খেলার খবর

সাকিব চোট লুকিয়ে খেলেছেন?

ডেস্ক রিপোর্ট: চেন্নাই টেস্টের শুরু থেকেই বড় অচেনা সাকিব আল হাসান। দল পুরো দিন বোলিং করছে, তিনি বোলিং করছেন সব মিলিয়ে ৮ ওভার, এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে কমই। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও একই দৃশ্য আলোচনার জন্ম দিয়েছে বেশ। প্রশ্ন উঠছে, দলের যখন প্রয়োজন, তখন আক্রমণে আসছেন না কেন সাকিব?

এমন প্রশ্নের জবাবটা দিয়েছেন ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক। তিনি জানালেন আজ দিনের খেলা শুরুর আগে তিনি গিয়ে সাকিবের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন তার আঙুলে চোটের কথা। তার কথা, তার অস্ত্রোপচার হওয়া বাঁহাতের তর্জনী আঙুলটা আবারও ফুলে উঠেছে, অসাড় হয়ে আছে। সে কারণেই মূলত বোলিংটা কম করছেন তিনি।

সাকিব তার আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সেই গেল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই ম্যাচের চোট তাকে মাঠের বাইরে রেখেছিল দীর্ঘ দিন। সেই আঙুলের চোট সারিয়ে মাঠে ফিরে তিনি খেলেছেন অনেক সময়। গেল আগস্ট থেকে টানা খেলে গেছেন। ফলে তার আঙুল প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করছে এখন।

তবে এই বিষয়টা বিসিবির কাছে পুরোপুরি চেপে গেছেন সাকিব। তা বেরিয়ে এসেছে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর কথায়। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আঙুলের অস্বস্তি নিয়ে দলকে কিছুই জানাননি তিনি।

তার কথা, ‘২০১৮ এশিয়া কাপে একটা চোট পেয়েছিল সাকিব। গেল বিশ্বকাপে তর্জনিতে আরও একটা চোট পেয়েছিল পেয়েছে। যার কারণে তাকে একটা মাস বিশ্রামেও থাকতে হয়েছিল। তবে আঙুল নিয়ে আমাদের কাছে সে কখনোই কোনো কিছু বলেনি। ওখানে একটা ফ্র্যাকচার তো অবশ্যই আছে, সে যুক্তরাষ্ট্রে যখন গেছে, তখন তার আঙুলে স্ট্র্যাপিং ছিল। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সে কিছু বলেনি। সে কোনো অস্ত্রোপচারে যায়নি। কিন্তু ২০১৮ এশিয়া কাপের চোটটার সময় একটা অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার।’

তবে তার চোটের বিষয়টাকে স্বাভাবিকই বললেন দেবাশীষ। তিনি বলেন, ‘দিল্লির ওই চোটের পর তার কোনো অপারেটিভ ম্যানেজমেন্টের দরকার পড়েনি। তবে এখন মনে হচ্ছে সে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে। তবে সে তার আঙুল নিয়ে কোনো অভিযোগ আমাদের জানায়নি। আমরা যা জানি, তা হলো, একবার যদি আঙুলে চিড় ধরে, তাহলে সেটা আর কখনো আগের জায়গায় ফিরে যায় না। সে এখন চোট সামলে খেলছে। তবে তার মানে এই নয় যে কোনো অস্বস্তি নেই। অস্বস্তি থাকতেই পারে।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *