সারাদেশ

ফখরুল-খসরুর জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

ডেস্ক রিপোর্ট: ফখরুল-খসরুর জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলার সবকটিতেই জামিন হওয়ায় কারামুক্তিতে তাদের আর কোনো বাধা নেই।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আর ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতে যা বললেন ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

গৃহকর্মীর অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে চৈতন্য চন্দ্র হালদার, আশরাফ উল আলম আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

দু’পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কাছ থেকে সে দিনের ঘটনার বিষয়ে শুনতে চান। তখন আশফাকুল হক বলেন, এ ঘটনা ঘটার এক দিন আগে আমার মেয়ে দেশে আসে। সে বাহিরে থাকে। তাকে দেখতে আত্মীয়-স্বজন আসে। আগে একটা মেয়ে ওই জায়গা থেকে পড়ে যে আহত হয় সেই বিষয়টটা আলাপে উঠে আসে। রাতে গল্প করে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সস্ত্রীক ৪ দিনের রিমান্ডে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক আটক গৃহকর্মীর অবহেলাজনিত মৃত্যু: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের ফাঁসির দাবি স্থানীয়দের গৃহকর্মী প্রীতির মৃত্যু নিয়ে রহস্য তিনি বলেন, সকাল ৮টার দিকে চিৎকার শুনি। আমাদের বাসা জেনেভা ক্যাম্পের পাশে। ছেলেরা বাসার পাশে মাঠে খেলাধুলা করে। আমার স্ত্রী বলে, হয়তো তারা চিৎকার করছে। পরে দেখি অনেক লোক। ওই জায়গার গ্লাস খোলা। মেয়েটা নেই। এরই মাঝে শত শত লোক জমা হয়ে যাই। আমি রেডি হয়ে নিচে নামতে যাই। তখন গার্ডের সঙ্গে পাশের বিল্ডিংয়ের এক প্রতিবেশী আসে। বলে, আপনার বাসা থেকে একটা মেয়ে পড়ে গেছে। অনেক লোক জমে যাওয়ায় আর নিচে যেতে পারিনি।

আশফাকুল হক বলেন, জায়গা ফ্লোর থেকে ৫/৬ ফুট উঁচুতে। রাতের ওই আলোচনা শুনে অতি আগ্রহী হয়ে হয়তো সেখানে গেছে। নয়তো ক্লিন করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

তানিয়া খন্দকার বলেন, মেয়েটা অনেক চঞ্চল ছিলো। ওর বড় বোন আমার বাসায় কাজ করতো। আমি ও সে ওকে বার বার নিষেধ করেছি সেখানে যাস না। আমি বলেছি, ওখানে কুফা আছে যাবি না। ওর বোন বলেছে, শয়তান আছে যাবি না। ঘটনার দিন সকালে ও পানি খেয়েছে, ফ্রিজ থেকে পিঠা বের করেও খেয়েছে। ওই বিষয় নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিলো। হয়তো এই কারণে সেখানে গেছে। আর পড়ে গেছে।

তখন আদালত সিসি ক্যামেরার বিষয়ে জানতে চান। আশফাকুল হক বলেন, ক্যামেরা ছিলো। তবে খুব সস্তা। আমার স্ত্রী এটা অনলাইন থেকে কিনেছে। কোনো মেমোরি ছিলো না।

পরে আদালত বলেন, আপনাদের উত্তরে আদালত সন্তুষ্ট না। চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো।

;

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সস্ত্রীক ৪ দিনের রিমান্ডে

ছবি: সংগৃহীত

গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে ৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান এই আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

রিমান্ড শুনানিতে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে বিচারক বলেন, বাসাটা তো মৃত্যকূপ বানিয়ে রেখেছেন, জাস্ট মৃত্যুকূপ। আপনাদের ছেলে-মেয়ের সাথেও এমনটা ঘটতে পারতো। রিপিটেডলি ঘটনা, এর দায় এড়াতে পারেন না।

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের জামিন নামঞ্জুর, জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক আটক গৃহকর্মীর অবহেলাজনিত মৃত্যু: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের ফাঁসির দাবি স্থানীয়দের গৃহকর্মী প্রীতির মৃত্যু নিয়ে রহস্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোড এলাকায় বহুতল ভবনের অষ্টম তলা থেকে ফেলে প্রীতিকে হত্যার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক (৬৫), তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার (৪৭) নামে নিহত প্রীতির বাবা লুকেশ ওরাং বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ আগস্টও একই ধরনের ঘটনা ঘটে আশফাকুল হকের বাসার। সেবার ৯ বছরের এক শিশু গৃহকর্মী লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া হক ও শিল্পী নামের আরেক নারীকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা। সেই মামলা এখনও চলছে।

;

জামালপুরে কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা: সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের তুলশীপুরে কলেজ শিক্ষার্থী লিটন হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও সাতজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এহসানুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজা প্রাপ্তরা হলেন, রামদেব বাড়ি গ্রামের মজিবর রহমান (পলাতক), মিজান, সোহেল, সুমন, লাভলু, হেলাল উদ্দিন ও মো: মিজান।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র সাংবাদিকদের জানান, জামালপুর সদর উপজেলার রামদেববাড়ী গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী লিটন ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে চাচার বাড়িতে যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর ১৪ জানুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে গোপীনাথপুরে লিটনের মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় লিটনের বাবা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র আরো জানান, তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায়, স্থানীয় একটি সমিতির টাকা লেনদেন নিয়ে শত্রুতার জের ধরে লিটনকে জবাই করে হত্যার পর আংশিক পুড়িয়ে ফেলে আসামীরা। মামলায় বাদীসহ মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ ও অ্যাডভোকেট জামিল হাসান তাপস।

;

বড়-ছোট মেয়ে জাপানি মা, বাবার কাছে থাকবে মেজো: হাইকোর্ট

ছবি: বার্তা২৪.কম

জেসমিন মালিকা ও তার ছোট বোন থাকবে জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে আর মেজো মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে আপিল আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার লাভলী। নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

সন্তান ভাগাভাগির রায়ে আদালত বলেছে, বড় ও ছোট মেয়েকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো বাংলাদেশে বা যেকোনো দেশে বসবাস করতে পারবেন। তবে তাদের বাবা ইমরান শরীফ সন্তানদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন। একইভাবে দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা লিনা বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকলেও জাপানি মাও দেখার সুযোগ পাবেন। 

জানা গেছে, ২০০৮ সালে জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ে করে টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিন কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। তারা ৩ জনই টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের শিক্ষার্থী ছিলেন।

২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরান-এরিকোর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ২১ জানুয়ারি ইমরান আমেরিকান স্কুল ইন জাপান কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু এতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ইমরানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর এক দিন জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা স্কুল বাসে বাড়ি ফেরার পথে বাসস্টপ থেকে ইমরান তাদের অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখান থেকে স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।

জাপানি দুই শিশু ১৫ দিন গুলশানের বাসায় থাকবে বাবা-মায়ের সঙ্গে জাপানি দুই শিশু বাবার কাছে থাকবে: হাইকোর্ট মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২১ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *