আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তার তথ্য চেয়েছে দুদক

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১০ দেশে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুদককে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এসব অভিযোগ দুর্নীতি নাকি অডিট অবজেকশন, তা নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুদককে সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সংস্থাটির এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের পাঠানো চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ফিলিপাইনস্থ বাংলাদেশি দূতাবাস বা হাইকমিশনে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সেরি বা প্রধান কনস্যুলার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্যান্য সুনির্দিষ্ট ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা বলা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে ওই সব কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহ করতে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। কর্মকর্তাদের ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পূর্বের কর্মস্থল, দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ও তৎকালীন সময়ে পদবি, বর্তমানে তাদের কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা চাওয়া হয়েছে। কয়েকটি মিশন থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফেরত আসতে বলা হয়েছে।

এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চুক্তিভিত্তিক যারা ছিলেন তাদের সবাইকেই রিকল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন অ্যাডমিন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা, গতকাল তাদের চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের আমরা চার সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম। তারা সবাই চলে আসবেন। রিপ্লেসমেন্টে কিছুটা সময় লাগবে। হুট করে তো হবে না। এটা ভেবেচিন্তে দিতে হবে, অভিজ্ঞ যারা আছেন।

দুদককে সহযোগিতা করার বিষয়ে তিনি বলেন, সহযোগিতা তো অবশ্যই করবো। আমরা তো চাই না কোনো দুর্নীতি হোক। কাজেই যেটুকু সহযোগিতা চাইবে আমরা করবো, দেখতে হবে দুর্নীতি হয়েছে কি না। সেটা দেখে সেভাবে সহযোগিতা করবো।

এ বিষয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলবো না যতক্ষণ প্রতিটা কেইস আমি ডিটেইলস দেখবো।

অনেকে অতি উৎসাহিত হয়ে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করছেন, এটি তেমন কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা হতেই পারে, সবসময়ই হয়। এটা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *