সারাদেশ

সাবেক বিচারপতি মানিকের জামিন

ডেস্ক রিপোর্ট: সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকা গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক চাকুরী প্রত্যাশীদের আবেদন করা প্রক্রিয়াধীন নিয়োগ পরীক্ষা পূর্বের নিয়মে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান চাকুরী প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফরের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এই দাবি জানানো হয়। গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান চাকুরী প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ-এর সভাপতি খান সাইফুল ইসলাম এসব দাবি তুলে ধরেন।

খান সাইফুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ আলোকে (নবসৃষ্ট পদ) গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে সরকারি নিয়মনীতি ও মাদ্রাসার সকল শর্ত পূরণ করে চাকুরীর জন্য আবেদন করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চাকুরী প্রত্যাশীদের নিয়োগ পরীক্ষায় ২০২১ সালের জানুয়ারি হতে মহাপরিচালক (ডিজি) প্রতিনিধি মনোনয়ন দীর্ঘ ৬ মাস পর্যন্ত কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৮ জুলাই পদ দুটি পরিবর্তন করে শিক্ষক পদমর্যাদা দিয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে এই দুটি পদে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এন.টি.আর.সি.এ.) কে পরিক্ষার সনদ ও নিয়োগ সুপারিশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সরকারের এই যুগোপযোগী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে অতীতের বিভিন্ন সময় এরকম অফিস আদেশ বা পরিপত্রের একাংশে পূর্বে আবেদন করা চাকুরী প্রত্যাশীদের প্রক্রিয়াধীন থাকা নিয়োগ কার্যক্রম পূর্বের নিয়মে সম্পন্ন করার সুযোগ রাখা হয়েছে যা ওই তারিখের এই আদেশে উল্লেখ করা হয়নি।

এমনকি সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় যে সকল মাদ্রাসায় ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়ন দীর্ঘদিন পর্যন্ত বন্ধ ছিলো। ঐসকল মাদ্রাসার প্রক্রিয়াধীন থাকা নিয়োগ পরীক্ষা পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন করার দাবিতে আমরা সারা দেশের প্রক্রিয়াধীন থাকা চাকুরী প্রত্যাশীরা গত ৩ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা সহ সচিবালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে বার বার স্মারকলিপি দিয়েও এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি।

তিনি বলেন, অন্যদিকে স্কুল, কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে গত ১০ বছর যাবৎ নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থেকে গত ২০২১ সালের ৩১মে অফিস আদেশ জারি করে পদ দুটিকে শিক্ষক পদমর্যাদা দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এতে আমরা যারা সারা দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় (নবসৃষ্ট পদ) গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকুরীর জন্য আবেদন করে সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষার অপেক্ষায় থেকে চাকুরির নির্ধারিত বয়স প্রায় শেষের দিকে, তারা চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছি।

তাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর শিক্ষা উপদেষ্টা সহ প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমরা যারা সরকারের সকল শর্ত পূরণ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ আলোকে সারা দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় (নবসৃষ্ট পদ) গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে আবেদন করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিবের মৌখিক নির্দেশনায় নিয়োগ পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, তাদের নিয়োগ পরিক্ষা পূর্বের নিয়মে সম্পন্ন করার জোর দাবি করছি।

আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলেও জানানো হয়।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *