সারাদেশ

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধায় বাংলাদেশে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের বাইসাইকেল র‍্যালি

ডেস্ক রিপোর্ট: ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সাবেক চেয়ারম্যান ও চিটাগাং আই ইনফার্মারী এসিইআন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের (ইটিসি) ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. রবিউল হোসাইনের বিরুদ্ধে ৮শ’ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর খুলশী থানায় দায়েরকৃত এ মামলায় আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। চিটাগাং আই ইনফার্মারী এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এম এ মালেক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

তাদের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পাশাপাশি ঘটনা ধামাচাপার জন্য ভুয়া সভা করে মিথ্যা রেজুলেশন তৈরিসহ নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক রবিউল।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ড. রবিউল হোসাইন সিইআইটিসির ম্যানেজিং ট্রাস্টি হিসেবে ইম্পেরিয়েল হসপিটাল লিমিটেড (আইএইচএল) এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল হতে গত বছরের ৩০জুন পর্যন্ত ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকালে নানা ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতির মাধ্যমে ড. রবিউল হোসাইন কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

গত ২৩ ওয়াহিদ মালেককে ড. রবিউল হোসাইনের স্থলাভিষিক্ত করে ইম্পেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড (আইএইচএল) এর ডাইরেক্টর ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর কোটি কোটি টাকার অনিয়মের চিত্রটি ধরা পড়ে। ড. রবিউল হোসাইন হসপিটালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে আসামীদের যোগসাজসে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৪৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লোকসান দেখান এবং ৪০০ কোটি টাকার ব্যাংক দায় সৃষ্টি করেন।

ইম্পেরিয়াল হসপিটালের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং অন্যান্য ডাইরেক্টরগনসহ এই ব্যাপারে আইএইচএল দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা ডা. রবিউল হোসাইনের কাছে কৈফিয়ত ও হিসাব তলব করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বিপুল অংকের এই অর্থের গরমিল ধামাচাপা দেয়ার জন্য তিনি নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে চিটাগাং আই ইনফার্মারী এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স ট্রাষ্টের (সিইআইটিসি) বোর্ড সভার নামে গোঁজামিলের আশ্রয় নেন।

বোর্ড অব ট্রাস্টি পরিচালিত ৬ষ্ঠতম এজেন্ডা চলাকালে সভার সভাপতি ডা. রবিউলকে মৌখিকভাবে বক্তব্য উপস্থাপণ না করে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দাখিলের অনুরোধ করেন। এতে ড. রবিউল হোসেন মারমুখী আচরণ শুরু করেন। যার কারণে বৈঠকের সভাপতি এম এ মালেক সভা মুলতবি ঘোষণা করে ৪জন বোর্ড সদস্য যথাক্রমে ডা: কাজী মো. অহিদুল আলম, অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং শওকত হোসেন এফসিএসহ সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।

কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মাত্র ২জন সদস্যকে নিয়ে ডা. রবিউল নিজ কক্ষে মিথ্যেভাবে সভা চলমান দেখিয়ে নিয়ম বহির্ভূত ও অনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অপচেষ্টা করেন। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত যাবতীয় দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অপকর্ম থেকে নিজেকে দায়মুক্ত রাখার লক্ষ্যে অপরাপর আসামীদের নিয়ে পারষ্পরিক যোগসাযশে দুরভিসন্ধিমূলক নানা প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের আশ্রয় নেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. রবিউল হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমিও আজ মামলার বিষয়টি শুনলাম। খুবই আশ্চর্যান্বিত হলাম। আমার এ শেষ বয়সে আমাকে হেনস্তা করার জন্য এ অভিযোগ আনা হয়েছে। এর সাথে আমার কোন যোগসূত্র নেই। অথচ, যিনি মামলাটি করেছেন তিনি খুবই সম্মানিত একজন মানুষ। আমার বিরুদ্ধে এই মামলা করে ওনার কী এমন সম্মান বাড়বে আমার জানা নেই।

এদিকে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বিপুল পরিমানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *