংস্কার দরকার। দলে ভেতরে থাকা আগাছাদের বের করে দেওয়া প্রয়োজন।

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে নজিরবিহীন নাশকতা ও হতাহতের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে আসার সমালোচনায় এই মন্তব্য করেন তিনি। অবসর জীবনে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবিধানিক আইন বিষয়ে অধ্যাপনা ছাড়াও বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন তিনি।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি মানিক সমাকালীন বিষয়ে গণমাধ্যমে আলোচক ও কলামিস্ট হিসেবেও সরব রয়েছেন। সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বার্তা২৪.কম এর পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।

বার্তা২৪.কম: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে নজিরবিহীন নাশকতা ও হতাহতের ঘটনার পর এটি প্রতিরোধে ব্যর্থতা প্রশ্নে কাঠগড়ায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সাংগঠনিক বিস্তার সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির নেতারা সেইভাবে মাঠে থাকেননি-এমন অভিযোগও উঠছে। আত্মসমালোচনার জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ হিসেবে আপনি বিষয়টি কিভাবে দেখেন?

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: এ বিষয়ে বলতে হবে, শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করতে ভুল হয়েছে। কারা শত্রু, কারা মিত্র-এটা হয় আইডেন্টিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছি, অথবা ইচ্ছা করে আইডেন্টিফাই করিনি। দলের (আওয়ামী লীগ) ভেতরে সেইসব মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হযেছে যারা আসলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। যাদের বংশ পরিচয় ঘাটলে দেখা যাবে এদের পূর্বপূরুষরা আসলেই রাজাকার-আলবদর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ছিল। যারা মূলতঃ শিবির-জামায়াত এবং বিএনপির পক্ষের মানুষ। তাদের আমরা ফ্রি এন্ট্রি দিয়ে দিয়েছি…যে যেমন ইচ্ছা আমাদের দলে ঢুকো। এখানে কিন্তু দুর্নীতিও কাজ করেছে। অনেকে কিন্তু পয়সার বিনিময়েও পদবী দেওয়া হয়েছে। এগুলো অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে তাদের আওয়ামী লীগের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। আমরা বাছ-বিচার করিনি। তারপরে প্রশাসনে ও পুলিশে এমন অনেক লোক রয়েছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। সেগুলো আমরা খেয়াল করিনি। আমরা ঢালাও ভাবে তাদের ক্ষমতা প্রদান করেছি। যারা মজ্জাগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে …দুঃখজনকভাবে পূর্বপুরুষদের খোঁজখবর কিন্তু যেভাবে করা উচিত ছিল সেভাবে করা হয়নি। কিছু কিছু প্রজন্ম আছে যারা মনে করেছে, তাদের পূর্বপুরুষরা ভুল করেছে। নতুন যারা, যাদের পূর্বপুরুষরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, তাদেরও কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাগুলো সেভাবে ব্যক্ত করতে পারিনি। পাকিস্তানিরা কি ধরণের যুদ্ধাপরাধ করেছে, কি অত্যাচার করেছে সাধারণ মানুষ ও নারীদের উপর।

বার্তা২৪.কম: মতাদর্শেরতো নবায়নের প্রয়োজনীয়তা আছে? আওয়ামী লীগ কি তা অনুভব করেনি?

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: তা তো আছেই। কিন্তু তাদের (মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মকে) তো বলতে হবে। তাদের ডকুমেন্টসহ বলতে হবে, শুধু মুখে বললেই হবে না। ডকুমেন্ট দিয়ে দেখাতে হবে যে একাত্তরে পাকিস্তানি সৈন্যরা এবং তাদের সমর্থক আল-বদর, আল-শামস-রাজাকাররা কিভাবে আমাদের দেশে গণমানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, এগুলো তাদের বোঝাতে হবে। গত তিন দিন আগে ইতিহাসের এক অধ্যাপিকা, তিনি আমাকে একটি মেইল পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তাদের সময়ে কখনো একাত্তরের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরের লোকেরা কিন্তু কন্টিনিউয়াস সেই একাত্তর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তাদের আদর্শের কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে আসছে। তাদের নারীরা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে জামায়াতের আদর্শ প্রচার করে আসছে। যার ফলে এদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তারা কখনো চায়নি পাকিস্তান নামক একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র ভেঙে একটি ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক। সেখানে আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে। আমরা (মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষরা) ভেবেছি মানুষ এমনিতেই সব জেনে যাবে। কিন্তু সেটি তো কথা নয়। আমাদের মধ্যেও এমন অনেকে ঢুকে আছে, যারা আছেন তারাও যে পুতপবিত্র তা কিন্তু নয়। এমন মানুষ অনেক আছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যারা রাজাকারদের আদর্শই বহন করে। সেই সংখ্যাও কম নয় কিন্তু। ওরা বিভিন্ন জায়গায়..শক্তিশালী অবস্থানে থেকে তাদের যে মতাদর্শ তা কাজে লাগাচ্ছে।

বার্তা২৪.কম: কিন্তু দেড় দশক টানা সরকার ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ কেন এই আদর্শ ও চেতনাকে সাধারণের মাঝে বিকশিত করতে পারলো না?

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: কারণ, তারা ভুলে গেছে। তারা এখন নিজেদের স্বার্থ নিয়েই বেশি ব্যস্ত বলে আমি মনে করি। যে আদর্শ নিয়ে তারা একাত্তরে যুদ্ধ করেছিল সে আদর্শ তারা ভুলেই গেছে। তারা ভাবছে যে, এটা এমনিতেই চলবে। তারা অনেকে তাদের সন্তানদেরও মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে খুব বেশি একটা শিখিয়েছে বলে মনে হয় না। মনে হলে এ ধরণের ঘটনা ঘটতো না।

বার্তা২৪.কম: আন্দোলনটি শুরুতেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত আলোচনার মাধ্যমে এই আলোচনাটিও বিভিন্ন মহলে গুরুত্ব পাচ্ছে। আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন…

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: যারা এটা বলছেন, তারা রাবিশ কথা বলছেন। বলছি এজন্য যে, দেখুন ওরা (কোটা আন্দোলনকারীরা) যেটা চায়- সরকার তো সেটাই চেয়ে আসছে। সরকার কোটা সংস্কার চায় বলেই তো হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করল। সুতরাং সেই অর্থে এদের পথে নামাটা প্রয়োজনই ছিল না। তারা কিন্তু অন্য উদ্দেশ্যে নেমেছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী বুঝতে পারেনি বিষয়টা। তাদের চালানো হয়েছে। আসলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কিন্তু প্রথম থেকেই এর পেছনে ছিল। তারাই পরিচালিত করেছে। জামায়াত ও শিবিরের নীলনকশা, অবশ্য নতুন কিছু নয়-বহু পুরনো। প্রথম কয়েক দিন চুপিসারে ছিল, আত্মপ্রকাশ করেনি। দেখেছে ছাত্রদের আন্দোলন, সুযোগমত তারা ঢুকে পড়েছে। সময় মতো তারা মুখোশ খুলেছে। তারা পেছনে না থাকলে ছাত্রদের আন্দোলন এমন পরিণতি পেত না। যেখানে সরকার তাদের পক্ষে কথা বলছে। আন্দোলন যে দিন নামলো সেদিন থেকেই কোন প্রয়োজনই ছিল না। সরকার পরিষ্কারভাবে বলেছে, বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারে। এটা সত্য। দেশ তো সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকারের কোন ক্ষমতা ছিল না আপিল বিভাগের রায় উপেক্ষা করে অন্য কিছু করার। তাহলে সেটা তো সংবিধান নষ্ট করে দেওয়া একটি সরকার হয়ে যেত। সেটা তো গণতান্ত্রিক সরকার হতো না।

বার্তা২৪.কম: শুরুতে আন্দোলনটি শান্তিপূর্ণই ছিল। সেটি সহিংসতায় গড়াল কিভাবে? 

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: সহিংসতা ছাত্র-ছাত্রীরা বোঝেনি, তাদের উল্টা বোঝানো হয়েছে। শিবির-বিএনপি-জামায়াত, এরাই বুঝিয়েছে। কোটার বিষয়ে তাদের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না, তাদের একটাই উদ্দেশ্য রাস্তায় নেমে এই সরকারের পতন ঘটানো। এটা প্রথম দিন থেকেই তারা করে আসছে। যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হতো তাহলে তো এটা হতো না। দু’দিন পর থেকেই তো অশান্তির আন্দোলন হয়ে গেছে এটা। রাস্তা ব্লক করে দেওয়াকে কি আপনি শান্তিপূর্ণ বলবেন? গাড়ি চলাচল বন্ধ..কোন ব্যাখ্যাতেই এটাকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বলা যায় না। আমি তো বলব, পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। শান্তি রক্ষা করা, মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষা করা তো পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পুরোপুরি পালনের অর্থ তো এদেরকে প্রতিহত করা। কিন্তু পুলিশ ও র‌্যাব বাহিনী অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। প্রথম দিকে তো তারা তেমন অ্যাকশনে যায়নি। যেখানে রাস্তা বন্ধ করে সমস্ত দেশ অচল করে দিল। সেখানে পুলিশ যদি অ্যাকশনে যেত তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য হতো। ব্যাপারটা হলো যারা এগুলো করছে তারা জানতো তারা কি চায়? মোটেও কোটা বিষয়ে তাদের কোন ব্যাপার না, তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথা, ‘সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হবে না’।-অর্থাৎ উদ্দেশ্য পরিষ্কার। কি চায় তারা। রিজভী, সাকী, যাদু মিয়ার মেয়েরা-সব রাজাকারের বংশধরেরা যা বলে যাচ্ছে তা অত্যন্ত পরিষ্কার। কত বড় নির্লজ্জ কথা, ‘তুমি কে আমি, রাজাকার রাজাকার/বাংলাদেশের মাটি রাজাকারের ঘাঁটি’। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে অসহনীয় কথা তারা বলে যাচ্ছে তা কোন অবস্থায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষ সহ্য করতে পারি না।

বার্তা২৪.কম: চলমান এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কি? জনগণের মাঝেও পুরো বিষয় নিয়ে এক ধরণের বিভ্রান্তি দেখছি…

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: বিভ্রান্তি শুরু হয়েছিল, আপিল বিভাগের রায়ের মধ্য দিয়ে তা কেটে গেছে। আপিল বিভাগের রায়ের পর সবাই বুঝতে পারছে, এটা সরকারের কাছে ছিল না। জনগণ কিন্তু অসচেতন নয়। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমরা মেট্রো রেলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম কত বছর ধরে। মেট্রো রেল হবে, ঢাকা শহরের যানজট দূর হবে। সব ধ্বংস করে দিল। বিটিভিকে ধ্বংস করে দিল। আরও কত কিছু ধ্বংস করলো। এই ক্ষতি কিভাবে পোষাবে, মানুষ কিন্তু বুঝতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিজিবির অ্যাকশনকে কিন্তু ওয়েলকাম করছে মানুষ। তারা এখন বুঝতে পেরেছে, দেশের শত্রু কারা? তাদেরই দাবি কিন্তু এদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে বিচার করা হোক। সাধারণ মানুষ কিন্তু এই দিকেই এগুচ্ছে। সুতরাং সাধারণ মানুষকে যে ভুলটা বোঝানো হয়েছিল সেগুলো আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে এবং কেটে যাবে। সাধারণ ছাত্ররাও কিন্তু ঘরে ফিরে গেছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে তাদের ব্যবহার করেছেন নেতারা। যাদের পকেট ফুলে গেছে। বিদেশ থেকে বহু টাকা এসেছে। কোটি কোটি টাকা এসেছে। এদেশেরও কিছু ব্যবসায়ী টাকা দিয়েছে। এই টাকা পেয়ে কিছু পয়সা তারা আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের পেছনে খরচ করেছে। বাকীটা কিন্তু তাদের পকেটেই গেছে।

বার্তা২৪.কম: তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের এক ধরণের দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবারে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একটি সভাতেও তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অরাজকতা সৃষ্টির পেছনে কি এই শূন্যতা কোন ভূমিকা রেখেছে?

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সর্বপুরাতন রাজনৈতিক দল। বিএনপি’র যেমন সামরিক ছাউনী থেকে জন্ম আওয়ামী লীগের কিন্তু তা নয়। জামায়ত তো একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠী, ধর্মান্ধদের দল। শিবিরও তাই। কিন্তু আওয়ামী লীগের যে ঐতিহ্য জনগণের দল হিসাবে সেটি কিন্তু অনেকখানি অবক্ষয়ের দিকে চলে গেছে। এখন বহু লোক আছে যাদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পৃক্ততাই নেই। অনেক রাজনীতিবিদ আছেন। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে আওয়ামীলীগের আমূল সংস্কার; সোজা কথা, দলে ভেতরে থাকা আগাছাদের বের করে দেওয়া।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *