সারাদেশ

যশোরে ৬৫০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি করছে সাসস

ডেস্ক রিপোর্ট: দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বের সবখানেই বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শুধু বাংলাদেশে হচ্ছে না, অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। সারাবিশ্ব, সকল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির এই অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, জিল্লুর রহমান সাহেবের দল ও দেশের প্রতি যে আনুগত্য অপরিসীম। এক-এগারোর সময়ে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রীকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে যখন কোর্টে নেওয়া হয় তখন সেখানে আমিও ছিলাম। তখন তিনি আমাকে ডেকে দুটি কথা বললেন, জিল্লুর রহমান সাহেবকে সভাপতি বানিয়েছি, তাকে অনেকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, আপনি তার সঙ্গে থাকবেন। আর দল যাতে কোনোভাবে না ভাঙে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে আমরা বিপদের সময় একত্রিত ছিলাম। জাতির ক্রান্তিলগ্ন আসে। সেই সময়গুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকলেই এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপি-জামাত আমাদের পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, জিল্লুর রহমান সাহেব ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তার নম্রতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি কোনো কিছুই জাহির করতেন না। যা করতেন কর্তব্যের তাগিদে করতেন। যখন নেত্রীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল তখন জিল্লুর ভাইয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করতাম। তখনই তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনটা করতে হবে।

জিল্লুর রহমানের মতো মানুষ বারবার আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বিরল গুণ সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। সকলকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা ছিল তার মধ্যে। তিনি উচ্চ কণ্ঠে কথা না বললেও একটা সভায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারতেন। তার এই জিনিসগুলো আমাদের শেখা উচিত। মৃদুভাষী এবং নম্রতাকে আমরা রাজনীতিতে নেতিবাচক হিসেবে দেখি।

সভায় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জিল্লুর রহমানের জীবনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধিকারের আন্দোলনের প্রত্যেকটি স্তরেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেছেন। তার মতো নেতার আদর্শ যুগ যুগ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ জানান, জিল্লুর রহমান খুবই ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি বলেন, এমন লোকেরা ক্ষণজন্মা। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাকে বিশ্বাস করে যখন দলের দায়িত্ব তার হাতে দিয়ে গেলেন তখন তিনি দলের ক্ষতি হবে এমন কিছুতে একটুও প্রশ্রয় দেননি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ত্যাগের পুরষ্কার হিসেবে আমাদের কেবিনেটে নিয়ে এসেছেন। আমি কৃষকদের কিভাবে উন্নতি করা যায়, কিভাবে ফসলের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায় তার চেষ্টা করবো।

জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর আহমেদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *