আন্তর্জাতিক

ঢাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৬তম জাতীয় কবিতা উৎসব। ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’ স্লোগানকে ধারণ করে আয়োজিত হবে জাতীয় কবিতা পরিষদের উৎসব।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দ্বিতীয় তলায় এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানিয়েছে জাতীয় কবিতা পরিষদ।

দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের কবিরা এবারের উৎসবে অংশ নেবেন। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত হতে যুক্ত হবেন অন্যান্য দেশের বিখ্যাত কবিরা। উৎসবে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার’ প্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণা করা হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ যখন পৃথিবীর দেশে দেশে অশুভ শক্তির দাপটে নিরপরাধ মানুষ বিপন্ন; নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের লাশের স্তূপের উপর ক্ষমতার অহমিকা দেখাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি; তখন আমরা বাংলাদেশের কবিরা এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশের কবি ও কবিতাপ্রেমীরা একত্র হয়ে এই উৎসবে যুদ্ধ, গণহত্যাসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করব।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এবারও বিভিন্ন দেশ ও ভাষাভাষীর কবিদের উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের বিভিন্ন ভাষার বেশ কয়েকজন বরেণ্য কবি তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। এই উৎসবে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণা করা হবে।

তারিক সুজাত জানান, ভারত ছাড়াও ফিলিপাইন ও নেপালের কয়েকজন বরেণ্য কবি উৎসবে অংশ নেবেন। অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে মিসর, ইরাক, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, সুইডেন, জাপান ও চীনের বেশ কয়েকজন কবিও এবারের কবিতা উৎসবে যুক্ত হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, সামরিক সরকারের পতনের সবচেয়ে বেশি অবদান জাতীয় কবিতা পরিষদের। সমস্ত আন্দোলন তখন স্মৃত হয়ে গিয়েছিলো। সকল রাজনৈতিক প্রগতিশীল দলের নেতৃবৃন্দ এই কবিতা পরিষদে এসেছেন এবং আন্দোলনের অনুপ্রেরণা নিয়ে নতুন করে আবার আন্দোলন শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে এরশাদের পতন হয়েছে, সামরিক স্বৈরচার সরকারের পতন হয়েছে। গণতন্ত্রের যাত্রা তখন থেকে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতা কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, আসাদ মান্নান, আসলাম সানী প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *