খেলার খবর

রোচের কাছে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা পাওনা পন্টিংয়ের

ডেস্ক রিপোর্ট:  

ব্রিসবেনে চলছে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা অজিরা এই টেস্টের সহজ জয়ের পথে। এটি অবশ্য নতুন না। ৩২ বছর থেকে হয়ে আসছে এমনটাই। ১৯৯২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত অজিদের মাঠে টেস্ট সিরিজ জেতেনি ক্যারিবীয়রা। 

সবশেষ ৩২ বছর অজিদের মাঠে টানা ছয়টি সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে লড়াইটা একপেশে হলেও দুই দলের সিরিজ এলেই উঠে আসে দ্বৈরথের নানা ঘটনা। এমনই এক ঘটনা টেনে এবার দেখা গেল উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচের কাছ থেকে প্রায় ১৬ কোটি (১৫ লাখ ডলার) টাকা পান অজি কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিং। 

তবে মোটা অঙ্কের এই টাকা কী রোচ ধার করেছিলেন নাকি রোচের কোনো কাণ্ডে এই অর্থ খোয়াতে হয়েছে পন্টিং। অবশ্য এটির নেপথ্যে আছে মজার এক কাহিনী। 

ঘটনাটি ২০০৯ সালের। সেই বছরের অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা এখনো হয়তো মনে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। কারণটা এই পন্টিং-রোচ দ্বৈরথ। ওই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার রোচের। তৎকালের তরুণ ২১ বছর বয়সী রোচের গতি ও বাউন্সারে বেশ ভুগেছিল অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক পন্টিং। 

সিরিজের শেষ টেস্ট ছিল পার্থে। সেখানে সেবার রোচের বাউন্সারে কনুইয়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল পন্টিংকে। পরে দলের প্রয়োজনে ব্যাটিংয়ে নামলেও সেই রোচের বলেই আউট হয়েছিলেন এই তারকা ব্যাটার। 

সেই ঘটনা পেরিয়েছে প্রায় ১৫ বছর। চলতি সিরিজ দিয়ে হয়তো ক্যারিয়ারের শেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছে রোচ। এবং সেখানে অফিশিয়াল ধারাভাষ্যে আছেন পন্টিং। এতেই সেই ২০০৯ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে এক হল এই দ্বৈরথ। সেখানে ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ‘চ্যানেল ৭’ এর এক অনুষ্ঠানে রোচের থেকে সাড়ে ১৬ কোটি দাবি করে বসেন পন্টিং। অবশ্য সেটি মজার ছলেই। সেই অনুষ্ঠানে রোচের পাশে দাঁড়িয়েই পন্টিং বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলে এসেছি, কেমার (রোচ), ওই স্পেলের কারণে তুমি এখনো আমার কাছে দেড় মিলিয়ন ডলার ঋণী। কারণ, এরপরই আইপিএল নিলামে তোমাকে নেওয়া হয়।’

সেবারের অজি সিরিজে নিজের বোলিং নৈপুণ্যে সবার নজর কাড়েন রোচ। এবং ২০১০ আসরেই আইপিএল পান দল। সেবার তাকে দলে ভিড়িয়েছিল ডেকান চার্জার্স।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *