সারাদেশ

প্রতারণার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন নির্বাহী প্রকৌশলী

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতারণার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন নির্বাহী প্রকৌশলী

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব এর বিরুদ্ধে করা বিশ্বাস ভঙ্গ এবং প্রতারণার মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মামলার সমস্ত তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অব্যহতি দেয়া হয়।

সোমবার (১৫ জানুয়ারী ) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জসিম এই অব্যাহতির আদেশ দেন। মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল ওয়াদুদ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে গত ১০/৪/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ডাঃ সুমনা ইসলাম নিজেকে স্ত্রী পরিচয়ে বাদী হয়ে আহসান হাবিব এর বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ, এবং প্রতারণা সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার উপস্থাপিত বিষয়সমূহ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোঃ আবদুল ওয়াদুদ শাহীন জানান, বর্ণিত মহিলা নিজেই একজন প্রতারক শ্রেণীর, নিজেকে স্ত্রী পরিচয় দিলেও তিনি এখন আমার মোয়াক্কেলের স্ত্রী না, আর্থিক প্রলোভনে পড়ে এবং দপ্তরীয় ক্ষতি স্বাধন করার জন্যে হয়রানিমূলক মামলাটি করেছেন বলে আমার মনে হয়।

তিনি আরও জানান গত ২০২২ সালে একান্ত ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় কে কেন্দ্র করে বর্ণিত মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে আমার মোয়াক্কেলকে চাকুরী হতে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যা বর্তমানে তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং মন্ত্রণালয়ের বিচক্ষণতায় ন্যায়বিচার প্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় মামলা হতে পরিত্রান পেয়েছেন এবং তিনি যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। কিন্তু গত কিছুদিন থেকে সেই একই পারিবারিক এবং ব্যাক্তিগত ইস্যুকে পুনরায় সামনে এনে তাকে হেয় করা ও চাকুরীর ক্ষতি স্বাধনের নিমিত্তে কতিপয় ব্যাক্তিবর্গ হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য তার ক্ষতিসাধন করা। উক্ত উদ্দেশ্যকে সফল করতে উক্ত কথিত ডাক্তার পরিচয় প্রদানকারী সুমনা ইসলাম কতিপয় ব্যাবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বকে ভুল বুঝিয়ে আমার মোয়াক্কেলের দপ্তরীয় কর্মকর্তাকে প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছে।

মামলার উপস্থাপিত বিষয়সমূহ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিবকে আদালত থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

জানা যায় বর্ণিত আহসান হাবিব একজন প্রকৌশলী তিনি ইতোপূর্বে পাবনা জেলা ও নেত্রকোনা জেলায় কর্মরত ছিলেন অপরদিকে ডাঃ সুমনা ইসলামের ডাক্তারি পেশায় বা অন্য কোনো পেশায় জড়িত আছেন কি না তা জানা যায়নি।

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ইমান আলী শেখের ইন্তেকাল

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ইমান আলী শেখের ইন্তেকাল

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. ইমান আলী শেখ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে….রাজিউন)।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৫ টায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

তার প্রথম জানাজা বাদ যোহর ঢাকার পশ্চিম কাফরুল বড়বাড়ী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার সদর থানার বরাট ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়।

তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

ড. ইমান আলী শেখ ১৮ তম বিসিএস ব্যাচের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি বগুড়া ও ঢাকায় সহকারী জজ, শরীয়তপুর ও গাইবান্ধায় সিনিয়র সহকারী জজ, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সহকারী পরিচালক, নরসিংদীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিরাজগঞ্জ ও যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, জামালপুর ও শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এবং আইন ও বিচার বিভাগের সংযুক্ত কর্মকর্তা (জেলা জজ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

;

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় দম্পতির ৫ বছর কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় এক দম্পতিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার হোয়াইক্যাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিল এলাকার মৃত আব্দুর ছমতের ছেলে আবুল মঞ্জুর (৪০) ও তার স্ত্রী নুর জাহান বেগম (৩৭)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নগরের কোতোয়ালী থানার মেরিনার্স রোড ওমর আলী মার্কেট মদিনা এজেন্সী দোকানের সামনে থেকে আবুল মঞ্জুর ও তার স্ত্রী নুর জাহান বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আবুল মঞ্জুরের কাছ থেকে ৯ শত ও নুর জাহান বেগম থেকে ১ শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা মাদক আইনে মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০২২ সালের ১ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মাদকের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আবুল মঞ্জুর ও তার স্ত্রী নুর জাহান বেগমকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তারা জামিনে গিয়ে পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

;

মিতু হত্যা মামলায় ৩৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও ৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এনিয়ে মামলায় মোট ৩৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

সাক্ষীরা হলেন- আসামি এহতেশামুল হক ভোলার অনুসন্ধান প্রতিবেদনের তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সংকর বড়ুয়া, আসামি আনোয়ার হোসেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন, আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার, মুছার ভাড়া বাসার মালিক আনিসুজ্জামান ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় জব্দ তালিকার সাক্ষী উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোস্তাক আহম্মেদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় পুলিশের এএসআইসহ ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ৩৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম। ২০১৬ সালে মিতু খুন হওয়ার পর তার স্বামী, সে সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। নানা নাটকীয়তা শেষে পিবিআইয়ের তদন্তে এখন তিনিই এ মামলার আসামি। সাবেক এসপি বাবুল ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ছিলেন। বদলি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

;

নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের ডামুড্যাতে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)। আসামিরা সবাই ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ শীতলকাঠী এলাকার বাসিন্দা।

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার এলাকার ৫৫ বছর বয়সী ফিরোজা বেগম। ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগাঁ এলাকার আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনার পরদিন ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পুলিশ। বাকি আসামিদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সানাল মিয়া বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *