আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ‘ড্রাগন ড্রোন’ ব্যবহার করছে ইউক্রেন

ডেস্ক রিপোর্ট: রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ড্রাগন ড্রোন’ ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ড্রোন ব্যবহারের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়া ও আয়রন অক্সাইডের উত্তপ্ত মিশ্রণে তৈরি এই ভয়ানক মারণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করক্সহে ইউক্রেন।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামেও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ড্রাগন ড্রোনের ভিডিও প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, এ ড্রোন তুলনামূলকভাবে কম উচ্চতায় ওড়ে ও আগুনের বৃষ্টি ঝরায়।

ড্রাগন ড্রোন মূলত পুরোনো যুদ্ধাস্ত্রের নতুর রূপ। থার্মাইট প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়ংকর প্রভাব ফেলেছিল। ড্রোনের সঙ্গে থার্মাইট ব্যবহার করে একে ড্রাগন ড্রোন তৈরি করা হয়েছে।

মূলত ড্রাগন ড্রোনে ব্যবহার করা হয় অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়া ও আয়রন অক্সাইডের উত্তপ্ত মিশ্রণ, যা থার্মাইট নামে পরিচিত। এটি ৪ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট (২ হাজার ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় পুড়তে থাকে। গলিত লোহা যখন ড্রোন থেকে পড়তে থাকে, তখন একে মনে হয় পৌরাণিক কাহিনীর ড্রাগনের মতো মুখ দিয়ে আগুন ঝরাচ্ছে। তাই এ ড্রোনের নাম দেয়া হয়েছে ড্রাগন।
গাছ বা রুশ সেনাদের গোপন আশ্রয়স্থল পুড়িয়ে দিতে এ ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেন।

প্রতিরক্ষাশিল্প বিষয়ক বিশ্লেষক ও সাবেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা নিকোলাস ড্রামন্ডের মতে, ভয় সৃষ্টি করা সম্ভবত ইউক্রেনের থার্মাইট ড্রোনের প্রধান প্রভাব। এটা খুব বাজে জিনিস। ভয় ধরাতে ড্রোন ব্যবহার করা বেশ উদ্ভাবনী। কিন্তু এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার শারীরিক ক্ষতির চেয়ে মানসিক ক্ষতির কারণ হয় বেশি।

নিকোলাস ড্রামন্ড বলেন, ‘আমি বুঝি, ইউক্রেনের থার্মাইট প্রভাব দেওয়ার সীমিত ক্ষমতা আছে। তাই একে মূলধারার অস্ত্রের পরিবর্তে একটি বিশেষ ক্ষমতা বলা যেতে পারে।’ তবে তিনি থার্মাইটের ফলে সৃষ্ট ভীতির কথা স্বীকার করেন।

তিনি আরও বলেন, উক্রেন যদি সত্যিকারের প্রভাব অর্জন করতে চায়, তাদের কুরস্কে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করে চাপ দিতে হবে। এর পাশাপাশি থার্মাইট রুশ সেনাদের মনে ভয় সৃষ্টি করবে। থার্মাইট তাদের চাপে রাখবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *