দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৩ বাংলাদেশি
ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়সংলগ্ন কদম মোবারক মাদ্রাসার সামনে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও সেটিকে ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার অবসান হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরিদর্শনের সময় পুলিশ কমিশনার বিক্ষোভরত জনগণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি এ সময় ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ ও পেশানির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বাসযোগ্য, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ চট্টগ্রাম শহর গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির দিক থেকে চট্টগ্রামের আলাদা ঐতিহ্য আছে। এই ঐতিহ্য ধরে রেখে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।
এই সময় সেখানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিএমপি কমিশনারের আশ্বাসে বিক্ষোভরত হিন্দু গণজাগরণ পরিষদ শান্তিপূর্ণভাবে দ্রুত তাদের কর্মসূচি শেষ করে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন। এর আগে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের নির্দেশে শনিবার সকালে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খানের কার্যালয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, পূজা উদ্যাপন পরিষদ, হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গণেশ পূজার প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিমার ওপর ছাদ থেকে পানি নিক্ষেপের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হয়৷
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।