সারাদেশ

কিশোরগঞ্জে মাইক্রোবাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৬

ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে মাইক্রোবাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৬

ছবি: বার্তা ২৪

কিশোরগঞ্জে হজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে চার হাজীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ জুন) সকাল ১১ টার দিকে জেলার হোসেনপুর কিশোরগঞ্জ সড়কে নারায়ণডহর বাজারের কাছে এই ঘটনা ঘটে। এতে মোট ৬ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে চারজন হজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সকালে ঢাকা থেকে চার হাজীকে বহন করা মাইক্রোবাসটি কিশোরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় নারায়ণডহর বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার হাজীসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। গুরুতর অবস্থায় একজনকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়।

আহত হাজী মো. কাসেম মিয়া জানান, তাদের চারজনের বাড়িই কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। এ জন্য তারা এক মাইক্রোবাসে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মাইক্রোবাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা আহত হন। তবে দুজন ছাড়া অন্যরা তেমন আহত হননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিঠুন।

দুর্যোগ বাড়লেও বাজেটে মুদ্রাস্ফীতির কারণে কমেছে বরাদ্দ

ছবি: বার্তা ২৪

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় এবারের বাজেটে পরিবেশ, বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৩০ কোটি টাকা বা ৫২ কোটি টাকা। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়লেও বিদ্যমান মুদ্রাস্ফীতির বিবেচনায় প্রকৃত বরাদ্দ কমেছে। দুর্যোগ বাড়লেও কৃষি, স্বাস্থ্য এবং পানি সম্পদ খাতে জলবায়ু সম্পর্কিত বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক বা তার সামান্য বেশি। তীব্র দাবদাহ, শৈত্য প্রবাহ, মৌসুমের বাইরে বৃষ্টিপাতসহ বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং শিলাবৃষ্টির মতো দুর্যোগ বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা এবং গবেষণা ও জ্ঞান ব্যবাবস্থাপনায় জলবায়ু সম্পর্কিত অর্থায়ন ক্রমেই কমছে। অভিযোজন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং গবেষণায় জলবায়ু সম্পর্কিত অর্থায়ন ক্রমেই কমছে বলে জানিয়েছেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এর প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান।

শনিবার (২২ জুন) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ‘সবুজ অর্থনীতি ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জলবায়ু, পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ২০২৪- ২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জলবায়ু সম্পর্কিত বাজেট বরাদ্দ জিডিপির ১ শতাংশ কম এবং ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের বাড়লেও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় প্রকৃত বরাদ্দ ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। জলবায়ু সহনীয়তা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতে বাজেটে জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ ব্যয় করা প্রয়োজন হলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়লেও জলবায়ু সম্পর্কিত বাজেট বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ০.৭০৬ শতাংশ গত বছরের তুলনায় কমেছে।

তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ এনডিসিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪১১৪.২ মেগাওয়াট। প্রতি অর্থ বছরে গড়ে কম্পক্ষে প্রায় ৩ হাজার ৮৬ কোটি টাকা প্রয়োজন হলেও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে নবায়নযোগ্য শক্তি বাবদ মাত্র ১০০ কোটি টাকা বা মাত্র ৩.২ শতাংশ তহবিল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। প্রতি অর্থ বছরে বাংলাদেশে সার্বিক জলবায়ু অর্থায়নে ঘাটতি ২৩.৪ বিলিয়ন ডলার। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হারানো কর্মদিবসের আর্থিক মূল্য বিবেচনায় সার্বিক জলবায়ু অর্থায়নে ঘাটতি বছরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। ঘাটতির তুলনায় আন্তর্জাতিক উৎস হতে বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। এ প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিশ্রুত প্রতি বছর ১১.৪ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় ২২৫ বিলিয়ন (প্রায় ২৯.৩ বিলিয়ন ডলার) প্রদানের যে উদ্যোগ নিয়েছে জলবায়ু ঋণ না নিয়ে এ তহবিল থেকে অনুদান পেতে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে দ্বিপাক্ষিকভাবে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্যারিস চুক্তির আওতায় সরকার জলবায়ু সহনীয়তার জন্য কার্বন নিঃসরণকারী জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর কার্বন কর আরোপ করা উচিত, তাহলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পাশাপাশি অভিযোজনেও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমে বায়ু দূষণের পরিমাণ কমে যাবে। কার্বন কর, দূষণ করারোপের মাধ্যম বছরে সর্বোচ্চ ৩.৪ বিলিয়ন ডলার সবুজ অর্থায়ন সম্ভব।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, গ্রিন ফিনিটির প্রধান নির্বাহী ড. দিলরুবা, চেঞ্জ চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা সহকারী তন্ময় সাহা এবং পারমিতা অরণি।

;

শেখ হাসিনা-মোদি বৈঠকে ১০ সমঝোতা স্মারক সই

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সামরিক কৌশল, রেল যোগাযোগসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে ৩টি সমঝোতা নবায়ন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সমঝোতাগুলো হলো-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *