সারাদেশ

শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

ডেস্ক রিপোর্ট: শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় থাকা ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নিলেন। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথের পর তাদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন প্রধানমন্ত্রী।  

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে এ শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

শপথ নিলেন যারা-  

আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আবদুছ সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও নাজমুল হাসান পাপন। ডা. সামন্ত লাল সেন, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে প্রায় ১৪০০ অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত রয়েছেন।  

সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। যে সংসদ সদস্য, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাদের সংখ্যার অন্যূন নয়-দশমাংশ সংসদ-সদস্যগণের মধ্য হতে নিযুক্ত হবেন এবং অনধিক এক-দশমাংশ সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে মনোনীত হতে পারিবেন। এবং সংসদ ভেঙ্গে যাওয়া এবং সংসদ-সদস্যদের অব্যবহিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তীকালে এই অনুচ্ছেদের (২) বা (৩) দফার অধীন নিয়োগ দানের প্রয়োজন দেখা দিলে সংসদ ভেঙে যাবার আগে যাঁহারা সংসদ-সদস্য ছিলেন, এই দফার উদ্দেশ্য সাধনে তারা সদস্যরূপে বহাল থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা, গড়লেন অনন্য নজির

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর এর মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে নতুন নজির স্থাপন করলেন তিনি।

এবারের সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হলে তিনি বাংলাদেশে ২৫ বছরের রাষ্ট্র পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি পাবেন। এটা হবে স্বাধীন বাংলাদেশের একটি রেকর্ড।

এর আগে বাংলাদেশে যারা সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কেউই পাঁচবারের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পাননি।

১৯৮১ সালে থেকে টানা প্রায় ৪৩ বছর ধরে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিজয়ী হলে ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথগ্রহণ করেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে ২০১৯ সালে ৮ জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবারও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) টানা চতুর্থবার ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতটার পর বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এছাড়া বাংলাদেশের চারটি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা।

১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা তিনটি সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ওই নির্বাচনের পরই দেশ থেকে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

এছাড়া ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা, জাতির জনক ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তার মাতার নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা।

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় তিনি। বাল্যশিক্ষা সেখানেই নেন।

১৯৫৪ সাল থেকে তিনি ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে মোগলটুলির রজনীবোস লেনের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। পরে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে উঠেন।

১৯৫৬ সালে তিনি টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা হাসিনা ও শেখ রেহানা।

পরের ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লিতে তাদের নির্বাসিত জীবন কাটে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। পাঁচ বছরের মাথায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালের ৯ মে মৃত্যুবরণ করেন।

তাদের সংসারে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নামে দুই সন্তান রয়েছেন।

;

ভোটার হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি যাবে না ইসি

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবারও নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পিছানো হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবে না নির্বাচন কমিশন ইসি।

ইসি জানায়, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা যুক্ত হতে চাইলে যোগ্য নাগরিকদের থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এসে ভোটার হতে হবে। এক্ষেত্রে ১ জানুয়ারি ২০০৬ সাল বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদেরকেই কেবল তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করবে সাংবিধানিক সংস্থাটি। 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতিমধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২২ এ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার নিবন্ধনের জন্য যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে অফিসে এসে যারা ভোটার তালিকাভূক্তির জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন তাদের মধ্যে ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদেরকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির নিমিত্ত ২১ জানুয়ারী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, খসড়া তালিকা প্রণয়ন করে তা নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে ১৫ জানুয়ারি। হালনাগাদ করা খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ জানুয়ারি, দাবি-আপত্তি জানানোর শেষ সময় ৫ ফেব্রুয়ারি, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ সময় ১১ ফেব্রুয়ারি, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত তালিকায় সন্নিবেশ করার শেষ সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।

প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশ করা হলেও গতবারও সংসদ নির্বাচনের কারণে কিছুটা পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছিল। এবারও একই কারণে আরো পেছানো হলো। আইনে প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার বিধান রয়েছে।

ইসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।

;

দ্বাদশ সংসদের শীর্ষ ধনী এমপি কারা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাড়ছে ধনীর সংখ্যা। বাড়ছে কোটিপতি মন্ত্রী আর এমপিদের সংখ্যাও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীর মধ্যে শীর্ষ দশ জন সংসদ সদস্যের সম্পদের হিসাব দেখে নেওয়া যাক, কে কত সম্পদের মালিক।

নারায়নগঞ্জ-১ আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মত আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম দস্তগীর। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

২০২৩ সাল শেষে গাজী গোলাম দস্তগীরের অস্থাবর সম্পদের পরিমান দাড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমান সম্পদ তাকে নিয়ে গেছে দ্বাদশ সংসদের শীর্ষ সম্পদশালী সদস্যের তালিকায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী গোলাম দস্তগীরই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ধনী সংসদ সদস্য।

গাজীর চেয়ে ১ হাজার কোটি টাকার কম সম্পদ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ২০২৩ সাল তার অস্থাবর সম্পদের পরিমান দাড়িয়েছে ৩১২ কোটি টাকা। তার আয়ের বড় অংশ আসে শেয়ারবাজার ও অন্যান্য বিনিয়োগ থেকে।

শীর্ষ সম্পদশালী সংসদ সদস্যের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন এসকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় কুমিল্লা-৮ আসন থেকে নির্বাচিত আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন। ২০২৩ সাল শেষে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমান ৩০৬ কোটি টাকা।

শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক আছেন কুমিল্লার আরও দুই সংসদ সদস্য। তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা কুমিল্লা-৩ আসনে আওয়ীমী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের অস্থাবর সম্পদের পরিমান ২৭৭ কোটি টাকা।

ধনীদের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের নৌকায় নির্বাচিত আব্দুল মমিন মন্ডল। তার অস্থাবরের সম্পদের পরিমান ২৫৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তিনি সম্পদ দেখিয়েছিলেন ৯৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে গেল পাঁচ বছরে এই সাংসদের সম্পদ বেড়েছে দেড়গুনের বেশি।

আয়ের হিসাবে মমিন মন্ডলের পরেই রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী মোহাম্মদ সাইদ খোকন। ঢাকা-৬ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যের অস্থাবর সম্পদের পরিমান ১৬৩ কোটি টাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়রের বার্ষিক আয় ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে বাড়ি ভাড়া থেকে আয় করেন ৬ কোটি টাকা আর বন্ডের সুদ থেকে পান ৪ কোটি টাকার বেশি।

ধনী সংসদ সদস্যদের তালিকায় আছেন স্বতন্ত্র এমপিরাও। ফরিদপুর-৩ আসন থেকে বিজয়ী ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ (একে আজাদ) প্রথমবারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকাকে হারিয়ে বিজয়ী এই এমপি নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেছেন ১৫৬ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ। সম্পদের হিসাবে একে আজাদের পরেই রয়েছেন লক্ষীপুর-৪ আসন থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্রী প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। নির্বাচনী হলফনামায় দেখিয়েছেন ১৩০ কোটি টাকার অস্থাবর। দশম জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন তিনি।

কুমিল্লার নৌকা ১০ আসনের নৌকার মাঝি আ হ ম মুস্তফা কামাল আছেন নবম স্থানে। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন ১০৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক। তবে নিজের নামে কোন বাড়ি-গাড়ি নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। ২০১৮ সালে ৯ কোটি টাকা আয় করা এই এমপি বছরে আয় দেখিয়েছেন ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মত। শত কোটিপতি এমপির তালিকায় দশম স্থানে আছেন জামালপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুর মোহাম্মদ। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি ১০২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন।

হিসাব বলছে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে যে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে তাদের মধ্যে ৫৭১ জনই কোটিপতি। আগের সংসদ নির্বাচনে কোটি পতির সংখ্যা ছিল ৫২২ জন।

;

শপথ নিতে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী

শপথ নিতে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনে শপথ নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। নতুন মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৬ জন মন্ত্রী শপথ নিবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকাল থেকেই শপথ নিতে নতুন মন্ত্রীরা বঙ্গভবনে আসতে শুরু করেন। এসময় শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদেরও বঙ্গভবনে ঢুকতে দেখা যায়। এছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ প্রধান সহ অন্যান্য সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ভিতরে প্রবেশ করেন।

এর আগে বুধবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম জানান। তিনি জানান, এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী (দুজন টেকনোক্রেট) ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী থাকছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় প্রথমবারের মত অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন সাতজন মন্ত্রী ও সাতজন প্রতিমন্ত্রী।

নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

সরকার গঠনের নিয়ম অনুযায়ী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট জারি ও পরে শপথ পড়ানো হবে। এরপর সংসদ সদস্যরা বৈঠক করে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করবেন। রাষ্ট্রপতি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো হবে। পরে মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যদের শপথ পড়াবেন তিনি।

সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। যে সংসদ সদস্য, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে একটি করে আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমও কক্সবাজারের একটি আসন থেকে জয় পেয়েছেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *