আন্তর্জাতিক

বেলারুশের ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট: বেলারুশের ৭ ব্যক্তি ও ১১ প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে নতুন করে ওই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, বেলারুশ সরকার দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নাগরিক সমাজের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, লুকাশেঙ্কোর পরিবারের সদস্যরা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার অন্যায্য যুদ্ধে বেলারুশের যোগসাজশ আছে।

আর এসব কর্মকাণ্ডের জন্য লুকাশেঙ্কো সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে মার্কিন অর্থ বিভাগের অধীন পরিচালিত বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ট্রেজারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান ই. নেলসন মঙ্গলবার বলেন, ‘বেলারুশ ও বিশ্বে অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য লুকাশেঙ্কো, তার পরিবার এবং তার সরকারকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে আমাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

নেলসন আরও বলেন, লুকাশেঙ্কো সরকারের জন্য রাজস্ব জোগানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাবে। এ ছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এবং লুকাশেঙ্কো সরকারের প্রতি সমর্থনদাতাদেরও নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হবে।

এর আগে গত ৯ আগস্ট বেলারুশের সরকারকে অর্থায়ন করা আট ব্যক্তি ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন অর্থ বিভাগ। ওই সময় মার্কিন অর্থ বিভাগের বিবৃতির বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলারুশের ক্ষমতাসীনেরা নাগরিক সমাজের ওপর ক্রমাগত দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

মিনস্ক রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনে অনৈতিক যুদ্ধে জড়িয়েছে। যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারা এসব কাজে আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর সরকারকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রেখেছে।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা লুকাশেঙ্কো বারবার অভিযোগ করে এসেছেন, পশ্চিমারা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিশেষত, সর্বশেষ নির্বাচনের পর লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এতে পশ্চিমাদের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন লুকাশেঙ্কো। ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ লুকাশেঙ্কোর বিরোধীদের। আর লুকাশেঙ্কোর দাবি, নির্বাচন নিয়ম মেনে, সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *