কালাই

কালাইয়ে ঢাকের বাদ্য, ঘোড়ার গাড়ি-পালকি-লাঙ্গল নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার জন্য সকাল ৯টা থেকে কালাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দর্শনার্থীরা। আজ রোববার সকালে ঘড়ির কাটাতে যখন সাড়ে ১০ টা তখন  জাতীয় সংগীত গেয়ে শুরু হয় বহুপ্রতীক্ষিত মঙ্গল শোভাযাত্রা।  শোভাযাত্রায় যৌথভাবে নেতৃত্ব দেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হায়াত এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন। শোভাযাত্রাটি উপজেলা পরিষদ চত্বরের  সামনে থেকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়ক ধরে কালাই বাস স্ট্যান্ড চত্বর ঘুরে  কালাই সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। 

ঢাকের বাদ্য, ঘোড়ার গাড়ি-পালকি-লাঙ্গল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন আগতরা। তাঁরা সবাই ছিলেন বৈশাখী সাজে। এই সাজে বেরিয়ে পড়েন স্কুল কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা। ছিল কোমলমতি শিশু কিশোর রাও। কারও গলায় গামছা। পরনে শাড়ি বা পাঞ্জাবি। গালে আঁকা আলপনা। কারও হাতে দেখা গেছে ছোট জাতীয় পতাকা। 

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হায়াত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন। আরও বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার হাসান আলী, কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো ওয়াসীম আল বারী, মুক্তিযোদ্ধা মনীশ চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ। 

এরপর কালাই সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে লাঠি খেলা, ঢেঁকি খেলা, কলসি খেলা, পান্তা উৎসবসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে শাহনাজ পারভীন শিউলি এসেছেন দুই ছেলে আর এক মেয়েকে সঙ্গে করে। তিনি বললেন, ‘অনেকবারই পরিকল্পনা করেছি এমন উৎসবে অংশ নেয়ার। কিন্তু আসা আর হয়ে ওঠেনি । তবে এবার আর মিস করিনি। আর এসে মনে হয়েছে- এত দিন অনেক কিছু মিসই করেছি।’ 

কলেজ শিক্ষিকা নাজমা বেগম বলেন, ‘এবারের আয়োজন বেশ জমকালো। তবে আগের তুলনায় ভিড় একটু কম। তাই স্বস্তি পেলেও গরমটা অস্বস্তিকর।’

এদিকে কালাই সরকারি মহিলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী মেলা। মেলায় বসেছে অন্তত ৫০ টি স্টল। এছাড়াও আছে নাগরদোলা, চরকিসহ চিত্ত বিনোদনের নানা আয়োজন। 

মো. আতাউর রহমান।

 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ডেইলি জয়পুরহাট-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *