সারাদেশ

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঢাবি শিক্ষক ইউসুফকে ছাড়লেন ডিবি

ডেস্ক রিপোর্ট: নড়াইল পৌর এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার ছাত্রদল নেতাসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুস সাকিব, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জিতু মোল্যা, ছাত্রদল কর্মী হামিম, স্বাধীন, ইভান মোল্যা ও ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী জমাদ্দার।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালীতে অবস্থিত রেলস্টেশন এলাকায় পৌর ছাত্রদলকর্মী হামিমকে আটকে রাখেন ছাত্রলীগকর্মীরা। এতে নেতৃত্বে দেন নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলমের অনুসারী ছাত্রলীগকর্মী সাইমুম মাহমুদ রাকিব ওরফে রাকিব জমাদ্দার ও তার সহযোগী তাহমিন সাফাত, তৌফিক ও মুন। এরা সবাই পৌর এলাকার ভওয়াখালীর বাসিন্দা। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী সাফাত, তৌফিক ও মুন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলমের নেতৃত্বে গত ৪ আগস্ট নড়াইলে হওয়া কোটা আন্দোলনের মিছিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

অন্যদিকে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী হামিমকে উদ্ধার করতে সেখানে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ছাত্রলীগ কর্মীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত হন অন্তত পাঁচ ছাত্রদল নেতা। অন্যদিকে ছাত্রদলের পাল্টা প্রতিরোধে আহত হন এক ছাত্রলীগ কর্মী।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেও রামদা, ছুরি, হাতুড়িসহ হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় চিকিৎসাধীন ছাত্রদল নেতা ও তাদের অভিভাবকদের মারধর করে হামলাকারীরা। তখন নড়াইল জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজ জমাদ্দার ছাত্রলীগ কর্মীদের পক্ষে নিয়ে আহত ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জিতু মোল্যার বাবা মুসা মোল্যাকে মারধর করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শ্রমিকদল নেতা মফিজ জমাদ্দারকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হামলায় আহত হওয়া ছাত্রদল নেতা জিতু মোল্যার বাবা মুসা বলেন, আমার আহত ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে আমাদেরও মারধর করেছে।

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস বলেন, যারা হামলা করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে পর্যন্ত হামলা চালায় তারা। এটা চরম জঘন্য কাজ। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের পরিবার আইনি ব্যবস্থা নিলে জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি। তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *