খেলার খবর

ডিপিএলে রনির ৭ উইকেট, ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ ১১০ বলেই 

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএলে) মোহামেডানের আবু হায়দার রনির পেস তোপে স্রেফ ৪০ রানেই গুটিয়ে যায় গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি। ইনিংসে নিজের প্রথম দুই ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার ছাড়াও এদিন মোট ৭ ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা মাপিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। বাকি ৩ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। পরে ৪১ রানের নামমাত্র এই লক্ষ্য ১ উইকেট হারিয়ে ৬ ওভারেই ২ ওভারেই তুলে ফেলে মোহামেডান। জয় ৯ উইকেটের। 

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গাজী টায়ার্স। সেখানে রনির পেস তোপে ও নাসুমের স্পিন ঘূর্ণিতে ১২ ওভার ৪০ রানেই থামে দলটির ইনিংস। সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইফতেখার সাজ্জাদ। বাকি সবাই ফিরেছেন ব্যক্তিগত দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই। 

এটি অবশ্য বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের যেকোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন সংগ্রহের রেকর্ড নয়। ২০০২ সালের ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের বিপক্ষের চট্টগ্রামের ৩০ রানের দলীয় সংগ্রহটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের যেকোনো ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। 

এদিকে ৬ ওভার বল করে ২০ রান খরচে ৭ উইকেট নেন রনি। এটি ডিপিএলের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ২০১৭-১৮ আসরে গাজী গ্রুপের ইয়াসিন আরাফাত ৪০ রানে দিয়ে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। 

স্বল্প রানের এই লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য একটি উইকেট হারায় মোহামেডান। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ফেরেন রনি তালুকদার (১২)। ইনিংসে কেবল ৩৮ বল খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় মোহামেডান। সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:

গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি: ৪০ (১২ ওভার) (সাজ্জাদ ১৬; রনি ৭/২০, নাসুম ৩/২০)

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪১/১ (৬.২ ওভার) (ইমরুল ১৯*; আকাশ ১/৪)

ফল: মোহামেডান ৯ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: আবু হায়দার রনি  

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *