আশুলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট: আশুগঞ্জে বিএনপি নেতাদের মামলা দিয়ে হয়রানি, জেলা বিএনপির শোকজ
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
১১:৪৫ এএম | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১ | ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির মুন্সি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির মুন্সি দলীয় ত্যাগী নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও তার কথা না শুনলে হাত-পা ভেঙে দেয়াসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার বিষয়ে জেলা বিএনপির কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও ব্যবসায়িকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এরই প্রেক্ষিতে নাসির মুন্সিকে তিনদিনের মধ্যে স্বশরীলে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিক কারণ দশানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয় নোটিশে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মান্নান ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্বাক্ষরে দলীয় প্যাডে এই কারণ দশানোর নোটিশ দেয়া হয়। আগামী ৩দিনের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিক ভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল মেম্বারকে ফোনে মোবাইলে হুমকির কল রেকর্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এবং দূর্গাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর-বাহাদুরপুর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নোমান মিয়াসহ বিএনপির কয়েকজনকে হয়রানি শিকার হয়েছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ জন্য দলের ভাবমূর্তি, সুনাম ও মর্যাদা ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাই দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না কেন। এ জন্য তিন দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিক ভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্ করা হয় যে, ব্যবসায়কি কারণে নাসির মুন্সি আমাকে ও আমাদের দলের অনেক সাধারণ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদরে কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে মৃত্যুর হুমকি ও বিভিন্ন মামলায় আসামি করবে বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীদের অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। নাসির মুন্সির এই নির্যাতনের কারণে আমরা বিএনপির কর্মী হয়েও আজ মিথ্যা মামলায় পলাতকভাবে জীবনযাপন করছি। পাশাপাশি মামলা ও হুমকির কারণে আমাদের পরিবারও আতঙ্কে রয়েছেন।
ইতোমধ্যে নাসির মুন্সি আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা সোহেল মেম্বারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। হুমকির একটি রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি তাকে মামলায়ও আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।
অভিযোগকারী দূর্গাপুর-বাহাদুরপুর ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান মিয়া বলেন, নাসির মুন্সি ও আমরা আশুগঞ্জে একই সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করি। তিনি আমাকে ব্যবসায়িকভাবে ঘায়েল করার জন্য সে দলীয় পদকে ব্যবহার করে অত্যাচার শুরু করেছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে বিচারের দাবি জানাই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির মুন্সি গালাগালি ও হুমকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সোহেল মেম্বার একটি এনআইডি করার জন্য একজনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছে। বিভিন্ন লোকজনকে হয়রানি করে। চাঁদা কেন চায় এই জন্য তাকে গালাগাল করেছি। রোমান আওয়ামী লীগ করে। তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নোটিশের জবাব দেয়ার জন্য যাচ্ছি।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।