সারাদেশ

রাজকে জীবনযাপনের পরামর্শ দিলেন পরীমনি!

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজকে জীবনযাপনের পরামর্শ দিলেন পরীমনি!

রাজ ও পরী

তার নিজের জীবন নিয়েই বিতর্কের শেষ নেই। জড়াতে হয়েছে আইনি ঝামেলাতেও। ঢাকাই সিনেমার সেই চিত্রনায়িকা পরীমনিই এবার তার প্রাক্তন স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজকে পরামর্শ দিলেন কিভাবে জীবনযাপন করতে হবে!

রাজের সঙ্গে পরীমনির বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় দুই বছর। বিচ্ছেদর পর থেকে ছেলে পুণ্য পরীমনির কাছেই বড় হচ্ছে। বিচ্ছেদের পর থেকে তাদের দুজনের মুখ দেখা দেখিও বন্ধ ছিল। এত দিনে সন্তানকেও দেখার সুযোগ হয়নি রাজের। এই সময়ে রাজ চুপচাপ থাকলেও, অনেকবারই ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন পরী। ছেলের প্রতি দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকবার দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে রাজের সমালোচনা করেছেন।

পরী, রাজ ও পূণ্য কিন্তু হঠাৎ করে তাদের দুজনকে ঘিরে দৃশ্যপট যেন পাল্টাচ্ছে, এমন খবরই পাওয়া যাচ্ছে। চলচ্চিত্র পাড়ার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, মাসখানেক হলো রাজ নাকি পরীর বাসায় যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানেও দুজনের দেখা হয়েছে। সন্তানকে দেখার জন্য এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার পরীমনির বাসায় গিয়েছেন রাজ।

গতকাল গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্বীকারও করেছেন পরীমনি। তিনি বলেন, ‘অন্য একটি বিষয়ের জন্য সে (রাজ) বাসায় এসেছিল। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি দেখা করতেও চাইনি। বাসায়ও আসা মানা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে আমার বাসায় এসেছিল। সেই সময় বাসা থেকে যাওয়ার আগে তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আমার বাসায় রয়ে গিয়েছিল। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিল। কাগজপত্রগুলো আমি যত্ন করেই রেখে দিয়েছিলাম। এসে নিয়ে গিয়েছে। বেশ অনেকক্ষণই ছিল। এলে তো আর বের করে দিতে পারি না।’

পরীমনি ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘হ্যাঁ, দেখা তো হবেই। তারও তো সন্তান পুণ্য। আমি রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি। এই আরকি।’

তাহলে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের জায়গাটা শীতল হয়েছে, বলা যাবে কি, এমন প্রশ্নে পরীমনি বলেন, ‘শীতলের কী আছে। আর শীতল তো হতেই পারত, কিন্তু সেটি মেইনটেইন করেনি রাজ। এই শহরে অনেকেরই তো বিচ্ছেদ হয়েছে, হয়। সন্তানকে ঘিরে কি বিচ্ছেদ বাবা-মায়ের দেখা-সাক্ষাৎ হয় না? কথা হয় না? সন্তানকে ঘিরে সুন্দর সময়ও কাটে না বাবা-মায়ের? কিন্তু রাজের বিষয়টি ভিন্ন। ও বাচ্চাকে সময় দেয়নি। সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়নি। শখ করেও কোনো দিন সন্তানকে খেলনা পর্যন্ত কিনে দিতে দেখলাম না। ঠিকমতো খবরই তো রাখেনি। আমার মনে হয়, সন্তানের মর্মই ও বোঝে না।’

রাজ, পরী ও পূণ্য পরীমনি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন তো দেখলাম। রাজ পুণ্যকে কোলে নিতে চাইলে ওভাবে রাজকে বাবা হিসেবে চিনতে পারে না এখন। অথচ আগে রাজ ছাড়া পুণ্য কিছুই বুঝত না। এটি রাজের জন্য নির্মম।’ এই নায়িকার মন্তব্য, ‘সব কথার শেষ কথা, রাজের সাফল্যেও আমার যায় আসে না, ব্যর্থতাতেও নয়। সে তো আমার জীবনে অতীত। সে এখন আমার কাছে ঘৃণার পাত্র।’

এদিকে ঘৃণা করলেও রাজকে সঠিকভাবে জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন পরীমনি। কারণ, সন্তানের বাবা হিসেবে তার কার্যকলাপের বিষয়টিও সন্তানের ওপর পড়ে। 

পরীমনি

তমার সঙ্গে মীমাংসা নিয়ে মিষ্টি বললেন, এমন আর হবে না!

তমার সঙ্গে মিষ্টির মীমাংসা

সম্পতি ঢালিউডের দুই নায়িকার রেষারেষির খবর বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তমা মির্জাকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করার অভিযোগে মিষ্টি জান্নাতকে ১০ কোটি টাকার মানহানির আইনি নোটিশ পাঠান তমা।

নোটিশ পেয়ে মিষ্টি বলেছিলেন, আমি কোথাও তমা মির্জার নাম উল্লেখ করে কিছু বলিনি। আমার কথাগুলোকে তমা মির্জার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কনটেন্ট তৈরী করে কিছু ইউটিউব চ্যানেল। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি। আর তমা মির্জা আমাকে আইনি নোটিশ পাঠানোয় আমার যে মানহানি হয়েছে তার জন্য তাকে ২০ কোটি টাকার নোটিশ পাঠিয়েছি।

তমার সঙ্গে মিষ্টির মীমাংসার পর শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ অবশেষে এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। গতকাল এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুই নায়িকাকে মিলিয়ে দেয় শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ।

শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমাদের দুটি বোনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল। এর ফলে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে যে কথাগুলো বলেছে তা যে ঠিক হয়নি সে কথা তারা শিকার করেছে। এরপর তারা আমাদের স্মরণাপন্ন হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং আমাদের সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিরোধ মেটানোর ব্যবস্থা করেছি। তারাও সব ভুলে গিয়ে মিটমাট করতে আজ এগিয়ে এসেছে। সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতি আমাদের অনুরোধ আপনারা এই বিষয়ে তাদেরকে আর কোন প্রশ্ন করবেন না।’

তমা মির্জা তমা মির্জা বলেন, ‘দিনশেষে তো আমরা শিল্পী। শিল্পীদের মধ্যে কোন ঝামেলা হলে তা নিয়ে কথা বলার, ভুল হলে ক্ষমা চাওয়ার কিংবা ক্ষমা করে দেওয়ার জায়গাটাই হলো শিল্পী সমিতি। আমার আর মিষ্টির সঙ্গে যা হয়েছে তা কোন শিল্পীর জন্যই কাম্য না। মিষ্টি ক্যারিয়ারের দিক থেকে আমার ছোট বোনের মতো, ও বলেছে আপু যা হয়েছে আমরা ভুলে যাই। আমার বড় ভাইত’ল্য মিশা ভাই, ডিপজল ভাইও বলেছেন যা হয়েছে ভুলে যাও। আমি মেনে নিয়েছি।’

মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ আমার অভিভাবক। ফলে তারা সিনিয়র হিসেবে আমাদের কোন কথা বললে সেটি আমরা জুনিয়র হিসেবে মেন নেব এটাই স্বাভাবিক। আর তমা আপু আমার খুবই কাছের। আসলে ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। যাই হোক, পরবর্তীতে আমরা কেউই চাই না এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক। আর ইউটিউবারদের বলব, আপনারা এমন কোন ক্যাপশন দেবেন না যাতে একজনকে সরাসরি আক্রমণ করা হয়। এই কারণেই আজ এতো বড় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আজকে আমার আর তমা আপুর দ্বন্দ্ব লেগেছে, কাল আরেকজনের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটবে।’

মিষ্টি জান্নাত শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব লিখিত সমঝোতা সম্পর্কে বলেন, আমাদের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু বিষয় ভিন্ন অভিমতের কারণে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। মনোমালিন্যের নিরসনকল্পে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির স্মরণাপন্ন হলে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের উদ্যোগে কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা হয়। পরে এ বিষয়ে যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকব।

;

শাকিব-মিমির ‘লাগে উরাধুরা’, নকল সুরেই মাতালেন প্রীতম!

‘লাগে উরাধুরা’ গানে প্রীতম হাসান, মিমি চক্রবর্তী, শাকিব খান ও রায়হান রাফী

মাত্র ২০ ঘণ্টায় ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ৯ নম্বর অবস্থান করে নিয়েছে সুপারস্টার শাকিব খানের আপকামিং সিনেমা ‘তুফান’-এর প্রথম গান ‘লাগে উরাধুরা’। শাকিব খান ছাড়াও নায়িকা মিমি চক্রবর্তী, এই গানের সুরকার, গায়ক ও কম্পোজার প্রীতম হাসান এবং সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী অভিনীত গানটি এরইমধ্যে প্রায় দুই মিলিয়ন ভিউ হয়েছে শুধুমাত্র প্রযোজনা সংস্থা চরকির ইউটিউব চ্যানেলে।

এছাড়া গানটি একইসঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে অন্য প্রযোজনা সংস্থা কলকাতার এসভিএফের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে। সেখানেও মিলিয়নের উপরে ভিউ হয়েছে।

মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান আর গানের কমেন্ট বক্সে প্রশংসার ছাড়াছড়ি। শাকিব খানের ফিটনেস, গুড লুকস, স্টারডম, এই বয়সেও এতো গ্রেসফুল নাচের ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দারুণ দারুণ সব কমেন্ট এসেছে। প্রশংসা এসেছে মিমি চক্রবর্তী, রায়হান রাফী এবং প্রীতম হাসানেরও।

তবে গানটি শুনলেই আপনার মনে হবে, কেন যেন গানটি পরিচিত লাগছে। না, গানের লিরিক্স একেবারেই নতুন। তবে গানটির সুরের সঙ্গে আপনার পরিচয় বহু আগে থেকে। কারণ এই সুরে কমপক্ষে হাফ ডজন জনপ্রিয়, সাড়া জাগানো, কালজয়ী এমনকি অশ্লিল ভাইরাল গানও রয়েছে। দুটি গানের কথা উল্লেখ করা যায়। একটি হলো মরার কোকিলে, যে গানটি বাংলাদেশেরই একাধিক প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর কণ্ঠে বহুল পরিচিত। আরেকটি হলো সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ‘বান্ধবী ললিতা’। অশ্লিল গানগুলোর উল্লেখ নাইবা করা হলো।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে পারফর্ম করেছেন প্রীতম হাসান, মিমি চক্রবর্তী, শাকিব খান ও রায়হান রাফী তবে নকল সুরের গানেও যে এভাবে দর্শক মাতবে সেটা হয়তো অনেকে ভাবতেই পারছেন না। তাইতো তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি নিয়ে নেতিবাচক রিভিউ, স্ট্যাটাস কিংবা কনটেন্ট তৈরী করছেন।

এদিকে গতকাল অভিনয় ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন শাকিব খান। এমন একটি বিশেষ ২৫টি কেক কেটে উৎযাপন করেছেন শাকিব খান। সঙ্গে একইদিনে এসেছে এই গানটি। ফলে অনেকে ‘লাগে উরাধুরা’ গানটিকে দেখছেন ঢালিউডের অন্যতম এই শীর্ষ নায়কের ক্যারিয়ারের রজতজয়ন্তী পূর্তির উৎসব হিসেবে।

‘লাগে উরাধুরা’ গানে মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান ‘লাগে উরাধুরা’ গানটির কোরাস অংশের সুর রাজ্জাক দেওয়ানের ‘ঘুম ভাঙ্গাইয়া গেল রে মরার কোকিলে’ অংশ থেকে নেওয়া। ওই অংশটুকুর লেখা শরীফুদ্দিনের। আর গানের বাকি অংশ লিখেছেন রাসেল মাহমুদ, সুর ও সংগীত প্রীতম হাসানের। এতে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা।

;

‘কাজ ছিনিয়ে নেওয়া’ নিয়ে আমিশার অভিযোগে এষার জবাব

আমিশা- কারিনা-এষা

স্বজনপ্রীতি হয় না এমন কোনো ক্ষেত্র হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে যখন প্রসঙ্গ আসে বলিউডের, তখন যেন স্বজনপ্রীতি বা নেপোটিজম বিষয়বস্তুটি যেন আলোচনার তুঙ্গে।

শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকদের পরিবার-পরিজন বরাবরই বাইরের শিল্পীদের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পায়। আগে এই নিয়ে সরাসরি কথা না বললেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন অনেক শিল্পীই নেপোটিজম নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করে।

আলিয়া ভাট, অর্জুন কাপুর, জাহ্নবি কাপুর, অনন্যা পান্ডে, সারা আলি খানসহ আরও অনেক তারকাকেই এই নিয়ে নানাসময় তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। এবার শুধু আধুনিক নয়, বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকের স্টার কিডদের দিকেও উঠলো অভিযোগের আঙুল। করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বানশালির মতো পরিচালকরাও রক্ষা পায়নি।  

‘কাহো না পেয়ার হ্যে’-র মতো সুপার হিট সিনেমা দিয়ে বলিউডে এন্ট্রি নেওয়া আমিশা পাটেল বলেন, তার সময়ে স্টার কিডদের জন্য সিনেমা হাত ছাড়া হতো তার। এষা দেওল, কারিনা কাপুরের মতো শিল্পীরা নাকি তার প্রস্তাবিত কাজ ছিনিয়ে নিতো। বলিউড জীবনের শুরু থেকেই কারিনার সঙ্গে দ্বন্দে জড়ান আমিশা। এমনকি তার বলিউড ডেবিউ সিনেমাতেও নাকি আগে কারিনাকে নেওয়া হয়েছিল। সে না করায় পরে সিনেমা যায় আমিশার কাছে। তবে তার সাম্প্রতিক এই মন্তব্য নিয়ে কোনো কথা বলেননি কারিনা।

অন্যদিকে আমিশার এই দাবিকে সরাসরি নাকোচ করলো এষা দেওল। ঊশা সরাসরি বলেন, সেই সময়ের সকল অভিনেত্রীদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। কেউই কারো কোনো কাজ ছিনিয়ে নেয়নি। বরং সবাই কেবল নিজের কাজের মধ্যেই ব্যস্ত থাকতো। হেমা-ধমেন্দ্র কন্যা মনে করেন না, কেউই কখনো কারো কাজ ছিনিয়ে নিয়েছে।

গত বছরের এক সাক্ষাৎকারে আমিশা বলেন কারিনা কাপুর, হৃত্বিক রোশন, ফারদিন খান, তুষার কাপুর, এষা দেওল, অভিষেক বচ্চনের মতো শিল্পীদের সময়ে তিনি বলিউডে পা রাখেন। যেদিকে তাকাতেন কেবল স্টার কিডের আধিপত্য। সেই কারণেই গাদ্দার, কাহো না পেয়ার হ্যে, ভুলভুলাইয়ার মতো সুপারহিট সিনেমায় কাজ করেও বলিউডে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেন নি তিনি। তবে গত বছরের ‘গাদ্দার-২‘ সিনেমার মাধ্যমে বহুদিন পর আবার সুপাহিটের তালিকায় নাম লেখালেন আমিশা।          

;

এনটিআর-এর ১০১ তম জন্মবার্ষিকীতে পরিবারের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

এনটিআর-এর জন্মদিনে জুনিয়র এনটিআর / ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা জুনিয়র এনটিআরের ঠাকুরদা (দাদা)-ও ছিলেন একজন গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব। প্রখ্যাত নন্দামুরি তারাকা রামা রাও ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা এবং ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২৮ মে বিখ্যাত এই অভিনেতার জন্মতিথি। চলতি বছর জন্মদিবস তার ১০১ তম বছর পূর্ণ হলো। তার পরিবার প্রয়াত এই অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে তার মত্যুস্তম্ভ পরিদর্শন করতে যায়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে অভিনেতা জুনিয়র এনটিআরকে দেখা যায়, পিতামহের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে। সেখানে দু’হাত জড়ো করে প্রণাম করেন তিনি।  সেখানে ভাই নন্দামুরি কল্যাণরামও এবং বাবা নন্দামুরি বালাকৃষ্ণের সাথে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে যাচ্ছে।

প্রয়াত অভিনেতার ছেলে বালাকৃষ্ণও একজন সনামধন্য অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ। এনটিআর ঘাটে তিনি ছেলেদের সঙ্গে গিয়ে বাবার জন্মদিন পালন করেন।

নন্দামুরি তারাকা রামা রাও মূলত এনটিআর নামেই পরিচিত। তিনি ছিলেন একাধারে প্রযোজক, পরিচালক ও সম্পাদক। তবে অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে তার সুখ্যাতি বেশি। এনটিআর ৭ বছর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি পরিচালক হিসেবে ৩ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৫৪ সালে থোডু ডোঙ্গালু, ১৯৬০ সালে সীতারাম কল্যাণম এবং ১৯৭০ সালে ভারকাটনম সিনেমা তৈরি করে সম্মান এবং পুরষ্কার পান এনটিআর। এই সিনেমাগুলো ভারতে শ্রেষ্ঠ সিনেমার সম্মান পায়। এছাড়া ১৯৫৪ সালে রাজুপেড়া এবং ১৯৬৩ সালে লব-কুশের মতো আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। সেখানে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারও অর্জন করেন এনটিআর।      

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *