বিনোদন

২৮তম প্রয়াণ দিবসে সালমান শাহ’র মৃত্যু নিয়ে সামনে এলো নতুন তথ্য!

ডেস্ক রিপোর্টঃ আজ ৬ সেপ্টেম্বর। ২৮ বছর আগে ঢাকায় চলচ্চিত্রে রাজত্ব করা মানুষটি এই দিনে অকালপ্রয়াত হন। তিনি কী দেখছেন ছেড়ে যাওয়া ভক্ত ও অনুরাগীরা কী গভীর শ্রদ্ধা আর নিখাদ ভালোবাসায় স্মরণে রেখেছে তাকে? এ প্রশ্নের উত্তর কারও জানা নেই। তবে তিনি বেঁচে থাকবেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বিক্ষোভ’, ‘প্রেমযুদ্ধ’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের ভেতর; নিজ অভিনয় গুণে। বেঁচে থাকবেন ভক্তদের অন্তরে।

অকালপ্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ

সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিপরীতে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আসেন তিনি নব্বই দশকের একেবারে গোড়ার দিকে। প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করেই ভক্ত-অনুরাগীদের ক্রেজ হয়ে ওঠেন এই স্টাইলিশ নায়ক। মাত্র ২৫ বছর বেঁচে ছিলেন। তার অকাল প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের শুরু হয়।

সাবেক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তাকে খুন করা হয়নি। চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্কের কারণে স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন এ নায়ক।

সালমান শাহ-শাবনূর জুটি ছিলো অসম্ভব জনপ্রিয়

এদিকে সালমান শাহ’র প্রয়াণ দিবসে সামনে এলো নতুন তথ্য! একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে এই নায়কের মা নীলা চৌধুরী মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে ফের ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি, ভারত থেকে এজেন্ট এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার সম্পর্কে নীলা চৌধুরীর ভাষ্য, তাদের সঙ্গে বনজ কুমারের সম্পৃক্ততা ছিল। এই বনজ কুমারকে তারা অনেক টাকা দিয়েছে। সালমান শাহ মৃত্যুর পর আমরা জেনেছিলাম যে, ভারতীয় কাউকে ভাড়া করে এনে সালমান শাহকে হত্যা করিয়েছে তারা। সুকুমার রঞ্জন সে সময় সংসদ সদস্য ছিলেন, তিনি একজন ভারতীয় এজেন্ট, ‘র’। তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন।

স্ত্রী সামিরার সঙ্গে সালমান শাহ

নীলা চৌধুরী বলেন, আগে একটা মাফিয়ার আন্ডারে ছিলাম। এখন আমরা মুক্ত এ হত্যার বিচার প্রয়োজন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।

সামিরার বিষয়ে তিনি বলেন, সামিরা তিনটি বিয়ে করল। সে যে খারাপ তা প্রমাণ হয়ে গেছে। একটি ঘরে থাকতে পারেনি সে। তার বাবাও অনেক কিছু করেছে। ইদানীং তাদের দেখা যাচ্ছে না। তার মা, সে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি। অথচ একটা আসামিকেও কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না। তাদের আটক করা হলো না। হত্যা মামলার আসামি হলে তো সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়। এরপর আইন যা বলবে তাই হবে। কিন্তু তা হয়নি।

এআই দিয়ে তৈরি সালমান শাহ’র ছবি

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *