সারাদেশ

বাংলা নববর্ষে সিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলা নববর্ষে সিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নগরের ডিসি হিল সংলগ্ন নজরুল স্কয়ার ও সিআরবি শিরিষ তলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে নগর পুলিশ সিএমপি।

রোববার (১৪ এপ্রিল) চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।

এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলগুলোতে আগত দর্শনার্থী ও মঙ্গল শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন চলাচল ও পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানাদি সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সড়কে ওইদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ কর্তৃক বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন নির্দেশনাগুলো অনুসরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

ডিসি হিলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে লাভ লেইন (নুর আহম্মদ সড়কের মাথা), চেরাগী পাহাড়, এনায়েত বাজার মোড় ও বোস ব্রাদার্স (পুলিশ প্লাজা) মোড়ে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। ডিসি হিল অভিমুখে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

পহেলা বৈশাখের দিন সিআরবি সাত রাস্তা ও কাঠের বাংলো মোড়ে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। সিআরবি শিরিষতলা অভিমুখে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সকাল ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে চট্টেশ্বরী মোড়-আলমাস মোড়-কাজির দেউরী মোড়-এস এস খালেদ রোড-প্রেস ক্লাব ইউটার্ন-সার্সন রোড হয়ে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে প্রত্যাবর্তন করবে। শোভাযাত্রা চলাকালে চট্টেশ্বরী মোড়, আলমাস মোড়, কাজির দেউরী মোড়, জামালখান খাস্তগীর স্কুল মোড় ও সিজিএস স্কুল মোড়ে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে প্রয়োজন সাপেক্ষে ডাইভারশন প্রদান করা হবে।

জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান চলাকালীন এই এলাকার সড়কগুলো এড়িয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

৪৯ বছর ইমামতি, ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে রাজকীয় বিদায়

৪৯ বছর ইমামতি, ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়

ফেনীর পরশুরামে ৪৯ বছর ইমামতি শেষ করে বিদায় নেয়ার প্রাক্কালে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে রাজকীয়ভাবে ইমামকে বিদায় দিয়েছেন এলাকার সাধারণ মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মালিপাথর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মৌলভী আহমাদুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মুসল্লি ও এলাকাবাসী। 

ইমামের বিদায় উপলক্ষে একটি ঘোড়ার গাড়িকে হরেক রকমের ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করানো হয়। পরে মুসল্লিরা ইমাম মৌলভী আহমাদুর রহমানকে ফুলের মালা পরিয়ে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। শেষে তাকে ফুলেল সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে মালিপাথর, শালধর বাজার, ধনীকুন্ডা, রাজষপুর, মনতলা, গাবতলা ও নিলক্ষী গ্রাম ঘুরিয়ে রাজকীয় সম্মানে পৌঁছে দেন বাড়িতে।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৪৯ বছর এ মসজিদের ইমামতি করে সকলের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করেন প্রবীণ এই ইমাম। দায়িত্বকালীন মানুষের বিপদ-আপদে সবসময় পাশে ছিলেন মৌলভী আহমাদুর রহমান। বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও অসুস্থতার কারণে তিনি নিজেই মসজিদ কমিটির কাছে অবসর চান।এজন্য এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিরা বিশেষ সম্মান জানিয়ে দিয়েছেন রাজকীয় বিদায়।

এ ব্যাপারে ইমাম মৌলভী আহমাদুর রহমানের ছেলে আবদুল মোতালেব বলেন, মানুষ আমার বাবাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে। গ্রামবাসী ও মসজিদ কমিটি বাবাকে রাজকীয় বিদায় দিয়ে ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাবার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।

;

‘গরিবের আবার ঈদ, টাকা যার ঈদ তার’

গরিবের আবার ঈদ, টাকা যার ঈদ তার

‘আমরা গ্রামের মানুষ, আমরা মাঠে-ঘাটে, খেতে-খামারে দিন মজুরি করে খাই। ঈদ বলতে আমাদের কিছু নেই। গরিবের আবার ঈদ, টাকা যার ঈদ তার। আমরা কাজ না করলে পেটে ভাত যাই না। কাজই আমাদের শেষ সম্বল।’ আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন সুরুত মিয়া।

বুধবার (১০ এপ্রিল) সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় গিয়ে তাদের সাথে আলাপ কালে এমনই কথা বলছিলেন তারা।

তিনি বলেন, টাকা থাকলে ঈদ করা যায়, আনন্দ করা যায় আরও কত কিছুই না করা যায়। কিন্তু যার টাকা নেই তার জীবনে কিছুই নেই, জীবনটাই অন্ধকার। তেমনি আমাদের একবেলা কাজ না করলে খেতে পারি না। আর ঈদ সেটা তো পরের কথা। এই ঈদে সবাই নতুন পোশাক কিনেছে। কিন্তু আমরা সেটা চেয়ে চেয়ে দেখেছি। আমাদের কেনার ইচ্ছে থাকলেও সেটার সাধ্য নেই। আমরা নিরুপায় সবাই তো যাকাত পায় কিন্তু আমরা যে গ্রামের মানুয় কারোর কাছে কিছুই পায় না। কোনো টাকাও পায় না আবার কোনো শাড়ি কাপড় পায় না। সব মিলিয়ে বলা যায় ঈদ বলতে আমাদের কিছু নেই।

শুধু যে সুরুত মিয়া তা নয়, তার মতো অনেকই আছে যাদের ঈদকে নিয়ে কোনো ভাবনা চিন্তা নেই। তারা তাদের কাজকে ঈদ মনে করে। তাদের কাছে ঈদ হলো ভালো মন্দ খাওয়া দাওয়া। তাই তো মনে করে একবেলা কাজ না করলে পেটে ভাত যাবে না আর ঈদও করা হবে না।

রাস্তা ধরে কিছু পথ যেতে না যেতেই চোখে পড়ে গাছের তলায় ভ্যান নিয়ে বসে আছে বৃদ্ধ মানিক মিয়া।

বৃদ্ধ বয়সে ভ্যান চালাচ্ছেন কেনো এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে বলেন, কি করব ছেলে, মেয়ে থেকেও যে আজ তারা নেই। কতই না কষ্ট করে তাদের বড় করেছি আজ তারা বড় হয়েছে তাদের নতুন মা বাবা হয়েছে। আমরা যে তাদের বেশি হয়ে গেছি। সারাটা জীবন ভ্যানকে আকড়ে ধরে ছিলাম আর শেষ জীবনেও তাকে ধরে আকড়ে আছি। দিনশেষে বুঝলাম আমার হয়ে থাকলো শুধু আমার এই ভ্যান। ভ্যান বলতে ছাড়া আপন বলতে যে আর কিছু রইলো না। কবে না জানি ভ্যানের ওপর আমার মৃত্যু না হয় এমনইভাবে কান্না করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন।

তিনি আরও বলেন, রাত পোহালে ঈদ। কিন্তু শেষ ১০ বছর ঈদ করতে পারি না। বয়সের ভারে বুড়ো হয়ে গেছি ঠিক মতো ভ্যান চালাতে পারি না। এদিকে ভ্যান না চালালে বাড়িতে অবোলা ২ ছেলেমেয়ে (২ টা ছাগল) যে না খেয়ে থাকবে। সেই সাথে আমার গিন্নিও। এরাই যে আমার সঙ্গী। ছেলেমেয়ে থাকতে ও আজ তারা নেই তাই তো ২ টা ছাগল আজ আমার ছেলে মেয়ের অবস্থানে। ভ্যান চালাতে পারি না। বুড়ো হয়ে গেছি বলে কেউ উঠতে চায় না। ঈদে যে একটু ভালো মন্দ খাবো তাও জটে না। কত কাল যে গরুর মাংস খায় না মনে করতে পারছি না। দিন শেষে গরিব খেটে খাওয়া মানুষদের ঈদ বলতে কিছুই নেই।

;

সায়েদাবাদে যাত্রী সংকটে ভুগছেন পরিবহন শ্রমিকরা

ছবি: বার্তা২৪.কম

পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বিগত কয়েকদিনে রাজধানী ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে বিগত দিনগুলোতে যাত্রীর চাপ থাকলেও ঈদযাত্রার আগের দিন অনেকটা যাত্রী সংকটে ভুগছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ফলে ডেকে ডেকে দূরপাল্লার যাত্রী খুঁজছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর সাইদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে যাত্রী সংকটের এমন চিত্র দেখা গেছে।

পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, অধিকাংশ মানুষ গতকালই ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে। আজ খুব কম সংখ্যক যাত্রী যাত্রা করছেন। ফলে যাত্রীর সংকট দেখা দিয়েছে।

তবে গাড়ি পেতে ভোগান্তি না হওয়ায় অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন সাধারণ যাত্রীরা।

কুমিল্লাগামী যাত্রী মো.নুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, কাউন্টারে এসেই গাড়ি পেয়েছি। কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়নি। কাউন্টারে এসেই গাড়ি পেয়ে যাবো এটা ভাবতে পারি নাই। ভেবেছিলাম ভেঙে ভেঙে যেতে হবে। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম।

যশোরগামী যাত্রী আবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, টার্মিনালে আজ যাত্রীদের কদর বেড়েছে। টিকিট বিক্রির জন্য রাস্তা থেকে যাত্রী ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গতকালও মানুষ একটা টিকিটের জন্য এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউন্টারে বসে থেকেও টিকিট পাই নাই। কিন্তু আজ এমন অবস্থা যে না চাইতেই টিকিট দিয়ে দিচ্ছে। টিকিট পাওয়া নিয়ে কোনো ভোগান্তিও হচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাইদাবাদ বাস টার্মিনালের আশেপাশের রাস্তায় টিকিট হাতে অবস্থান করছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। কোনো যাত্রী দেখলেই ঘিরে ধরছেন তাকে। কোথায় যাবেন করে টিকিট বিক্রির চেষ্টা করছেন। গাড়িতে যাত্রী পূর্ণ হলেই একের পর এক গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যের উদ্দেশে।

রহমত শেখ নামের এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, যাত্রী খুব কম। গতকাল যে যাত্রী ছিল আজ তার চার ভাগের এক ভাগ যাত্রীও নেই। তারপরও টুকটাক যে যাত্রী আছে তাতে মোটামুটি সকাল থেকে বেশ কিছু গাড়ি ছেড়রে গেছে। এখনও গাড়ি ছাড়ছে। যাত্রী পেলেই গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে।

পরিবহন শ্রমিক নাহিদ হোসেন বলেন, আজ যাত্রী নেই। গতকাল এই সময় পর্যন্ত যে পরিমাণ গাড়ি ছেড়ে গেছে আজ তার অর্ধেকও ছাড়তে পারি নাই। কাল যাত্রীর জন্য টার্মিনালে পা ফেলার যায়গা ছিল না। আর আজ ফাঁকা। মাঝে মধ্যে যাত্রী আসছে। গাড়ি ভরে গেলে ছেড়ে যাচ্ছে।

তবে সন্ধ্যার দিকে আবারও কিছু যাত্রীর চাপ হতে পারে বলে মনে করছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।

ঈদ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে গেল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) থেকেই মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। এরপর শুক্র ও শনিবার দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি এবং মাঝে রবিবার পবিত্র শবে কদরের ছুটি পড়ে। পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার লম্বা ছুটি রয়েছে। মূল ঈদের ছুটি ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। এর পরদিন, অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন রবিবার পয়লা বৈশাখের ছুটি। এতে টানা পাঁচ দিন ছুটি নিশ্চিত।

এদিকে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদীউজ্জামানের ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ঈদের আগের চার দিনে ঢাকা ছাড়েন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। সে হিসেবে ঈদের সময় প্রতিদিন গড়ে বাড়ি যান ৩০ লাখ মানুষ।

গত বছর ঈদুল ফিতরের সময়ে ঈদের আগে পাঁচ দিনে এক কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়েছিলেন।

;

রংপুরে প্রধান ঈদের জামাত সাড়ে ৮ টায়

ছবি: বার্তা২৪.কম

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুর। ইতোমধ্যে ঈদের জামাত আদায়ের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি শেষ। এবার রংপুর মহানগরীতে ঈদের প্রধান জামাত কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করবেন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. বায়েজীদ হোসাইন।

এদিকে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২০-২৫ হাজার মুসল্লি ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করবেন।

ঈদের দিন আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বিকল্প স্থান হিসেবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা স্যারের নির্দেশে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে কয়েক দিন থেকে মাঠের কাজ চলছে। রোদ-বৃষ্টির জন্য মাঠে শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।

এ ছাড়া পুলিশ লাইন্স মাঠে সকাল ৮টা, কামাল কাছনা বড় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান ও জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করবেন বলে জানা গেছে। এ দিকে প্রধান জামাতের সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে জেলার অন্যান্য ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রংপুর মহানগরীর বাহিরে রংপুর সদর উপজেলা ও মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহে এবং পীরগাছা কারবালা মাঠ, তারাগঞ্জ চৌপথী ঈদগাহ ও গঙ্গাচড়ার পাইকান জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, গঙ্গাচড়া ও পীরগঞ্জে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৯ টায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। বদরগঞ্জের চান্দামারী কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তবে বেশিরভাগ এলাকার মসজিদ, মাদরাসা ও ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

এ বছর রংপুর মহানগরীর ৭৫টিসহ জেলার প্রায় ১ হাজার ২০০ ঈদগাহ মাঠে জামাত আদায় করবেন মুসল্লিরা।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় জানান, ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ থাকবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *