সিরিয়া ও লেবানন সীমান্তে টানা ইসরায়েলি হামলা
ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা হামলা পরিচালনার পাশাপাশি সিরিয়া ও লেবানন সীমান্তেও অনবরত বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলো বারবার যুদ্ধবিরতির কথা বলে আসলেও ইসরায়েলের বর্বর হামলা থামানোর কোনো ইঙ্গিত নেই। প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর ইসরায়েলের এমন আক্রমণ পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সংঘাত বিস্তৃতির আশঙ্কাকে আরও প্রকট করে তুলেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সিরিয়া এবং ইরাক সীমান্তে অবস্থান নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর উপর রকেট এবং ড্রোন হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে। এই প্রসঙ্গে পেন্টাগন বলেছে এটি ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত সিরিয়ার দুটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা।
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছিলেন, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে গেলে আঞ্চলিক উত্তেজনা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ না করে তবে সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা ছাড়িয়ে সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান রবিবার এবিসি নিউজের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, এই যুদ্ধ একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান শনিবার সিএনএনকে বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধের বিস্তার দেখতে চায় না এবং কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া ওয়াশিংটন বাহিনীর উপর হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করা সম্পূর্ণ ভুল।
উল্লেখ্য, হামাস এবং হিজবুল্লাহ উভয়কেই সমর্থন করে ইরান। হামাসকে সহায়তা করছে এমন দাবিতেই এই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলাকে ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই আকস্মিক হামলাকে ‘জায়নবাদী বিরোধীদের’ বিজয় বলে বর্ণনা করেছেন।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।