আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আগামী সপ্তাহে
ডেস্ক রিপোর্ট:
আন্তর্জাতিক আদালত (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে) ইসরায়েলকে গাজায় ‘গণহত্যা’ বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (এসসি) আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে। এ বৈঠক থেকে গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলকে আহ্বান জানানো হবে বলে শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি জানিয়েছেন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এএফপি’র বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস এ খবর জানায়।
শুক্রবার আইসিজে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। তবে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়নি।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর বলেছেন, সিদ্ধান্তটি ‘স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, তারা যা চাইছে তা করার জন্য আগে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।’
তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ‘সম্ভাব্য গোলযোগের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ কারণ, আলজেরিয়া নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আরব গ্রুপের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ দেবে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে বিভক্ত নিরাপত্তা পরিষদ ৭ অক্টোবর (২০২৩) হামাসের হামলার পর সর্বশেষ শুধুমাত্র দুটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।
ডিসেম্বরে যখন ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল, তখন নিরাপত্তা পরিষদ গাজার অবরুদ্ধ জনসংখ্যার জন্য বিপুল পরিমাণ সাহায্য পাঠানোর দাবি করেছিল।
হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,১৪০ জন মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের মধ্যে এখনো প্রায় ১৩২ জন গাজায় আটক রয়েছেন। কমপক্ষে ২৮ জন জিম্মিকে হামাস হত্যা করেছে।
ইসরায়েল হামাসকে দমন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযান শুরু করলে গাজার ২৬,০৮৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক আদালত প্রায় চার মাসব্যাপী যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকার সময় ইসরায়েলকে ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন মেনে সবকিছু করার পরামর্শ দিয়েছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।