খেলার খবর

কিউইদের অপেক্ষায় রেখে সেমিফাইনালে প্রোটিয়ারা

ডেস্ক রিপোর্ট:  

চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে রীতিমতো প্রতিপক্ষকে শাসন করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে প্রায় প্রতিটি ইনিংসেই সাড়ে তিন’শ পার করেছে দলটি। সেখানে পরে ব্যাট করা দুই ম্যাচের একটি হার ও অন্যটিতে প্রায় হেরেই বসেছিল প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার এই যখন অবস্থা। এমন সময় টসে জেতার প্রার্থনা করবে যেকোনো অধিনায়ক। করতে চাইবে আগে ব্যাট। সেখানে টসে জিতেও ঠিক কি বুঝে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। সেটা বোধগম্য নয়।

অবশ্য ম্যাচ শেষে ল্যাথাম হয়তো ঠিকই বুঝতে পারছেন। তবে ততক্ষণে তাদের নামের পাশে যুক্ত হয়ে গেছে বড় হার। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৫৮ রানের জবাবে মাত্র ১৬৭ রানে গুটিয়ে গেছে কিউইরা। ম্যাচ হেরেছে ১৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে। আর তাতেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা শঙ্কায় পড়ে গেছে দলটির।

টুর্নামেন্টে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে আগে ব্যাট করে রান পাহাড়ে চড়ে বসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক ও ডুসেনের সেঞ্চুরিতে সাড়ে তিন’শ পেরোনো টার্গেট ছুড়েছে কিউইদের। সেই রান পাহাড় ডিঙাতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নিউজিল্যান্ড। ৭০ রানের আগেই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে কিউইরা। ম্যাচের বাকিটা সময় সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি।

রান পাহাড় ডিঙাতে গিয়ে এদিন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। বড় লক্ষ্যে শুরুতেই খেই হারায় নিউজিল্যান্ড। ২ রানেই সাজঘরে ফিরেন ডেভন কনওয়ে। আরেক ওপেনার উইল ইয়াং আশা জাগালেও সঙ্গ পাননি আসরে তিন নম্বরে দারুণ খেলা রাচিন রবীন্দ্র। এই অলরাউন্ডার ফিরেন ৯ রানে।

এরপর চাপ সামাল দিতে পারেননি ইয়াংও। কুর্টজের বলে ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৩ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ইয়াং। থিতু হতে পারেননি মিচেল, ল্যাথাম ও স্যান্টনাররা। গ্লেন ফিলিপসের ৬০ রান কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। কিউইদের ইনিংস থেমেছে ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭ রানে।

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি কক তুলে নেন চলতি আসরের চতুর্থ সেঞ্চুরি। এরপর রাসি ফন ডার ডুসেনের সেঞ্চুরি ও শেষ দিকে ডেভিড মিলারের আগ্রাসী হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নিউজিল্যান্ডকে ৩৫৮ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *