সারাদেশ

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়েই বহাল জুনাইদ আহমেদ

ডেস্ক রিপোর্ট: জুনাইদ আহমেদ পলক

নতুন মন্ত্রিসভায়ও মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হয় নি জুনাইদ আহমেদ পলকের। বহাল আছেন আগের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব হিসেবেই। তিনি বর্তমানে নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য। 

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচিত সরকারের সংসদ সদস্য এবং ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সেরকোল তেলিগ্রাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন এবং মায়ের নাম জামিলা আহমেদ। তিনি ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৭ সালে রাজশাহী ওল্ড ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে রাজশাহী কলেজ নামে পরিচিত) থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।

প্রথমবার মন্ত্রিসভায় সিমিন হোসেন, পেলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী   শেখ হাসিনার অনন্য নজির: পঞ্চম সরকার

সিমিন হোসেন রিমি

নতুন মন্ত্রিসভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সিমিন হোসেন রিমি। তিনি গাজীপুর ৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।

সিমিন হোসেন রিমি ১৯৬১ সালের ১৯ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা জেলার গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সন্তান। তার স্বামীর নাম মুশতাক হোসেন। তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের বড় বোন।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচনে সিমিন হোসেন রিমি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আবারও এই আসন থেকে ২য় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের নভেম্বরে রিমিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

  শেখ হাসিনার অনন্য নজির: পঞ্চম সরকার ;

শুক্রবার নবনির্বাচিত মন্ত্রীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন

নবনির্বাচিত মন্ত্রীরা শপথ নিচ্ছেন

প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার নবনির্বাচিত মন্ত্রীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বর ও সকাল ১১টা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন তারা। 

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রী প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷

এতে বলা হয়, আগামীকাল (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২-এ এবং পরবর্তী সময়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নর্বনিবাচিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন।

উল্লেখ্য, আজ বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার ৩৭ জন সদস্য। সন্ধ্যা ৭টায় তাদের শপথ-বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

  শেখ হাসিনার অনন্য নজির: পঞ্চম সরকার ;

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে জিল্লুল হাকিম   শেখ হাসিনার অনন্য নজির: পঞ্চম সরকার

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনের সংসদ সদস্য। 

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবুল হোসেন নিজেও একজন সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী ছিলেন। জিল্লুল হাকিমের পৈতৃক বাড়ি পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) পাস করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জিল্লুল হাকিম মুক্তিযুদ্ধকালীন গোয়ালন্দ মহকুমা কমান্ডার ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্যের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম ও দুই ছেলে মিতুল হাকিম এবং রাতুল হাকিমও সফল ব্যবসায়ী। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম ছয়বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরের বার অর্থাৎ ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুর কাছে হেরে যান তিনি। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নাসিরুল হক সাবুকে পরাজিত করে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জিল্লুল হাকিম। ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম সংসদ সদস্যের পাশাপাশি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যের পাশাপাশি তিনি জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

  শেখ হাসিনার অনন্য নজির: পঞ্চম সরকার ;

কলেজ শিক্ষিকা থেকে প্রথমবারেই মন্ত্রী রুমানা আলী, দায়িত্ব প্রাথমিকে   শেখ হাসিনার অনন্য নজির: পঞ্চম সরকার

বেগম রুমানা আলী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বেগম রুমানা আলী। তিনি প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন। গাজীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অধ্যাপক রুমানা আলী। এর আগে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।

রুমানা আলী পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক। রাজধানী ঢাকার নিউমডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষিকা তিনি।

পেশায় শিক্ষক হলেও তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। সাবেক মন্ত্রী ও গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রহমত আলীর কন্যা রুমানা। অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রয়াত সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলী গাজীপুর-৩ থেকে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার কন্যা রুমানা আলী সংসদ সদস্য হন।

  শেখ হাসিনার অনন্য নজির: পঞ্চম সরকার ;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *