সারাদেশ

ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন

ডেস্ক রিপোর্ট: ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন

ছবি: সংগৃহীত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। এ নিয়ে জানুয়ারির প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৬৯ জনে। এ সময় কারোর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যু সংখ্যা ৩২ জনেই রইলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ১৪ জন ও ঢাকার বাইরের ১০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও নারী ১১ জন।

এ সময় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন। আর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৪০৫ জন। 

ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মেয়র তাপস: সাঈদ খোকন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ‘ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে (Mohammad Sayeed Khokon) এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। এর আগে তিনি ২০১৫ সালের ১৭ মে থেকে ২০২০ সালের ১৬ মে পর্যন্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।

গতকাল বুধবার (১৫ মে) এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল।’

মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের ফেসবুকের এই পোস্টে বলা হয়, তাঁর (তাপস) এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মেয়র তাপস দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এখন মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে নিজের ব্যর্থতার দায় অন্যের কাধেঁ চাপাতে চাইছেন তাপস।

ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য তুলে ধরে সাঈদ খোকন তার পোস্টে লিখেন, ২০১৯ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৮১০ আর বাইরে ৪৯ হাজার।

আর গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। কেবল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু হয়, তা আগের ২২ বছরে হয়নি।

অর্থাৎ আগের ২২ বছরের চেয়ে গত বছর রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন। আর বাকি ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত হন ঢাকার বাইরে। এ ছাড়া গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৯৮০ জন মারা যান।

তাই অপরাজনীতি না করে কীভাবে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করা যায়, সেদিকে নগর কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দেওয়ার আহবান জানান সাঈদ খোকন।

;

উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

উচ্চশিক্ষা নিতে নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৮ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার্থে নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন। চুয়েটের ‘কেয়ার’ প্রকল্পের আওতায় পূর্ণবৃত্তি নিয়ে ২ বছরের জন্য ৩ জন এবং ৫ মাসের জন্য ৫ জন শিক্ষার্থী আগামী আগস্ট মাসে নরওয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সঙ্গে নরওয়ে গমনকারী শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘কেয়ার’ প্রকল্প চুয়েট এর প্রকল্প পরিচালক ও সমন্বয়ক এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম।

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী ৫জন শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ ‘কেয়ার’ প্রকল্পের অধীনে চুয়েটের সঙ্গে এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদিত শিক্ষা ও গবেষণা অনুদান চুক্তির আওতায় ২০২২ সাল থেকে এই যৌথ একাডেমিক শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

;

‘একদিন কাজ না করলে কপালে মোর ভাত জোটে না’

ছবি: বার্তা২৪.কম

“একদিন কাজ না করলে কপালে মোর ভাত জোটে না। দুনিয়াত মোক দেকার মতো কাইয়্যো নাই। ছাওয়া পোয়া থাকিয়াও নাই, নিজের দুইক্যান হাত ছাড়া৷ স্বামী মারা গেইছে ১৪ বছর পার হওছে। ছাওয়া কোলাত নিয়া কাজ করিয়া বড় করছি৷ সেই ছাওয়া বউ, নাতি নিয়া সুখে আছে মোক দ্যাকে না। কপালোত আছে দুঃখ এই বয়সে কাজ না করি আর উপায় নাই।” এভাবেই আবেগে অশ্রুসিক্ত হয়ে রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় মনের কষ্ট প্রকাশ করছিলেন বৃদ্ধ আজমিনা বেগম (৭২)।

রংপুর নগরীর আলমনগরের একটি জুট কারখানার এক কোনায় বসে কাজ করতে দেখা যায় এই বৃদ্ধাকে। এই বয়সেও কাজ করছেন কেন তা জানতে চাইলে আবেগে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে জুট কারখানায় জুট বাছাইয়ের কাজ করেই চলে তার সংসার। নেই স্বামী, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। একমাত্র পুত্রসন্তানকে বড় করেও তার উপার্জন ভোগ করার ভাগ্য যেন নেই। আজও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জুট বাছাইয়ের কাজ করেই দুমুঠো খাবার জোটে তার। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড মহাদেবপুরে টিনশিটের ছাওনি বাড়িতে যৌথ পরিবারের একটি ছোট্ট ঘরে ভাড়া থাকেন তিনি৷ সপ্তাহে কাজ করে উপার্জন করেন ১৬০০ টাকা।

এভাবে কাজের উপর ভিত্তি করে মাসে উপার্জন তার। মাসে ৭০০ টাকা গুনতে হয় বাসা ভাড়া আনুষঙ্গিক সব খরচে অভাবের সঙ্গে কাটে তার। প্রায় সময় কারখানা বন্ধ থাকলে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে বৃদ্ধার।

তিনি বলেন, দুনিয়াত আল্লাহ ছাড়া আর কাইয়্যো নাই৷ এক পোয়া চাল জাল দিয়া প্রতিদিন কামোত আসি। সারাদিন কাজ করি সপ্তাহে টাকা পাই৷ সবকিছুর দাম বাড়তি , কোন রকমে জীবন বাঁচে। স্বামী নাই যার মাথার উপরের ছাতা নাই তার। সেই দশা হইছে মোর। নিজে কষ্ট করিয়াই যাওছি বাকি জীবনটাও খাটিয়া কাটে দিম। মোক না খাওয়াইলেও সারাদিন দোয়া আছে। দুধভাত খাক মোর ছাওয়া৷

যেই বয়সে তার বিশ্রামে কাটানোর কথা, সেই বয়সে তাকে কাটাতে হচ্ছে পরিশ্রমে। বয়সের ভারকে উপেক্ষা করে দিনমজুরির উপার্জনে অভাবে দিনাতিপাত করছেন অসহায় মা আজমিনা।

;

‘বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে দেশের টেলিকম প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামীকাল ১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আগামীকাল শুক্রবার এ দিবসটি পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন জানান, এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবন’ তাৎপর্যবহ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও উন্নত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যেকোনো দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম নির্দেশক। সরকার তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়নে স্থাপন করেছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা ইউডিসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা আজ সবার হাতের মুঠোয়। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বিগ ডাটা, মেশিন লার্নিং, এআইভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ ও গতিশীল করেছে। এছাড়া জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবধান হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি মনে করি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা উদ্ভাবনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি দেশের টেলিকম প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

তিনি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *