লক্ষ্মীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ, অটোরিকশা ভাঙচুর
ডেস্ক রিপোর্ট: লক্ষ্মীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ, অটোরিকশা ভাঙচুর
ছবি: বার্তা ২৪
লক্ষ্মীপুরে ভোট বর্জনের দাবিতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং একটি অটোরিকশা ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-টু-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ দুইটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এর আগে রাত ও সকালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের দাবীতে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থন জানিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।
স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভোট বর্জনের দাবিতে সকালে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে দফায় দফায় কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করে। পরে এলকার ওয়াপদা অফিস ও ইউপির সামনে কয়েকটি সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ আসার খবর টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা গাঁ ঢাকা দেয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, হরতাল সমর্থনে সকালে ভবানীগঞ্জ এলাকায় বিএনপি বিক্ষোভ-মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। গাড়ি ভাঙচুরের কোন ঘটনা জানা নাই। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হবে।
রামু উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা
ছবি: বার্তা২৪.কম
কক্সবাজারের রামুর চেরাংঘাটা বড় ক্যাং তথা উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। মন্দিরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ২ টা ৬ মিনিটে এক ব্যক্তি মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করছেন। এরপর ২টা ৮মিনিটে আগুন লাগার সাথে সাথে সে একই ব্যক্তিকে মন্দিরের ভেতর থেকে দৌঁড়ে বাইরে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।
বিহারে অবস্থানকারিরা ও স্থানীয়রা মিলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে বিহারের ২য় তলার কাঠের সিঁড়ি পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর পর রামু উসাইচেন বৌদ্ধ বিহারে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক এবং র্যাব,পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রামু ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া জানান, রাত ১টা ৪৫ মিনিটে আমাদের কাছে ঈঁদগড় বাজারে আগুন লাগার একটি টেলিফোন আসে। সে খবর পেয়ে আমরা ঈঁদগড় বাজারে পৌঁছাই। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি কোন আগুনের ঘটনা ঘটেনি, খবরটি মিথ্যা ছিল। তখনই আবার রামু বড় ক্যাং বৌদ্ধ বিহারে আগুন লাগার খবরে আমরা সেখানে ছুটে যাই।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক অর্পণ বড়ুয়া বলেন, ‘এটি নিছক কোন দূর্ঘটনা নয়। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেছে এক দূর্বৃত্তকে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে’।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর একযোগে রামুর প্রায় সকল বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগের ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিলো। সে সময় উসাইচেন (বড় ক্যাং) বৌদ্ধ বিহারটি আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেলেও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিলো।
স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাসিন্দা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী লিটন বড়ুয়া বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি মূলত আজকের ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। এটা খুবই সুপরিকল্পিত ঘটনা। ফায়ার সার্ভিসকে ভুল তথ্য দেওয়া তারই ইঙ্গিত। ২০১২ সালের পর আবারও এমন ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীকে শনাক্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী স্থানীয় বাসিন্দাদের।
;
মহাসড়কে লোহার অ্যাঙ্গেল, অর্ধশত গাড়ির চাকা পাংচার
ছবি: বার্তা ২৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশের ২৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লোহার ত্রিভুজ আকৃতির অ্যাঙ্গেল রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। আর সেই অ্যাঙ্গেলে অন্তত অর্ধশতাধিক গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন গাড়ির যাত্রী আর চালক-সহকারিরা।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত চাকা পাংচার হয়ে রাস্তার পাশে গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা হরতালে গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা এই কাজ করেছেন।
চাকা পাংচার হওয়া গাড়ির একটির চালক নুর হোসেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সৌদিয়া পরিবহনের এই চালক বলেন, ‘মিরসরাইয়ের মস্তান নগর এলাকায় আসতেই দেখি হঠাৎ গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে যায়। প্রথমে ভাবছি অন্য কোনো কারণে। কিন্তু গাড়ি থামিয়ে নিচে এসে দেখি চাকার ভেতর লোহার ধারালো অ্যাঙ্গেল ঢুকে আছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে আরেকটি চাকা লগিয়ে চট্টগ্রামের দিকে রওয়ানা হই।’
চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাকায় অ্যাঙ্গেল ঢুকে অন্তত ৫০-৬০ টি গাড়ির চাকা নষ্ট হয়েছে। কোনো কোনো গাড়ির ২-৩ টি চাকা নষ্ট হয়ে যায়।
পুলিশের মিরসরাই সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
;
ভোট বর্জন ও হরতালের সমর্থনে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল
ছবি: বার্তা ২৪
আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো।
বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর ডাকা হরতাল কর্মসূচি সফল করতে রাজধানীতে মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পুরানা পল্টন ঘুরে নাইটঅ্যাঙ্গেল মোড় এসে কার্যালয়ের সামনে শেষ হয় মিছিলটি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে স্লোগান, ভোট বর্জন ও হরতালের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।
এদিকে আগামীকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে সারা দেশে শনিবার শুরু হচ্ছে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত হরতাল চলবে। শান্তিপূর্ণ হরতালের এই কর্মসূচিতে সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সমমনা একাধিক দল ও জোটের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও হরতাল দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ডাক দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে বিভিন্ন ধাপে অবরোধ ও হরতাল পালন করেছে বিএনপি। আর গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে আসছে দলটি।
;
নিখোঁজদের খোঁজে হাসপাতালে স্বজনেরা
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের খুঁজতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দেখা যায় নিখোঁজ তিন যাত্রীর স্বজনকে। রাজবাড়ী থেকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বেনাপোল এক্সপ্রেসে উঠেন চন্দ্রিমা চৌধুরী ও এলিনা। তারা দুজনই নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন রাজধানীর ওয়ারীর নাতাশা জেসমিনও।
নাতাশা জেসমিনের ভাই খুরশিদ বলেন, আমার বোন একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে ফরিদপুর ঘুরতে গিয়েছিল। ঢাকায় আসার জন্য ভাঙ্গা থেকে ট্রেনে উঠে। তার সঙ্গে আরও দুজন ছিলো। আগুন লাগার পর তারা বের হলেও আমার বোন বের হতে পারেননি। তাকে খুঁজেও পাচ্ছি না। মর্গে খুঁজেছি সেখানেও নেই।
নিখোঁজ চন্দ্রিমার ভাই অনিন্দ্য প্রামাণিক বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে বেনাপোল এক্সপ্রেসে উঠে চন্দ্রিমা। এরপর বেশ কয়েকবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার ফোন নম্বরে কয়েকবার কল করা হলে ব্যস্ত পাওয়া যায়। এরপর থেকে ফোনটি বন্ধ আছে, খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না।
অনিন্দ্য জানান, চন্দ্রিমা রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় তার বড় ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। গতকাল রাত থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল হাসপাতালসহ আশপাশের সব হাসপাতালে আমরা খোঁজ নিয়েছি। হাসপাতালের মর্গে গিয়েও তার খোঁজ পাইনি। পাগলের মতো আমরা তাকে খুঁজছি।
এলিনার ভাই বলেন, আমার বোনের বয়স চল্লিশ বছর। সঙ্গে বাচ্চা ছিল, তাকে পেয়েছি। কিন্তু আমার বোনকে খুঁজে পাচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৫টি বগিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।