আন্তর্জাতিক

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাবিতে গণবিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট: সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিবাদ ও গণবিক্ষোভ করেছে ‘জুলাই গণঅভ্যূত্থান ফোরাম’ নামক এক সংগঠন।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ প্রতিবাদ ও গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্র ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তিসহ কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেখা যায়। এসময় ‘ফেলানী থেকে স্বর্ণা, সীমান্তে খুন আর না’, ‘হিন্দু-মুসলিম ঐক্য গড়ো, সীমান্তে খুন বন্ধ কর’, ‘দিল্লী-ঢাকা জনতা, গড়ে তোলো একতা’সহ নানান স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা অংশ নেন তারা।

গণবিক্ষোভে অংশ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী রেজিম বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বর্গা দিয়ে নিজের চেয়ারের দাম অর্জন করেছিল। এখন এদেশের চেয়ারও স্বাধীন, এদেশের মানুষও স্বাধীন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে একজন গণহত্যাকারী কীভাবে ভারতে থাকে এই প্রশ্নের উত্তর ভারত সরকারকে দিতে হবে।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ বলেন, ভারতের মানুষের সাথে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের সমস্যা রাষ্ট্রের সাথে। জুলাই বিল্পবের মধ্য দিয়ে যে স্বৈরাচার রেজিমের পতন হয়েছে— সেই রেজিমকে এতদিন বৈধতা দিয়ে এসেছে ভারত সরকার। হাসিনা রেজিম থেকে আমরা মুক্ত হলেও এখনও নানা রকম ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা।

এসময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের ‘নতজানু পররাষ্ট্র নীতি’কে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। একইসাথে ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিও জানান।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন এক্টিভিস্ট তুহিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *