সারাদেশ

রাজশাহীতে মাসব্যাপী পুষ্প মেলা শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রের কাজ শুধু অবকাঠামো নির্মাণ নয় উল্লেখ করে জাতীয় রাজস্ব বোডের্র কর নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে কল্যাণকর ভূমিকায় আবতীর্ণ হতে হয়। সে পথ পরিক্রমা চলমান আছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়ে পুরো দেশ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে রাজশাহী শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, কর ধার্যের বিষয়টি বেশ প্রাচীন। সভ্যতার আদি থেকে এর সম্পর্ক। প্রাচীনকালে কর ধার্যের কারণটা ছিল রাজ পরিবার, রাজ কর্মচারী এবং ভৌগোলিক সীমানা সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের বেতন ভাতা যোগান দেওয়া। কর ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন সাধিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে। সেখানে কল্যাণকর রাষ্ট্রের ধারণাটা ব্যাপকভাবে সামনে চলে আসে।

কায়কোবাদ বলেন, আমাদের দেশটা হয়তো এখনো সেই পর্যায়ে যেতে পারেনি। প্রতিটা নাগরিকের আর্থিক ব্যবস্থা সেভাবে সুসংগঠিত করতে পারেনি। তারপরও রাষ্ট্র অনেকগুলো কল্যাণকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আছে শিক্ষা সম্প্রসারণ, দারিদ্র জনগষ্ঠির মধ্যে- বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, খাদ্য বন্টন ব্যবস্থা, স্বল্পমূল্যে খাদ্য সরবরাহ। বেশ কিছু দিন আগেও আমাদের দেশে অনেক মানুষ অনাহারে থেকেছে সারাদিন কোনো খাবার জোটেনি। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা সুসংগঠিত করার মাধ্যমে আমরা সেই জায়গা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

এ সময় রাজশাহী অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে যেগুলো অতি জরুরি, তা দ্রুত এগিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

রাজশাহীর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো: জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী কর আপীল অঞ্চলের কর কমিশনার মনোয়ার আহমেদ, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো: আবুল ওয়াহেদ, রাজশাহী কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এর উপ কমিশনার মোঃ নূর উদ্দিন মিলনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তখন থেকে বাংলাদেশসহ ডব্লিউসিও সদস্যভুক্ত ১৮৫টি দেশে একযোগে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মিলে নবীন-পুরানো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন’।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *