সারাদেশ

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ঢাকায় মার্কিন দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

ডেস্ক রিপোর্ট: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ঢাকায় মার্কিন দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আমেরিকা থেকে দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার আবেদন করলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়।

এদিকে, সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতেও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) প্রায় আট ঘণ্টা রাখার পর আবার কেবিনে নেওয়া হয়েছে।

গত ৯ আগস্ট থেকে আড়াই মাস ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন। তার স্বাস্থ্যের তেমন কোনো উন্নতি নেই। বরং দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। নিতে হচ্ছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)।

ছেলের হত্যাকারীর ফাঁসি চান বাবা

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

কলেজপড়ুয়া ছেলে ইয়াসিন আহমেদ শরীফকে (১৭) হারিয়ে মা শরীফা খাতুনের কান্না কিছুুতেই থামছে না। ছেলেহারা মায়ের আর্তনাদ দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখের জল যেন বাঁধ মানছে না। আর বাবা সবুজ মিয়া ছেলে হারানোর শোকে আহাজারি করতে করতে ছেলের হত্যাকারীর ফাঁসি চাইছেন।

ইয়াসিন আহমেদ শরীফের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সিধলা ইউনিয়নের মনাটি গ্রামে। তিনি নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার হাফেজ জিয়াউর রহমান কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বুধবার সকালে পরিবারের সাথে খাবার খাওয়ার পর শরীফ বাড়ি থেকে বের হলে এরশাদ মিয়া নামে এক যুবক শরীফকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে।

পরিবারের লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  নেয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরশাদ মনাটি গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে। তাদের সাথে শরীফের পরিবারের বিরোধ চলছিল।

স্থানীয়রা জানান এরশাদের সাথে শরীফদের পরিবারের বিরোধ ছিল। বিরোধ নিয়ে শরীফদের বাড়িতে হামলাও হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপরই গৌরীপুর থানার  পুলিশ মনাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শরীফকে গ্রেফতার করে।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে বুধবার সন্ধ্যায় শরীফের মরদেহ মনাটি নিজ গ্রামে আনা হয়। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে আশেপাশের পরিবেশ। নাড়ি ছেড়া ধন শরীফের মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার মা-বাবা।

আশপাশের লোকজনকে দেখে বিলাপ করে শরীফের মা শরীফা খাতুন চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন ‘আমার ছেলেকে এনে দাও, আমার ছেলেকে এনে দাও।’ আর বাবা সবুজ মিয়া আহাজারি করতে করতে ছেলের হত্যাকারীর ফাঁসি চাইছিলেন।

শরীফের মা শরীফা খাতুন বলেন, ‘আমি পরের বাড়িতে কাজ করে ছেলেকে পড়াশোনা খরচ যোগাচ্ছিলাম। স্বপ্ন ছিল ছেলে পড়াশোনা শেষ করে ছেলে ভালো চাকরি করবে। এর আগেই ওরা আমার ছেলেকে শেষ করে দিল।’ 

শরীফের বাবা সবুজ মিয়া বলেন, আমি রিকশাচালক মানুষ। অনেক কষ্ট করে ছেলেকে মানুষ করছিলাম। কিন্ত আজ সকালে  শরীফ খাবার খেয়ে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে চুল কাটার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথে এরশাদ ছুরিকাঘাত করে আমার ছেলেকে হত্যা করে। আমি ছেলের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। কিছুদিন আগেও এরশাদ আমার বাড়িতে হামলা করে। 

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এরশাদ মিয়াকে গ্রেফতার করা করেছে।  ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি  মামলা দায়েরর প্রস্ততি চলছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

;

নিখোঁজ ভোক্তার নারী কর্মচারী, ৮ দিনেও মেলেনি হদিস

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

গত আট দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের লক্ষীপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মচারী তামান্না বেবী (২৬)। নিখোঁজের দিন থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে। 

পরিবার বলছে, গত বুধবার বাসা থেকে অফিসে যায় তামান্না, অফিস ডিউটি শেষ করে বের হলেও আট দিনে বাসায় ফেরেননি তিনি। এ ঘটনায় লক্ষীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন তামান্নার বাবা হাবিবুর রহমান। ডায়েরী নম্বর ১১১৪। যদিও এখন পর্যন্ত তার সন্ধান পায়নি পুলিশও। 

এদিকে চরম উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার। পরিবার জানায়, সম্ভাব্য সবস্থানে এবং আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও সেদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। 

নিখোঁজ তামান্নার ভাই মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা তার অফিসের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছি। কিন্তু তাতেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। আমার বোনের কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলার কথা কখনো শুনিনি। পুলিশও চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো খবরই পাইনি। বুঝে উঠতে পারছি না তার সঙ্গে কী ঘটেছে। অফিসে সে একাই কাজ করতো। অন্য এমন কেউ নেই, যারা নিখোঁজের দিন তার বিষয়ে তথ্য দিতে পারবে। 

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের লক্ষীপুর জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক নুর হোসেন বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। সিসি ক্যামেরা দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, তার ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো সমস্যার কথাও কখনো বলেনি। অত্যন্ত বিনয়ী এবং ভদ্র। কাজের বাইরে কোনো কথাও বলতে চাইতো না। ওর সাথে কী ঘটেছে আমরাও বুঝে উঠতে পারছি না। পুলিশও চেষ্টা করতেছে বলেছে। আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন। এছাড়া আমাদের বিভাগীয় কার্যালয়সহ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যারকেও জানিয়েছি। 

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমরা জেনেছি। তার পরিবার থানায় জিডিও করেছে। পুলিশ তার সন্ধানে কাজ করছে। আমি কথা বলেছি। আমাদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তার সঙ্গে আবার কথা বলবো। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলবো। 

লক্ষীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, চেষ্টার কমতি নেই। কিন্তু তার নিখোঁজের বিষয়ে কিছুই জানা যাচ্ছে না। আমরাও বুঝে উঠে পারছি না কোথায় গেল? তার অফিস জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভেতরে, সেখানকার সিসি ক্যমারোয় তার প্রবেশ এবং বাহিরের দৃশ্য দেখা গেছে। আর কিছুই জানা যাচ্ছে না। তবুও আমাদের চেষ্টা চলছে।

;

এনআইডি সেবা বন্ধ থাকবে ৬৪ ঘণ্টা

ছবি: সংগৃহীত

সার্ভার কক্ষ স্থানান্তরের কাজে ২৬ অক্টোবর বিকেল ৫টা থেকে পরবর্তী ৬৪ ঘণ্টা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা বন্ধ থাকবে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের সিস্টেম এনালিস্ট মামুনুর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সার্ভার কক্ষ স্থানান্তরের কাজ চলাকালীন আগামী ২৬ অক্টোবর বিকেল ৫টা থেকে ২৮ অক্টোবর রাত পর্যন্ত সার্ভার, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, স্টোরেজসহ সকল ইকুইপমেন্ট মূল কক্ষে স্থানান্তর করার জন্য সার্ভার (নেটওয়ার্ক) সংক্রান্ত সব সার্ভিস বন্ধ থাকবে।

২৯ অক্টোবর সকাল ৯টায় যথারীতি সার্ভিসসমূহ চালু থাকবে।

এনআইডি সার্ভার থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, মোবাইল অপারেটর, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ১৭৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নাগরিকদের পরিচয় যাচাইয়ের সেবা গ্রহণ করে থাকে।

;

ইউপি চেয়ারম্যান, আ.লীগ সভাপতিসহ ৬ জনের কারাদণ্ড

ছবি: বার্তা২৪.কম

নোয়াখালীতে সিআর মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ ছয়জনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালীর বিশেষ দায়রা জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এ এন এম মোর্শেদ এই দণ্ডাদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন দুলু, একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আশ্রাফুল আলম চৌধুরী কামাল, প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ভূঁইয়া, মাহবুবুল আলম জাবেদ (সাবেক মেম্বার), এইচ এম শাহজাহান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মিলন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো.শাহ আলম।

তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে একটি সিআর মামলায় দণ্ডবিধি ৩৬৫ ধারায় আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক এ আদেশ দেন। ২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অন্য একটি ধারায় আসামিদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরে আসামিদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *