আন্তর্জাতিক

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন

ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য মোতাবেক সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ, রোজা ও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে আসছেন।

এই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১০ এপ্রিল) দরবারের অনুসারীরা ৬০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

জানা গেছে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপের প্রায় ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা আজকে ঈদুল ফিতর পালন করছেন।

এ বিষয়ে মির্জারখীল গ্রামের বাসিন্দা ও ওই দরবারের অনুসারী হাসানুল করিম বলেন, আমরা শুধু ঈদ না সব ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করি। আজ সেখানের মতো আমরা রোজার ঈদ পালন করছি।

মির্জাখীল দরবারে আলীয়া জাহাগিরিয়ার মাওলানা আবদুর রহমান জানান, আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী আজকে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছি।

জাহাগিরিয়া দরবার শরীফের মাওলানা আবদুর রহমান জানান, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আমরা আমাদের অনুসারীদের নিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। মির্জারখীলসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত অর্ধ শতাধিক গ্রামে থাকা দরবার শরীফের মুরিদরাও একই সময়ে ঈদুল ফিতর পালন করছে।

মিজার্রখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহ্ সুফি মমতাজিয়া দরবারের দুই জন খলিফা হযরত আতিক উল্লাহ শাহ্ (রঃ) এবং হযরত আবুল হোসেন (রঃ) প্রায় ১২৫ বছর পূর্ব থেকে অত্র এলাকায় তাদের পীরানে পীরের নির্দেশ ও মাজহাব মতে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে সব মুসলিম ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করে আসছেন।

প্রায় ২০০ বছর আগে সাতকানিয়া মির্জাখিল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাগিরি (রঃ) হানাফী মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোন দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই উত্তরসুরি হযরত মাওলানা আবদুল হাই জাহাগীরির অন্যতম প্রধান খলিফা চন্দনাইশ শাহ্ছুফি দরবারের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ছুফি আমজাদ আলী (রঃ) এর মুরিদ ও অনুসারিরা একই নিয়মে সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *