সারাদেশ

নতুুন পানিতে দেশীয় মাছ ধরার ধুম

ডেস্ক রিপোর্ট: নতুুন পানিতে দেশীয় মাছ ধরার ধুম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জের সবগুলো উপজেলায় জলাশয় ও ধানের জমিতে জমেছে নতুন পানি। বিশেষ করে খাল-বিল এখন পানিতে টইটম্বুর৷ ফলে ধানের জমি ও খাল-বিলের মধ্যে  মিলছে দেশীয় মাছ।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরের দিকে সরেজমিনে পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের খামা এলাকায় এসব চিত্র দেখা যায়।  

শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধদের সবাই মাছ ধরতে ব্যস্ত। কেউ কেউ মাছ ধরছেন শখের বশে। ঠেলা জালি, বাঁশের বেত দিয়ে তৈরি বিশেষ চাই, ম্যাজিক জাল, বরশি নিয়ে মাছ ধরতে মনের আনন্দে নেমেছে মানুষ৷ 

কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া, আচমিতা, বনগ্রাম, চান্দপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলার চরসিন্দুর, আজলদী, হোসেন্দীসহ বিভিন্ন এলাকায় মাছ ধরার ধুম লেগেছে। জেলার নিকলী উপজেলার হাওরে নতুন পানি আসায় মাছ ধরতে নেমেছে জেলেরাও৷ জেলেদের জালেও ধরা পড়ছে দেশীয় মাছ।

মাছ শিকারী জমশেদ উদ্দিন বলেন, নতুন পানিতে দেশীয় মাছ ধরতে নেমেছি৷ সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ২-৩ কেজি দেশীয় মাছ ধরতে পারছি৷ মাছ ধরাটা মনের আনন্দ।’

কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা এলাকার মাছ শিকারী জসিম বলেন, আমরা অনেকটা শখের বশে মাছ ধরছি৷ উড়ো জাল ফেলে কিছু ছোট মাছ পেয়েছি৷ পুঁটি, বালিয়া, বাইম, টেংরা, কই ইত্যাদি।

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধে ভাঙন

ছবি: বার্তা ২৪

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে রিচি ইউনিয়নের জালালাবাদ গ্রামের দিকে নদীর বাঁধে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। ফলে প্রবল বেগে নদীর পানি জালালাবাদসহ আশপাশের এলাকায় প্রবেশ করছে।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, দুপুর ১টার দিকে খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। খুব দ্রুতই পানি নিচে নেমে যাবে।

তিনি বলেন, আসলে শহরের গরুর বাজারের পরের অংশটিকে আমরা বলি ফসলরক্ষা বাঁধ। যদি বর্ষা মৌসুমে এসব বাঁধ না ভাঙে, তাহলে শহররক্ষা বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে পানি শহরে প্রবেশ করতে পারে। তাই শহরকে রক্ষার স্বার্থেই আসলে এসব অংশের ভাঙন দিয়ে পানি ছাড়তে হয়। আর তাছাড়া এখন হাওরে পানি প্রয়োজনও। নদীর পানি ভাটিতে হাওরে প্রবেশ করবে এটিই স্বাভাবিক। এসব ভাঙন আবার ফসল রক্ষার জন্য বর্ষার পর সংস্কার করা হবে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যে জানা গেছে, দু’দিনের টানা বর্ষণ এবং উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার সকাল থেকে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যায়। সকাল ১০টায় নদীর চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার এবং শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কুশিয়ারা নদীর পানি বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার এবং কালনী নদীর পানি আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুর ১টার পর থেকে খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে।

;

ঝোড়ো হাওয়ার আভাস, চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

ঝোড়ো হাওয়ার আভাস, চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে চার সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে সরকারি এই দফতরটি।

বুধবার (১৯জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এক সংবাদ বিঞ্জপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর পুনঃ ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচলেরও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

;

ভবনের কার্নিশ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার ফায়ার সার্ভিস

ভবনের কার্নিশ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবনের কার্নিশ আটকে পড়া এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (১৯ জুন) সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ এক প্রত্যক্ষদর্শীর ফোন কলে তথ্য পেয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ -এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার।

তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া কিশোরীর বয়স চৌদ্দ বছর। তার বাবা মারা গেছেন। মা অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের একটি ভবনে দাদীর সঙ্গে থাকত ওই কিশোরী। বেশ কিছুদিন ধরে মায়ের কাছে যেতে চাইছিল সে। কিন্তু দাদি যেতে দেয়নি। এনিয়ে দাদীর ওপর অভিমান করে সকালে আটতলা ভবনের সাততলা থেকে কার্নিশ বেয়ে নেমে মায়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে কার্নিশ আটকে পড়ে এই কিশোরী।

বিষয়টি দেখে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বুধবার সকালে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে কার্নিশে আটকে পড়ার তথ্য জানায়।

কলটি রিসিভ করেছিলেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর এএসআই লোকমান হোসেন। এএসআই লোকমান তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং ভাটারা থানায় দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।

সংবাদ পেয়ে বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দল ও ভাটারা থানা পুলিশের উদ্ধারকারী দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সংশ্লিষ্ট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, থানা পুলিশ ও কলারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলেন ৯৯৯ ডিসপাচার ফায়ার ফাইটার মেহেদী হাসান।

পরে আটতলা ভবনের সাততলার ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জানালার গ্রিল কেটে কার্নিশ থেকে কিশোরীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রাজু ৯৯৯ কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।

;

ফেনীতে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম, ভরণপোষন নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা-বাবা

ফেনীতে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম, ভরণপোষন নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা-বাবা

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন হোসনে আরা নামে এক গৃহবধূ । মঙ্গলবার (১৮ জুন) ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি। তবে দরিদ্র পরিবার হওয়াতে সন্তানদের ভরণপোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মা-বাবা। বর্তমানে মা ও নবজাতকেরা সুস্থ আছেন।

গৃহবধূ হোসনে আরা জেলার সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের বাসিন্সা। তার স্বামী জিয়া উদ্দিন। তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রি।

গৃহবধূ হোসনে আরা বলেন, আমার স্বামী দিনমজুরের কাজ করে কোনোমতে পরিবারের ভরণপোষণ করেন। এখন একসঙ্গে তিন শিশুর খরচ মেটানো তার জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। সন্তানদের লালন পালনে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা চান তিনি।

নবজাতকের বাবা জিয়া উদ্দিন বলেন, এলাকায় টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করি। যেদিন কাজ থাকে সেদিন টাকা পাই। যখন কাজ থাকে না তখন বসে থাকি। আমার পরিবারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এরমধ্যে একসঙ্গে আবার তিন সন্তানের আগমনে খুশি হলেও তাদের লালনপালন কীভাবে করবো সেই চিন্তায় আছি। সন্তানদের জন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শান্তা মজুমদার বলেন, মঙ্গলবার ১০টার দিকে এই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা সোনাগাজীর গ্লোবাল হেলথ মেডিকেল সেন্টার নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ২১ মে একটি আলট্রা করায়। যেখানে রিপোর্টে দুইজন যমজ শিশুর কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু আজ প্রসূতি হাসপাতালে আসলে সিনিয়র স্টাফ নার্স কল্পনা মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতকেরা সুস্থ আছেন।

ভুল রিপোর্টের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গ্লোবাল হেলথ মেডিকেল সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সাড়া মেলেনি।

এ ব্যাপারে সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউজ্জামান বাবু বলেন, একসঙ্গে তিন সন্তান প্রসবের বিষয়টি শুনেছি। নবজাতকদের লালন-পালনে কোনো ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, নবজাতকের সুরক্ষায় উপজেলা পরিষদ থেকে সরকারি বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। ওই দম্পতি আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের অবশ্যই সহায়তা করবো। এছাড়া ভুল রিপোর্টের বিষয়ে অভিযুক্ত ওই প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *