আন্তর্জাতিক

গাজায় ৭ সহায়তা কর্মীকে হত্যার কথা স্বীকার করলো ইসরায়েল

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজায় ৭ সাহায্য কর্মীকে হত্যার কথা শুক্রবার (৫ এপ্রিল) স্বীকার করেছে ইসরায়েল। ওই ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ হামলার নির্দেশ দানকারী দুই ব্রিগেড অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদের একজন কর্নেল এবং একজন মেজর পদমর্যদার বলে জানা গেছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই ৭ সহায়তা কর্মীর মৃত্যু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

ওই ৭ সহায়তা কর্মী চার মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের ড্রোন এবং বিমান হামলায় নিহত হন।

পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এখনো বুঝতে পারছে না কীভাবে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তারা গত সোমবারের ঘটনাগুলোর একটি ফৌজদারি তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের একটি অভ্যন্তরীণ সামরিক তদন্তে দেখা গেছে যে, আইডিএফের ড্রোন দলএক সন্দেহভাজন হামাস বন্দুকধারীকে গুলি করতে দেখে হামলা চালালে ওই সহায়তা কর্মীরা নিহত হন।

ওই ঘটনাকে অভিযানের পরিস্থিতিগত ভুল বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ড্রোন ফুটেজ থেকে ক্লিপ দেখিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) গাড়িবহর চেনার উপায় ছিল না।

যদিও সাহায্য কর্মীদের তিনটি গাড়ির ছাদে বড় বড় ডব্লিউসিকে লোগো লাগানো ছিল।

অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি জেনারেল ইয়োভ হার-ইভেন, যিনি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি বলেছেন, ড্রোনের ক্যামেরা অন্ধকারে কিছুই দেখতে পায়নি।

তবে, হার-ইভেন স্বীকার করেছে যে, তিনটি বিমান হামলা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছে।’

অন্যদিকে, ওই ত্রাণ কর্মীদের মৃত্যু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি উত্তেজনাপূর্ণ টেলিফোন কলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। এটি একটি গুরুতর ভুল যার জন্য আমরা দায়ী। এমনটা হওয়া উচিত হয়নি। আমরা নিশ্চিত করবো যে, এরকম আর ঘটবে না।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *