ভুটানি তরুণের প্রাণ বাঁচালেন বাংলাদেশের ফিজিও
ডেস্ক রিপোর্ট: ভুটানের বিপক্ষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রীতি ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। ম্যাচের পুরো সময় জুড়েই ছন্দহীন ছিলেন দুই দলের ফুটবলাররাই। পঞ্চম মিনিটে শেখ মোরসালিনের গোলটিও এসেছিল ভুটানের গোলরক্ষকের ভুলে। তবে ম্যাচ চলাকালীন এক ঘটনার সূত্র ধরে এবার নজর কাড়লেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও আবু সুফিয়ান।
ঘটনাটি ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। সেখানে চোট পান বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড রাকিব হাসান এবং তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতেই মাঠে দৌড়ে যান আবু সুফিয়ান। পরে চোটের অবস্থা বিবেচনায় স্ট্রেচার করে রাকিবকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নয়।
সেই স্ট্রেচার বহন করছিলেন এক চারজন। তার মধ্যে হঠাৎ একজন জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন মাঠেই। পরে সেখানে রাকিবকে রেখেই সেই ভুটানি তরুণের চিকিৎসায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের ফিজিও।
স্ট্রেচার বহনকারী সেই তরুণের বয়স আনুমানিক ২৪। হঠাৎ এমন জ্ঞান হারানোয় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল স্ট্রোক করেছে সে। এতেই তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সিপিআর (কৃত্রিম শ্বাস এবং রক্তসঞ্চালন শুরু করার পদ্ধতি) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিপিআর। এবং ১০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর তার পালস খুঁজে পান আবু সুফিয়ান। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
সুফিয়ানের এমন কাজ স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসার দাবী রাখে। এমনকি জরুরি অবস্থায় সেই তরুণের নামটি জানতেও ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। পরে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুফিয়ান বলেন, ‘তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত। এর আগেও একবার জ্ঞান হারানোর ঘটনা ঘটেছিল বলে শুনেছি। এই রোগে সাধারণত জ্ঞান খুব দ্রুত ফিরে আসে। গতকাল কিছুক্ষণ দেরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি ও ভুটানের ফিজিও সিপিআর করছিলাম। একবার শ্বাস আসলেও পরক্ষণে আবার অবস্থা অবনতি হওয়ায় আরও শঙ্কিত হই। কারণ মস্তিষ্কে অক্সিজেন বেশিক্ষণ না পৌঁছালে বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। পরবর্তীতে অবশ্য একটু উন্নতি হওয়ায় উঠানো হয় অ্যাম্বুলেন্সে। আজও তার খোঁজ নিয়েছি। সে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।’
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।